শেয়ার বাজারে ডেরিভেটিভ ট্রেডিং-এ লাভ লসের আসল সত্যি।

5/5 - (1 জন রেটিং করেছেন)

আজকাল সোশ্যাল মিডিয়াতে তথাকথিত ‘ট্রেডার’-দের শেয়ার করা হাজার, লাখ এমনকি কোটি টাকার লাভের স্ক্রিনশট আকছার দেখতে পাওয়া যায়। স্ক্রিনশটগুলোর বেশিরভাগটাই হয় ইকুইটি ডেরিভেটিভ বা ফিউচার আর অপশন ট্রেডের। ওগুলো দেখে মনে হয় যেন এখানে সবাই লাভ করছে আর ট্রেড করে বিশাল বিশাল লাভ করা খুবই মামুলি ব্যাপার!

তাড়াতাড়ি বড়লোক হওয়ার বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে এই ট্রেডিং-টাকেই কেরিয়ার হিসাবে বেছে নিতে চায় লক্ষ লক্ষ নতুন ট্রেডার। আর অল্প ক্যাপিটালে বেশী লাভের আশায় তাদের মধ্যে বেশিরভাগেরই লক্ষ্য থাকে ওই ডেরিভেটিভ ট্রেডিং-এর দিকেই।

কিন্তু যে আশা নিয়ে তারা এখানে আসে তার কতটা যুক্তিযুক্ত বা বাস্তবসম্মত? বিশাল লাভের স্ক্রিনশট দেখা গেলেও বাস্তবে ধারাবাহিকভাবে ওই ধরনের লাভ করে যাওয়া কতটা সম্ভব বা আদৌ সম্ভব কি? ডেরিভেটিভ ট্রেডিং-এ কম পুঁজিতে বেশী লাভের সুযোগ পাওয়া গেলেও বাস্তবে সেটা করা যায় কি?

এই সবকিছুরই উত্তর পাওয়া যাবে এবছরের শুরুতে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া বা সেবির প্রকাশিত ইকুইটি ডেরিভেটিভ ট্রেডিং-এ লাভ-লসের পরিসংখ্যান সম্বলিত একটা রিপোর্টে। এই নিবন্ধে সেই পরিসংখ্যানেরই খুঁটিনাটি থেকে ডেরিভেটিভ ট্রেডিং-এর আসল সত্যিটা আমরা খুঁজে বের করব।

>> বিষয়টা ডেরিভেটিভ নিয়ে হলেও, ডেরিভেটিভের বাইরেও একই ধরণের ফলাফল প্রত্যাশিত।

সেবির রিপোর্টের খুঁটিনাটি

২০২২ অর্থবর্ষে ডেরিভেটিভ মার্কেটে স্বতন্ত্র ট্রেডারদের লাভ ও লসের রেকর্ডের বিশ্লেষণ থেকে প্রাপ্ত একটা বিস্তারিত রিপোর্ট সেবি প্রকাশ করে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী,

লস করেছেন এমন ট্রেডার

  • ডেরিভেটিভ ট্রেডারদের মধ্যে ৮৯% কেবলমাত্র অপশনে, ২% কেবলমাত্র ফিউচারে এবং ১১% অপশন আর ফিউচার দুয়েতেই ট্রেড করেছেন। এদের মধ্যে প্রতি ১০ জনে ৯ জনই (~৯০%) লস করেছেন। সমস্ত ট্রেডারদের ধরলে এই লসের পরিমাণ গড়ে ১ লাখ ১০ হাজার, আর কেবলমাত্র অ্যাকটিভ ট্রেডারদের (যারা বছরে ৫ বারের বেশী ট্রেড করেছেন) ধরলে এই অংকটা আরো বড় যথা, ১ লাখ ২৫ হাজার।
  • লস করা অ্যাকটিভ ট্রেডারদের মধ্যে উপরের ৫% অস্বাভাবিক বেশি লস করে আর নীচের ৫% যৎসামান্য লস করে (আউটলায়ার)। এদের বাদ দিলে গড় লসের পরিমাণ দাঁড়ায় গড়ে ৫০ হাজার টাকা। এই অঙ্কটা লাভ করা ট্রেডারদের গড লাভের থেকে ১৫ গুণ বেশি।

