‘স্যার ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন?’ – শপিং মলে একজন সেলসম্যানের এহেন প্রশ্নে যেই না সাড়া দিয়েছি, ব্যাস সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে গেলো। অমুক কোম্পানির ক্রেডিট কার্ডে অফার চলছে। কোনো জয়েনিং বা ইয়ারলি ফি লাগবেনা। তার উপর অমুক জায়গায় এত ক্যাশব্যাক, তমুক করলে অত ক্যাশব্যাক, এক্সএক্স রিওয়ার্ড পয়েন্ট, ফ্রিতে সিনেমার টিকিট ব্লা ব্লা ব্লা ইত্যাদি কত কি না সুবিধার কথা সে বলেই যাচ্ছিল, তো বলেই যাচ্ছিল। থামতে আর চাইছিল না! তার পুরো বকম বকম চুপচাপ শুনে নেওয়ার পর ‘সরি নট ইন্টারেস্টেড’ বলে তার খপ্পর থেকে কোনো ক্রমে বাঁচলাম!
কিন্তু আসলে আমি যে ঐ কার্ডটা সম্পর্কে ইন্টারেস্টেড ছিলাম না – এমনটা কিন্তু নয়! আমি শুধুমাত্র ঐ সেলসম্যানের মাধ্যমে আবেদন করতে অনিচ্ছুক ছিলাম। কেন, সেটা পরে বলছি। যাইহোক, সেদিন বাড়ি ফিরে নেট থেকে (বিশেষ উপায়ে) ঐ কার্ডটার জন্যই আবেদন করে দিলাম! আর কদিন পর সেটা হাতেও পেয়ে গেলাম।
গল্পটা এখনও পর্যন্ত খুবই সাদামাটা। কিন্তু টুইস্ট হচ্ছে মাসখানেক পর ওয়ালেটে ফ্রিতে ২০০০ টাকা কমিশন পেলাম সেলসম্যানকে পাস কাটিয়ে নিজেই ঐ কার্ড নেওয়ার আবেদন করার জন্য! মানে কেসটা এরকম হল, ব্যাংক আমাকে স্বল্প সময়ের ফ্রি লোনের সুবিধা নেওয়ার জন্য ফ্রি ক্রেডিট কার্ডও দিলো আবার এটা দেওয়ার জন্য টাকা চার্জ করার বদলে ফ্রিতে উপহার হিসাবে আলাদা করে টাকাও দিলো!
বিষয়টা হজম করতে অসুবিধে হচ্ছে? অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটা কিন্তু সত্যি! (শেষকালে প্রমাণ-ও দেব) ফ্রি ক্রেডিট কার্ডে আবেদন করার জন্যও ফ্রিতে ২০০০ টাকা পর্যন্ত উপহার হিসাবে পাওয়া যেতে পারে। কিভাবে এটা সম্ভব সেটাই খোলসা করব এই প্রতিবেদনে।
কিন্তু বিষয়টা বিশ্বাসযোগ্য হওয়ার জন্য বা ভালোভাবে বোঝার জন্য ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ব্যবসার পুরো কেসটা একটু বুঝে নেওয়া প্রয়োজন…
ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের ব্যবসা বৃত্তান্ত
ব্যাংকগুলোর কাছে হাজার হাজার কোটি টাকা গচ্ছিত থাকে। কিন্তু টাকা এমনি এমনি পড়ে থাকলে ওদের লাভ তো দূর, বরং লস হয়। কারণ ডিপোজিট-কারীদের সুদ তো দিতেই হয়! তাই ব্যাংকগুলোকে সবসময়েই চেষ্টা করতে হয় লোন দেওয়ার ও সুদ আদায় করার। কিন্তু অত সহজে তো আর এই পাহাড়প্রমাণ টাকা লোন দেওয়ার মতো নতুন নতুন ক্লায়েন্ট পাওয়া যায়না…
তাই এই লোন সমস্যা কাটাতে ব্যাংকগুলোর উদ্ভাবন ক্রেডিট কার্ড। এর মাধ্যমে ব্যাংকগুলো তাদের বেকার পড়ে থাকা উদ্বৃত্ত টাকা আপনার আমার মত সাধারন মানুষের কেনাকাটার সময় একটা লিমিটের মধ্যে কিছুদিনের জন্য সুদ ছাড়া লোন হিসাবে ব্যবহার করার সুযোগ দেয়। ইন্টারেস্ট ফ্রি পিরিয়ডের মধ্যে ওই টাকা শোধ করে দিলে সরাসরি সুদ থেকে ব্যাংকের ইনকাম হয় না, এটা ঠিক। তবে অগণিত ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীদের মধ্যে কখনো না কখনো কেউ না কেউ ওই সময়ের মধ্যে টাকা শোধ করতে ব্যর্থ হয় এবং তখনই ব্যাংক ভীষণ উচ্চ হারে (বাৎসরিক ৪০-৫০%) সুদ নিয়ে অনেককে ফ্রিতে এই সুবিধা দিতে গিয়ে যেটুকু সুদ হাতছাড়া হয়ে যায় সেটা কয়েকজনের থেকেই উশুল করে নেয়।
