মোবাইল ধরে থাকা তোমায় বলছি বন্ধু, কেমন আছো? আশা করি বেশ ভালোই আছো… নমস্কার, সুস্বাগতম গুপ্তধন ডট কম এ। এই অধমের নাম অর্ণব। ইন্টারনেট এর অসীম মহাসাগরে আমার এই ছোট্ট নৌকা নিয়ে যাত্রা শুরু করতে পেরে আমি ভীষণই উত্তেজিত, রোমাঞ্চিত। মোবাইল বা কম্পিউটার এর ওয়েব ব্রাউজার এ গুপ্তধন ডট কম লিখলেই যখন এই ওয়েবসাইট টা ভেসে উঠছে তখন দিল একদম গার্ডেন গার্ডেন হয়ে যাচ্ছে, সত্যি! যদিও ওয়েবসাইট ডিজাইন আর সেট আপ এখনও শেষ করে উঠতে পারিনি, শেষ করা দূর সব টা শিখেই উঠতে পারিনি… কিন্তু বকম বকম করা কতক্ষন ই বা থামিয়ে রাখা যায়? সো , হেয়ার আই অ্যাম ডুইং বক বকম আর মাথা খাইং অফ মাই রিডার বন্ধুসকলস…
হাম কউন হ্যায়?
‘About Us‘- এও আমার কথা ছোট্ট করে লিখেছি, চেক করতে পারো, যদি চাও… তবে ইয়ে মানে, ওই পেজ টার কাজ ও এখনও শেষ হয়নি হিহি। তবে এক্কেবারে ফাঁকা ও নেই! যাইহোক, আচ্ছা সব কিছুর আগে একটা কথা… এইযে আমি তুমি তুমি করছি এতে কোনও সমস্যা নেই তো? থাকলে কমেন্ট এ জানাতে পারো ভাইলোগ… ফির হাম তুম লোগো কো ‘আপনি’ বোলকে পুকারেগা!
যাকগে, এইবার আসল কথায় আসি। আমি একজন সাধারণ বাড়ির অতি সাধারণ বাঙালী। প্রাণীবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করেছি। পেশায় একজন শিক্ষক। বাংলা মাধ্যম, পেরাইমারি ইস্কুলের শিক্ষক। বাচ্ছাদের পড়াতে ভালোই লাগে, তবে তার সাথে ভালো লাগে টেকনোলজি, কম্পিউটার, ইন্টারনেট, অনলাইনে কেনাকাটা, কোথায় কিভাবে কত বেশি ছাড় পাওয়া যায় তা বের করা, শেয়ার বাজার সম্পর্কে জানা ও শেয়ার বাজার থেকে আয় করার উপায় বের করা, অনলাইনে নতুন নতুন উপায়ে আয়ের রাস্তা সম্পর্কে জানা ও সেগুলো প্রয়োগ করে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনের চেষ্টা করা।
‘গুপ্তধন ডট কম’ কি কেন কিভাবে?
আমার পরিবার চিরকাল ই মধ্যবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্ত বলা চলে। বাবা সরকারি চাকুরী করতেন। তবে বাবার শৈশব কেটেছে ভীষণই অভাবের মধ্যে দিয়ে। তাই বাবা যেমন অভাব কি সেটা বুঝতে দেন নি, তেমনই বিলাসিতা কি সেটা বোঝার সুযোগ ও কখনও দেন নি! আর পাঁচটা বাঙালীর মতই আমার বাবা চিরকাল ‘Scarcity Mentality’ নিয়ে চলেছেন আর খরচ কম সেভিংস বেশি করে জীবনে সচ্ছলতা আনতে চেয়েছেন। বাবার জায়গায় বিষয় টায় ভুল কিছু নেই। তবে আমি ‘Abundance Mentality’ তে বিশ্বাসী। এই মেন্টালিটি দুটো নিয়ে পরে কখনও বিষদে বলব। মোদ্দা কথা আমি অল্প অল্প করে বাঁচানোর থেকে আরও বেশি ইনকাম করে এবং একাধিক ইনকাম এর উৎস তৈরি করে আর্থিক স্বাধীনতা খোঁজায় বিশ্বাসী। আর তাই চাকরি পাওয়ার আগে থেকে ও এখনও পর্যন্ত প্রতিনিয়ত সেই খোঁজ চালিয়ে চলেছি। এখনও পর্যন্ত এই রাস্তায় আমি প্রাইভেট টিউশন করেছি, কম্পিউটার সেন্টার এ পড়িয়েছি, কম্পিউটার সেন্টার এ হার্ডওয়্যার মেন্টেনেন্স এর দায়িত্ব সামলেছি, কিছুটা সময় ইউটিউব করেছি, কিছুটা সময় Quora থেকে ইনকাম করতে ব্যয় করেছি, তারপর আবার শেয়ার বাজার এ ইনভেস্ট আর ট্রেড-ও করেছি, করছি। তো এই সব কিছু করতে গিয়ে যা অভিজ্ঞতা হয়েছে, যা শিখেছি, যা জেনেছি আমার মনে হয় অনেকেরই অজানা। আর যা অজানা তাই তো গুপ্ত তাই না? আর সেই ভাবনা থেকেই শুরু এই গুপ্তধন এর যাত্রা… এখানে আমি আমার জানা দিয়ে অজানা গুপ্ত ধন-উপার্জনের পন্থা গুলো কে কান ধরে সকলের সামনে নিয়ে আসব। আর আমার প্রচেষ্টায় একজনেরও যদি এক বিন্দু ও লাভ হয়, তাহলেই আমি খুশি। কিংবা যদি কাজে না ও আসে, অন্তত আমার করা ভুল গুলো সম্পর্কে জেনে আমার একজন বন্ধু ও যদি সেই ভুল করা থেকে বিরত থাকতে পারে, তাহলেই জানব আমার প্রচেষ্টা সার্থক। আর যদি একজনও আমার সাথে আমার পাশে চলে আমি যেমন খুঁজছি আর্থিক স্বাধীনতা, যেটা এখনও অধরা আমার কাছে, তেমনই সে-ও খুঁজে পায় তার আর্থিক স্বাধীনতা তাহলে তো আমার স্বর্গপ্রাপ্তি একদম ফিক্সড!