লাভ করেছেন এমন ট্রেডার

  • ফিউচার অপশন সেকশনে লাভ করতে সক্ষম হয়েছেন প্রতি ১০ জনে ১ জন (~১০%)। সমস্ত ট্রেডারদের একসাথে ধরলে এই লাভের পরিমাণ গড়ে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা আর শুধু অ্যাকটিভ ট্রেডারদের ক্ষেত্রে পরিমাণটা ১ লাখ ৯০ হাজার।
  • আউটলায়ারদের বাদ দিলে মাত্র ৬% স্বতন্ত্র অ্যাকটিভ ট্রেডার লাভ করতে সক্ষম হয়েছেন এবং তাদের গড় লাভ মাত্র ৩৪০০ টাকা।
  • লাভ করা সমস্ত ট্রেডারদের মোট লাভের মধ্যে উপরের ১%-এর কাছে ৫১% (অর্থাৎ অর্ধেক) এবং উপরের ৫% এর কাছে ৭৫% (অর্থাৎ চার ভাগের তিন ভাগ) লভ্যাংশ চলে যায়।
আরও পড়ুনঃ  9 টা লার্জ ক্যাপ স্টক যাদের ডিভিডেন্ড ইল্ড ব্যাংকের সুদের বেশি।

ট্রানজ্যাকশন কস্ট (ব্রোকারেজ, ট্যাক্স ও অন্যান্য)

  • আউটলায়ার বাদে অ্যাকটিভ ট্রেডারদের মধ্যে যারা লস করেছেন তাদের আরও ২৮% অতিরিক্ত খরচ বা লস হয়েছে ট্রানজ্যাকশন কস্ট হিসেবে। তবে নন-অ্যাকটিভ ট্রেডারদের মধ্যে এই ভাগটা ৮%।
  • এমনকি অ্যাকটিভ ট্রেডারদের মধ্যে যারা লাভ করেছেন (আউটলায়ার বাদে) তাদের লাভের ১৫%-৫০% চলে গেছে এই ট্রানজ্যাকশন কস্ট হিসাবে। নন-অ্যাকটিভ ট্রেডারদের ক্ষেত্রে এই পরিমাণটা ৬%।

এই রিপোর্টের সারসংক্ষেপ

  • সমস্ত ট্রেডারদের মধ্যে ৯০% লস করে আর মাত্র ১০% লাভ।
  • যে ১০% লাভ করে তাদের মধ্যে নীচের ৫% নামমাত্র লাভ করে যেটার বেশিরভাগটা ট্রানজ্যাকশন কস্টেই বেরিয়ে যায়।
  • সবথেকে উপরের ৫%-এর মধ্যে একদম প্রথম ১% বাজার থেকে আসা মোট লাভের সিংহভাগ অর্থাৎ অর্ধেকেরও বেশি নিজেদের কাছে রাখে। আর বাকি ৪%-এর লাভ ট্যাক্স বাদে আহামরি কিছু হয় না।

সিদ্ধান্ত

টপ ১%-ই শেয়ার বাজারে যা করার করে। বাকি ৯৯%-এর কাছে শেয়ার বাজার জীবনধারণের জন্য আয়ের বাস্তবসম্মত কোনো উপায় নয়। সুতরাং শেয়ার বাজারে ট্রেডিং-এ বিশেষ কিছু করতে হলে ওই টপ ১%-এই যেতে হবে।

টপ ১%-এর লাভের সিক্রেট

এই পরিসংখ্যানটা কেবলমাত্র ট্রেডারদের লাভ ও লসের পরিমাণের উপর করা হয়েছে। কার কত ক্যাপিটাল সেটা এই পরিসংখ্যানে বিচার্য হয়নি। সুতরাং এক্ষেত্রে সরল সিদ্ধান্তে আসাই যায় যে, টপ ১% এর কাছে বেশীরভাগ লভ্যাংশ যাওয়ার সব থেকে বড় কারণ তাদের বিশাল ক্যাপিটাল