এছাড়াও ক্রেডিট কার্ড থেকে ব্যাংকের ইনকামের কয়েকটা রাস্তা হল,
- কেনাকাটার সময় বিক্রেতার থেকে সার্ভিস চার্জ (এমডিআর) নেওয়া।
- পেড কার্ডে বার্ষিক মেম্বারশিপ ফি আদায় করা।
- এটিএম থেকে টাকা তোলার সময় এক্সট্রা চার্জ নেওয়া এবং এক্ষেত্রে কোনো ইন্টারেস্ট ফ্রি পিরিয়ড না দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে সুদ নেওয়া।
- ইএমআই-এর সুবিধা দিয়ে সাধ্যের বেশী খরচ করানো এবং সুদ আদায় করা।
- ব্যবহারকারীর ভুল বা না জানার সুযোগ নিয়ে পদে পদে এটা সেটা চার্জ বা ফাইন করা ইত্যাদি।
এছাড়া এই কার্ডে কেনাকাটা করলে সেই মুহূর্তে নিজের টাকা খরচ হয়না বলে অনেক কার্ড ব্যবহারকারী তার অজান্তেই নিয়মিত কেনাকাটা এবং অনর্থক খরচ করার একটা বদভ্যাস তৈরি করে ফেলে ও ঋণের জালে জড়িয়ে পড়ে। আর তার লাভটা ভোগ করে ব্যাংকগুলো।
সুতরাং ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীদের ফ্রীতে কিছুদিনের জন্য ইনস্ট্যান্ট লোন দিলেও কার্ড ইস্যু করে ব্যাংক অনেক ভাবেই লাভ করে। আর এই লাভ আরও বাড়ানোর জন্য ব্যাংকের প্রয়োজন পড়ে নতুন নতুন ব্যবহারকারী তৈরি করা বা খোঁজা।
যত বেশী ব্যবহারকারী তত বেশি লাভ!
নতুন নতুন ব্যবহারকারী খোঁজার জন্য ব্যাংক কার্ডের সাথে অনেক রকম লোভনীয় সুবিধা বা অফার দেয়। যেমন,
- কার্ড নেওয়ার সময় অনেক কিছু ওয়েলকাম বেনিফিট দেয়।
- তেলের সারচার্জে ছাড়, ফ্রি লাউঞ্জ অ্যাক্সেস, ফ্রি সিনেমার টিকিট ইত্যাদি অনেক ধরণের সুবিধা দেয়।
- বহু ওয়েবসাইট বা দোকানে কিংবা বিশেষ বিশেষ ট্রানজাকশনে ক্যাশব্যাক অফার দেয়।
- প্রতি ট্রানজেকশনে রিওয়ার্ড পয়েন্ট দেয় যেগুলো জমা করে রিচার্জ, কেনাকাটা ইত্যাদি করা যায়।
- অনেক কার্ডে মেম্বারশিপ ফি নেয় না (লাইফটাইম ফ্রি) বা অনেক সময় বিশেষ শর্তে পেড কার্ডেও মেম্বারশিপ ফি ছেড়ে দেয়।
- বিভিন্ন ধরণের প্রমোশনাল অফার দেয়।
এছাড়া শুধুমাত্র এসবের লোভ দেখিয়ে বসে না থেকে নতুন কাস্টোমার খুঁজতে নিজেদের আভ্যন্তরীণ এজেন্ট এবং থার্ড পার্টি এজেন্ট নিযুক্ত করে। ওই সমস্ত এজেন্টকে তাদের পারফরম্যান্স অনুযায়ী বা কতগুলো নতুন ব্যবহারকারী খুঁজে দিতে পেরেছে সেই অনুযায়ী কমিশন দেয়।
কমিশন কমিশন কমিশন
এই প্রতিবেদনের আসল চরিত্র এই কমিশন! শুরুতেই শপিং মলে যে সেলসম্যানের কথা বলেছিলাম সেও আসলে একজন এজেন্ট ছিল। আমাকে যদি কার্ডটা নেওয়ার জন্য সে রাজি করাতে পারতো তাহলে তার জন্য সে কমিশন পেত। কিন্তু আমি তার প্রচেষ্টায় সাড়া না দিয়ে নিজেই আবেদন করার কারণটাও হচ্ছে ওই কমিশন!