কি কি বিষয়ে আলোকপাত হবে এখানে?
একটু আগেই বলেছি, Quora থেকে ইনকাম এর কথা। বন্ধু, তুমি কি জানতে Quora থেকেও ইনকাম করা যেতে পারে? অ্যামাজন থেকে কেনাকাটা তো সকলে করে, কিন্তু অ্যামাজন এ কিছু বিক্রি না করেও ইনকাম করা যায় সেটা জানা আছে? ফেসবুক, ইউটিউব কিংবা ইন্সট্রাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এ আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যয় করি কিন্তু একটু সাহস আর চেষ্টা করলেই ডাইরেক্টলি ও ইনডাইরেক্টলি অনেক ভাবেই ইনকাম করা যায়- এর মধ্যে কিছু উপায় অনেকেরই জানা থাকলেও প্রচলিত উপায় গুলোর পাশাপাশি সাইড ইনকামের যে আরও অনেক গুলো রাস্তা আছে সেটা অনেকেরই অজানা। শেয়ার বাজার অনেকের কাছে জুয়া। কিন্তু যদি জুয়া ই হত বিশ্বের কিছু তাবড় তাবড় ধনী যেমন ওয়ারেন বাফেট, রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা দের জন্ম কিভাবে হল শেয়ার বাজার থেকে? তাছাড়া জানা আছে কি, অনলাইনে একটা সিম্পল এক্সেল শিট বিক্রি করেও ইনকাম করা যায়। আবার কিছু না লিখেও কোনও পাবলিশার এর কাছে না গিয়েও বই ছাপিয়ে সারা পৃথিবীব্যাপী বিক্রি করা যায়। পুরোটাই বাড়িতে বসে অনলাইনে করা সম্ভব। তারপর ধরাযাক একটা বিশেষ মোবাইল App মোবাইল এ ইন্সটল করে রেখে দিলাম, ব্যাস ওইটুকুই, আর কিছু না করেও ওই ইন্সটল টুকু করে রাখার জন্য সপ্তাহে প্রতি সপ্তাহে ১০০ টাকা করে পেতে থাকলাম । যাইহোক, ইনকাম করার এই ধরনের রাস্তা হাজারো কিন্তু সব যদি এখানে বলতে যাই এই পেজ টাই একটা বই হয়ে যাবে! আর যতটুকু বললাম তা তো হিমশৈলের চূড়া মাত্র…
আয় এর পর এবার আসি ব্যয় এর কথায়। মানে খরচ করার সময় কিভাবে অস্বাভাবিক ছাড়ে মাল কেনা যায় কিংবা কেনার পর আবার ক্যাশব্যাক পাওয়া যায় সেই কথায়। শুনলে অবাক হতে হয় যে অ্যামাজন এ যেকোনো সময় ১৩ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তি ছাড় পাওয়া যায় কিংবা ফ্লিপকার্ট এ বিগ বিলিয়ন ডে র সময় ১০ নয়, ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তি ছাড় পাওয়া যায়। কিংবা ধরুন ব্র্যান্ডেড আইটেম কিন্তু ছাড় ৮০%। আবার জানেন কি, চাইলে ইন্সুরেন্স এর প্রিমিয়াম দেওয়ার সময় ২ শতাংশ ক্যাশব্যাক পাওয়া যায়। এগুলোও ওই বহুল উপায়ের মাত্র গুটি কয় উদাহরন।
আয়-ব্যায় বাদেও বহু ওয়েবসাইটে প্রোমোশানাল অফারের ফায়দা নিয়ে রিওয়ার্ড পাওয়া যায়। যেমন ধরুন লাইফ টাইম ফ্রী ক্রেডিট কার্ড এর অ্যাপ্লাই করে, ১৫০০ টাকা ফ্রী তে পকেটে। কিংবা ধরুন ২দিনের জন্য ৫০০০ টাকা লোন নিলাম। চার্জ দিলাম ৮০ টাকা। কিন্তু গিফট পেলাম ১০০০ টাকা। আবার ধরুন মোবাইল রিচার্জ পুরো ফ্রী তে! কিংবা প্রোডাক্ট অর্ডার করা হল, হোম ডেলিভারি এলো কিন্তু একটাও পয়সা খরচ হল না! অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি!
তো এই রকমই ইনকাম, সাইড ইনকাম, ক্যশব্যাক, রিওয়ার্ড, ডিস্কাউন্ট, ফ্রী আইটেম ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ের উপর আমার সীমিত জ্ঞানে যা কিছু জানা আছে সেসব-ই এখানে আমি শেয়ার করব।
শেষ করার আগে…
তো ভাইলোগ, এই পোস্ট টা শেষ করার আগে… বলতে চাই, গুপ্তধন ডট কম নাম টা ভুলনা যেন! আশা করি কোনও না কোনও ভাবে তোমাদের কাজ এ আসতে পারব… তো তাহলে আপাতত এখানেই শেষ করি, ভালো থেকো। আর কিছু বলার থাকলে কমেন্ট করতে ভুলনা যেন! টা টা… 🙂