ক্যাপিটাল বড় হলে লাভও বড় হবে সেটাই স্বাভাবিক। ১০ কোটি টাকার ক্যাপিটালে যে পরিমাণ লাভ করা সম্ভব সেটা নিশ্চয়ই ১০ হাজারের ক্যাপিটালে সম্ভব নয়, তাই না! তবে লাভের পার্সেন্টেজ বা রিটার্ন অন ক্যাপিটাল (আরওসি) দেখলে দেখা যাবে সেদিক দিয়ে কিন্তু এদের লাভের হার কমই থাকে। তবে বেশী হারে লাভ করার দরকারও পড়ে না। কারণ ক্যাপিটাল বিশাল হওয়ায় অল্প পার্সেন্টেজেই লাভের অঙ্কটা বড় হয়ে যায়।

তাছাড়া ক্যাপিটাল বড় হলে ট্রেডিং-এ অনেক স্বাধীনতা পাওয়া যায়। সব রকম স্ট্র্যাটেজি কাজে লাগানো যায়। আর ক্যাপিটালের তুলনায় ছোটো ছোটো লস সহজেই হজম করা বা ম্যানেজ করা যায়। আবার এক্ষেত্রে বড় কোয়ান্টিটিতে ট্রেড করার জন্য ট্রানজ্যাকশন কস্ট-টাও তুলনায় কম পড়ে।

বিশাল ক্যাপিটালে অল্প ঝুঁকি নিয়ে ছোটো ছোটো লাভ করা অনেক সহজ এবং বাস্তবসম্মত। এর তুলনায় কম ক্যাপিটালে মাত্রাতিরিক্ত ঝুঁকি নিয়ে বিশাল লাভের টার্গেট করা মোটেও বাস্তবসম্মত ও টেকসই কোনো পদ্ধতি নয়। এই রাস্তায় হাঁটলে মাঝে সাঝে কপাল জোরে সফলতা এলেও বেশীরভাগ সময়ে ওই ৯৯%-এর মধ্যেই পড়ে যেতে হয়!

আবার বিশাল ক্যাপিটাল থাকলেই যে এখানে সফলতার গ্যারান্টি, সেটাও কিন্তু নয়। কারণ লসের দিকের সবথেকে বড় লস যাদের তারা কিন্তু আসলে বিশাল ক্যাপিটালের অধিকারী কিন্তু অসফল! সুতরাং ধরে নেওয়া যায়, এক্ষেত্রে লসের কারণ ট্রেডিং-এর সঠিক পদ্ধতি, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট এবং আবেগ নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থতা।

আরও পড়ুনঃ  শেয়ার বাজারের উপর খবরের প্রভাব কিভাবে ও কতটা পড়ে?

আর কম ক্যাপিটাল নিয়ে বিশাল হারে লাভ, সেটাও হয়তো কেউ না কেউ সম্ভব করেছে বা করে। তবে সেটা হয় কপালের জোরে কিংবা কাজটায় অস্বাভাবিক রকম এক্সপার্ট বলে। কিন্তু এই ধরণের ট্রেডার সংখ্যায় আরও কম। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কিছু সময়ের জন্য এটা করা সম্ভব হলেও লম্বা সময় ধরে ধারাবাহিকভাবে এটা করে যাওয়া প্রায় অসম্ভবেরই সামিল!

টপ ১% কি সব সময়েই টপ ১%?