আমার কথা হচ্ছে কার্ডটা যখন আমি নেব তখন ব্যাংকের দেওয়া কমিশন ওই সেলসম্যান বা এজেন্টকে কেন পেতে দেব। আমার কার্ডের কমিশনটা আমি নিজেই নেব! কিন্তু সমস্যা হচ্ছে সোজা আঙুলে এটা সম্ভব নয়! ব্যাংকে গিয়ে বা ব্যাংকের ওয়েবসাইটে গিয়ে সরাসরি আবেদন করলে কিন্তু ব্যাংক ঐ কমিশনটা দেয় না!
তাহলে উপায়? উপায় হচ্ছে আমাকে এমন এক এজেন্টের কাছে যেতে হবে যে ব্যাংকের থেকে ওই কমিশন নিয়ে তার বেশিরভাগটাই আমাকে ফেরত দিয়ে দেবে! শুনতে অদ্ভুত মনে হলেও এমন এজেন্টও কিন্তু হয়! আর এমনই এক এজেন্ট-কে আজ সর্বসমক্ষে আনব!
ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন – সাধারণ টেকনিক বনাম নিঞ্জা টেকনিক
ক্রেডিট কার্ড পেতে হলে স্বশরীরে ব্যাংকে গিয়ে বা অনলাইনে ব্যাংকের ওয়েবসাইট থেকে কিংবা কোনো এজেন্টের মাধ্যমে আবেদন করতে হয় – এটাই নিয়ম, এটাই সাধারণ ধারনা। কিন্তু সেক্ষেত্রে ঐ কমিশনের টাকাটা হাতছাড়া হয়ে যায়।
তাই ওই কমিশনটা নিজের পকেটে পেতে গেলে ব্যাংকের নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনেই আবেদন করতে হবে কিন্তু সেটা সাধারণভাবে করলে হবে না। একটা নিঞ্জা টেকনিক প্রয়োগ করতে হবে। এখানে উল্লিখিত এজেন্টের অ্যাপের মাধ্যমে ব্যাংকের পেজে যেতে হবে। তারপর যেমন স্বাভাবিক আবেদন প্রক্রিয়া হয়, মানে ফর্ম ফিলাপ, ভিডিও কেওয়াইসি ইত্যাদি সম্পন্ন করতে হবে। কার্ড অ্যাপ্রুভ হয়ে গেলেই নির্দিষ্ট সময় পর আপনি ওই কমিশনের টাকাটা ডিজিটাল ওয়ালেটে পেয়ে যাবেন।
কমিশন ফেরত পেতে আবেদনের পদ্ধতি
যে এজেন্টের কথা এতক্ষন বলছিলাম সেটা আসলে একটা অ্যাপ। আর ঐ অ্যাপটার নাম হচ্ছে ‘ক্যাশকরো’ (Cashkaro)। এই অ্যাপের মাধ্যমে কমিশন ফেরত পেতে আবেদনের যে পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে সেটা হল,
#১ সবার আগে এই লিংক থেকে ক্যাশকারো অ্যাপটা ডাউনলোড করতে হবে।
#২ তারপর নিজের ফোন নাম্বার / ই-মেল দিয়ে একটা অ্যাকাউন্ট বানিয়ে নিতে হবে।
#৩ অতঃপর অ্যাপের হোমস্ক্রিন থেকে ব্যাংকিং ক্যাটিগরিতে যেতে হবে।
#৪ ওই সেকশনে আপনি অনেক ব্যাংকের তরফ থেকে অনেক ধরনের ফ্রি এবং পেড ক্রেডিট কার্ডে রিওয়ার্ডের অফার গুলো দেখতে পাবেন।
#৫ তারপর আপনার পছন্দের কার্ডের অপশনে ট্যাপ করে সেই কার্ডের পেজে যেতে হবে।
#৬ এরপর ‘আর্ন রিওয়ার্ডস নাও’ (EARN XXXX REWARDS NOW) বাটনে ক্লিক করলেই ব্যাংকের কার্ড অ্যাপ্লিকেশনের পেজে পৌঁছে যাবেন।