এই পরিসংখ্যান ২০২২ অর্থবর্ষ অনুযায়ী। সুতরাং, এই ১% ট্রেডার যে সবসময়েই টপ ১%-এ থাকেন তা মোটেও নয়। সব ব্যবসার মতোই টপ ট্রেডার হলেও তাঁরা যে প্রতি বছর বা প্রতি কোয়ার্টারেই ভালো ফল করবেন বা বিশাল লাভ করতে সক্ষম হবেন এমনটা ভাবাও ভুল। সব ব্যবসার মতো ট্রেডিং-ও সাইক্লিকাল। একবার ভালো সময় চলে তো একবার খারাপ।

আবার যেমনটা একটু আগেই বললাম, ওই ১%-এর মধ্যে এমনও অনেকে আছেন যারা কেবলমাত্র কপাল জোরে চলে এসেছেন! ভবিষ্যতে কখনো আবার এই রিপোর্ট তৈরি করা হলে তাদের আর ধারেকাছেও খুঁজে পাওয়া যাবে না!

তবে কিছু ট্রেডার নিশ্চয়ই আছেন যারা ধারাবাহিকভাবে ওই টপ ১%-এ থাকতে সক্ষম। তবে তাদের প্রকৃত সংখ্যাটা ওই ১%-এর থেকেও কম। এবং তাঁরা সকলেই বিশাল ক্যাপিটালের অধিকারী।

শেয়ার বাজারে টাকার গতিবিধি

এমনিতে বলা হয় শেয়ার বাজার জিরো-সাম গেম। মানে একপক্ষ লস করছে আর সেই লসের টাকা যারা লাভ করছে তাদের কাছে যাচ্ছে। মানে ৯০% ট্রেডারদের লসের টাকা যাচ্ছে উপরের ৫% ট্রেডারের কাছে (বাকি ৫%-এর লাভ লস প্রায় সমান)।

কিন্তু এটা পুরোপুরি সত্যি নয়। কারণ মাঝখানে আছে ট্রানজ্যাকশন কস্ট। প্রতি ট্রেডের সময় এই টাকা সিস্টেম থেকে বেরিয়ে চলে যাচ্ছে ব্রোকার এবং সরকারের কাছে। সারা বছরে সমস্ত ট্রেডের উপর এর মোট পরিমাণ ১ লাখ কোটিরও বেশি।

ট্রানজ্যাকশন কস্ট বাদে টাকার আরও একটা বড় অংশ ফ্লো হয় প্রপ ডেস্ক-এ। প্রপ ডেস্কে হাজার হাজার কোটি টাকার ট্রেড হয়। সেখানে প্রফেশনাল ট্রেডাররা বিশাল ক্যাপিটাল নিয়ে ট্রেড করে এবং শেয়ার বাজার থেকে আসা মোট লাভের একটা বড় অংশ সেখানে চলে যায়।

শেয়ার বাজার আর সাধারণ রিটেল ট্রেডার

শুনতে কঠিন লাগলেও সত্যি হচ্ছে বেশীরভাগ সাধারণ ছোটো রিটেল ট্রেডারই শেয়ার বাজারে ট্রেডিং-এর পুরো সিস্টেমটা চালু থাকার জন্য তেল (টাকা) সরবরাহ করে। ৯৯% রিটেল ট্রেডাররাই ব্রোকারদের ব্যবসা চালু থাকার জন্য সিংহভাগ ব্রোকারেজ সরবরাহ করে। আর সরকারের বেশিরভাগ ট্যাক্স কালেকশনও এদের ঘাড় ভেঙেই হয়।

টপ ১% ট্যাক্স আর ব্রোকারেজ দেওয়ার পরেও যে বিশাল লাভের পাহাড় তৈরি করে সেটাও এই সাধারণ রিটেল ট্রেডারদের লস করা টাকাতেই।

আরও পড়ুনঃ  নিফটি ৫০ (Nifty 50) আসলে কী? এটা না জেনে শেয়ার বাজারে নামাই উচিৎ না!

সিনেমার মতো শেয়ার বাজারে ট্রেডিং-ও খুব চাকচিক্যময় মনে হয়, কিন্তু সেটা বাইরে থেকেই। সিনেমায় এক-দুটো শাহরুখ বা সলমনের সফলতা ও বিত্তের দিকে তাকিয়ে হাজার হাজার অভিনেতা-অভিনেত্রী এখানে কেরিয়ার তৈরির আশায় আসে। কিন্তু তাদের মধ্যে সফল হয় হাতে গোনা কয়েকজনই। ঠিক তেমনই শেয়ার বাজারে এক-দুজন জিরো থেকে হিরো হলেও বেশিরভাগই ওই ৯৯%-এর গণ্ডির ধারে কাছেও যেতে পারেনা!

>> আরও একটা বিষয় এখানে না উল্লেখ করলেই নয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় যেসমস্ত ‘সফল’ ট্রেডারদের দেখা যায়, তাদের অনেকেই শেয়ার বাজারের বদলে শেয়ার বাজারের কন্টেন্ট বানিয়ে আর ‘শেয়ার বাজারে সফল হওয়ার কোর্স’ বানিয়ে সফল হয়েছেন, শেয়ার বাজার জয় করে বা ট্রেডিং করে নয়!
>> তবে অনেক সফল ট্রেডার অবশ্য তাদের ক্যাপিটালের প্রয়োজন মেটাতেও এই পন্থার আশ্রয় নিয়ে থাকেন। 

শেষ কথাঃ একজন সাধারণ রিটেল ট্রেডারের কী করা উচিৎ?

তাহলে সাধারণ রিটেল ট্রেডারদের কি ট্রেডিং এর রাস্তায় নামাই উচিত নয়? প্রথম থেকে নেগেটিভ কথা বলে চলেছি বলে এটা মনে হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু এটাও ঠিক নয়।

এমনিতে এই ট্রেডিং এর মতো যেকোনো কিছুতেই ভালোভাবে সফলতার হার ওই ১%-ই। সেটা যেকোনো ক্ষেত্রে ব্যবসা, আইআইটি তে অ্যাডমিশনের পরীক্ষা, বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাকরির পরীক্ষা ইত্যাদি অনেক কিছু ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। সুতরাং, মাত্র ১% ট্রেডার লাভ করতে পারে বলে হাল ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ আমি দেবনা।

তবে এই পরিসংখ্যান থেকে যেটা স্পষ্ট সেটা হচ্ছে বিশাল হারে লাভ, মাসে মাসে ক্যাপিটাল ডবল – এই ধরণের প্রত্যাশা রাখাটা মোটেও বাস্তবসম্মত নয়। এখানে ধারাবাহিকভাবে বিশাল হারে লাভ করে যাওয়া প্রায় অসম্ভব।

তাই, বাজার সম্পর্কে আশাবাদী বা হতাশাবাদী হওয়ার বদলে বাস্তববাদী হতে হবে। ট্রেডিংকে প্যাশন হিসাবে গন্য করতে হবে। আসল ট্রেডিং শুরু করার আগে এই ব্যাপারে যতটা সম্ভব শিখতে হবে এবং প্রচুর পেপার ট্রেডিং করতে হবে। খুব কম ক্যাপিটালে অল্প অল্প করে শুরু করে অভিজ্ঞতা তৈরি করার মাধ্যমে ধীরে ধীরে এগোতে হবে।

পুরো বিষয়টায় অনেক সময় লাগবে। তার জন্য ধৈর্য ধরতে হবে। আর ভুলে গেলে চলবেনা, এক্ষেত্রে ক্যাপিটাল কতখানি গুরুত্বপূর্ণ। তাই ক্যাপিটালের যোগানের জন্য শুরুতে এর পাশাপাশি অন্য ইনকামের উৎস লাগবে।

আরও একটা কথা মেনে নিতে হবে যে, সবকিছু সত্ত্বেও কিছু না কিছু কারণবশত সবার জন্য ওই ১%-এর মধ্যে যাওয়া সম্ভব নাও হতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে শেয়ার বাজার থেকে আয় করার জন্য লম্বা সময়ের বিনিয়োগ বা আরও অন্যান্য রাস্তা কিন্তু খোলা থাকবে…


মন্তব্য করুন