#৭ এরপর যেভাবে অনলাইনে সাধারণভাবে ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করতে হয় সেভাবেই আপনাকে আপনার সমস্ত তথ্য দিয়ে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
কাজ এখানেই শেষ। যদি আপনি সবকিছু ঠিকঠাক করে থাকেন এবং ব্যাংকের তরফে আপনার কার্ড যদি অ্যাপ্রুভ হয়ে যায় তাহলে কিছুদিন পরেই আপনার রিওয়ার্ডের টাকা ট্র্যাক হয়ে যাবে। তারপর আরও কিছুদিন পরে সেটা কনফার্ম হবে। কনফার্ম হওয়ার পর আপনি সেই টাকা অ্যামাজন বা ফ্লিপকার্টের ওয়ালেটে অ্যাড করে নিতে পারবেন। সেখান থেকে বিল পেমেন্ট কেনাকাটা ইত্যাদি যা খুশি করতে পারবেন।
প্রতি কার্ডের সাথে যে পরিমাণ রিওয়ার্ডের কথা উল্লেখ করা থাকে সেটাই হচ্ছে ওই কার্ডের জন্য কমিশন যেটা আপনি পাবেন এই অ্যাপের মাধ্যমে অ্যাপ্লাই করলে।
ক্যাশকরোর অফারের কিছু বৈশিষ্ট্য
ক্যাশকরো অ্যাপের ব্যাংকিং সেকশনে যে সমস্ত কার্ডের অফার দেখতে পাওয়া যায় সেগুলো বিভিন্ন সময়ে আপডেট হয় মানে নতুন নতুন কার্ড সময়ে সময়ে ওই জায়গায় যোগ হয়।
এছাড়া সমস্ত কার্ডে যত টাকার রিওয়ার্ডের কথা উল্লেখ থাকে সেগুলো সময়ে সময়ে বাড়া কমা হয়। উদাহরণস্বরূপ, অনেক সময় ১৫০০ টাকার রিওয়ার্ড সীমিত সময়ের জন্য ২০০০ টাকা করে দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে বিশদে জানতে হলে অ্যাপটা মাঝে মাঝেই খুলে অফার গুলোর উপরে নজর রাখতে হবে।
কার্যপদ্ধতি
ক্যাশকরো-র ঐ ‘আর্ন রিওয়ার্ডস নাও’ বাটনে আসলে দেওয়া থাকে ব্যাংকের কার্ড আপ্লিকেশনের অ্যাফিলিয়েট লিংক। ঐ লিংক থেকে ব্যাংকের কার্ড আপ্লিকেশনের পেজে গিয়ে আবেদন সম্পূর্ণ করলে ব্যাংক বুঝতে পারে যে ক্যাশকরোর লিংকের মাধ্যমেই আবেদনটা সম্পূর্ণ করা হয়েছে। এবং কার্ড অ্যাপ্রুভ হয়ে গেলে ব্যাংক ক্যাশকরোকে কমিশন দেয়। আর সেই কমিশনের সিঙ্ঘভাগ ক্যাশকরো দিয়ে দেয় আবেদনকারীকে।
যদি বলেন ক্যাশকরো কেন কমিশনটা নিজের কাছে রাখেনা, তাহলে জেনে রাখুন এটাই ক্যাশকরোর বিজনেস মডেল। বিভিন্ন সাইটের থেকে পাওয়া কমিশন এরা এদের ব্যবহারকারীদের ফিরিয়ে দেয়। কার্ড ছাড়া অনলাইনে কেনাকাটাতেও এধরণের কমিশন ফেরত পাওয়া যায়। এব্যাপারে বিষদে জানতে বা অনলাইনে কেনাকাটা করার সময় কিছু এক্সট্রা ক্যাশব্যাক পেতে চাইলে ← এই লিঙ্কে দেওয়া আর্টিকেল পড়ে নিতে পারেন।
সাবধানতা
পদ্ধতিটা সম্পূর্ণ করার সময় একটা ব্যাপার খেয়াল রাখা খুবই জরুরী। আবেদন করার সময় ‘আর্ন রিওয়ার্ডস নাও’ বাটনে ক্লিক করার পর পুরো কাজটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একবারেই করে নিতে হবে। কারণ ঐ বাটনে ক্লিক করার পর সেশন ট্র্যাক করা হয়। যাতে ব্যাংক / ক্যাশকরো বুঝতে পারে ঐ লিংকের মাধ্যমেই আবেদনটা করা হয়েছে। সেশন ব্রেক হলে কিন্তু টাকা পেতে সমস্যা হতে পারে।
তাই আবেদন শুরু করার আগে সমস্ত প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট হাতের কাছে নিয়ে তবেই আবেদন করতে বসা বাঞ্ছনীয়।
টাকা যে পাওয়া যায় তার প্রমাণ
আমি নিজে এভাবে আবেদন করে একাধিকবার টাকা পেয়েছি। উদাহরণস্বরূপ, এই কিছুদিন আগেই ইন্ডাসিন্ড ব্যাংকের একটা কার্ডের জন্য আবেদন করি। উপরের কার্ড অফারের ৩য় অফার টায়।
প্রোফাইল > মাই আরনিং > মাই অর্ডার ডিটেলস সেকশনে দেখা যায় ২-৩ দিন পরেই এটা ট্র্যাক হয়ে গেছে এবং ১ সপ্তাহ ঘোরার আগেই কনফার্মও হয়ে যায়।
এরপর প্রোফাইল > মাই আরনিং > রিকোয়েস্ট পেমেন্ট সেকশনে গিয়ে ট্রান্সফার অপশন থেকে অ্যামাজন পে ব্যালেন্স বেছে নিয়ে নিজের অ্যামাজন অ্যাকাউন্টের নাম্বার দিয়ে ওটিপি কনফার্ম করার পরই টাকাটা অ্যামাজনের ওয়ালেটে পেয়ে যাই।
শেষ কথা
সুতরাং এখন থেকে ক্রেডিট কার্ডের দরকার পড়লে বা ক্রেডিট কার্ড পেতে চাইলে এভাবে আবেদন করুন আর ফ্রি কার্ডের উপর ফ্রি তে টাকা পেয়ে সোনায় সোহাগা হয়ে যান!
এই ধরণের দারুণ দারুণ বিষয়ের ব্যাপারে আপডেটেড থাকতে লাল ঘণ্টার বাটন থেকে গুপ্তধন ডট কম সাবস্ক্রাইব করে রাখতে পারেন। আজ তাহলে এখানেই শেষ করি। ভালো থাকবেন। 🙂
দাবিত্যাগঃ এখানে দেওয়া ক্যাশকরো অ্যাপের ডাউনলোড লিংকটা একটা অ্যাফিলিয়েট লিংক, যেটা ব্যবহার করলে আপনার কোনো ক্ষতি নেই তবে আমি কিছু কমিশন পেতে পারব।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQs)
এভাবে ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করা কি নিরাপদ?
একশ বার! কারণ ক্রেডিট কার্ডের আবেদনটা ব্যাংকের ওয়েবসাইট থেকেই করা হচ্ছে, শুধুমাত্র সেখানে পৌঁছানোর জন্য অ্যাপের ব্যবহার করা হচ্ছে। তাছাড়া এই অ্যাপ যথেষ্ট জনপ্রিয় এবং টাটা-র ভরসা আছে এই অ্যাপে। কারণ রতন টাটা এই অ্যাপ-এর একজন ইনভেস্টর।
টাকাটা কোথায় পাওয়া যায়?
টাকাটা অ্যামাজন পে ওয়ালেট ব্যালেন্স হিসাবে বা ফ্লিপকার্টের ব্যালেন্স হিসাবে পাওয়া যায়।