বিকল্প বিনিয়োগঃ পিটুপি লেন্ডিং। কম ঝুঁকিতে 12% সুদ কিভাবে পাবেন?

5/5 - (2 জন রেটিং করেছেন)

ধরুন আপনার কাছে কিছু টাকা পড়ে আছে, এবং আপনি সেটা কোথাও খাটাতে চান। তো সেক্ষেত্রে সাধারণভাবে যে উপায়গুলো মাথায় আসে সেগুলো হচ্ছে ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট করা, সরকারী বিভিন্ন স্কিম, এলআইসি বা মিউচুয়াল ফান্ডে টাকা রাখা কিংবা শেয়ার বাজার থেকে সরাসরি শেয়ার কেনা বা সোনায় বিনিয়োগ করা.. তাই তো?

কিন্তু এই সবকটা উপায়েই কম রিটার্ন, বেশি ঝুঁকি, নির্দিষ্ট লকিং পিরিয়ড ইত্যাদি কিছু না কিছু সমস্যা থাকেই। তাই এই নিবদ্ধে টাকা খাটানোর এমন এক বিকল্প উপায়ের কথা জানতে পারবেন যাতে ফিক্সড ডিপোজিটের থেকে বেশি কিন্তু শেয়ার বাজারের থেকে অনেক কম ঝুঁকি নিয়ে ৯ থেকে ১২% রিটার্ন পাওয়া যেতে পারে। এছাড়া এক্ষেত্রে (প্ল্যান অনুযায়ী) যেকোনো সময় কোনোরকম পেনাল্টি ছাড়া খুব সহজে এবং খুব তাড়াতাড়ি টাকা তুলে নেওয়ার সুবিধাও মেলে।

সূচীপত্র দেখান

সাধারণ উপায়গুলোয় বিনিয়োগে সমস্যা

উপরে উল্লিখিত বিনিয়োগের উপায় গুলোর মধ্যে যেগুলোর সাথে শেয়ার বাজারের যোগ নেই (যেমন: ফিক্সড ডিপোজিট) সেগুলোয় ঝুঁকি হয়তো কম কিন্তু মুদ্রাস্ফীতির তুলনায় রিটার্ন একদমই ভালো পাওয়া যায় না। আর অন্যদিকে যেগুলোর সাথে শেয়ার বাজারের যোগ আছে (যেমন: মিউচুয়াল ফান্ড) সেগুলোয় বেশি রিটার্ন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও সেটা গ্যারেন্টেড নয় এবং ঝুঁকিও অনেকটাই বেশি থাকে।

আবার ওগুলোর মধ্যে অনেক ক্ষেত্রেই লম্বা সময়ের লকিং পিরিয়ড থাকে। মানে হঠাৎ টাকার দরকার পড়লে হয় পাওয়া সম্ভবই হয় না কিংবা পেনাল্টি দিতে হয়; নতুবা ম্যাচুরিটির আগে টাকা ফেরত নেওয়ার জন্য যা রিটার্ন পাওয়ার কথা ছিল তার থেকে অনেক কম রিটার্ন পাওয়া যায়।

বিকল্প বিনিয়োগের উপায় = ধার দিয়ে টাকা খাটানো?

বিনিয়োগের ঐসমস্ত সাধারণ উপায়গুলো ছাড়া বহু পুরানো এক সরল বিকল্প উপায় হচ্ছে ধার দেওয়া। [কিন্তু কাহানিতে টুইস্ট আছে, পড়তে থাকুন…]

ভারতবর্ষে আমজনতার মধ্যে একে অপরের থেকে ধার দেওয়া নেওয়ার প্রথা বহু প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে। নিজের ব্যক্তিগত বা ব্যবসার কারণে ধার নেওয়ার প্রয়োজন অনেকেরই হয়। আর সেই সুযোগে যাদের কাছে টাকা উদ্বৃত্ত থাকে তারা নিজের টাকা ধার দেওয়ার বদলে সুদ কামিয়ে নেওয়ার সুযোগ পায়।

আজকের দিনে ব্যাংকের ব্যবসাও আসলে ধার দেওয়ারই ব্যবসা। কিন্তু ব্যাংক নিয়মের বাঁধনে বাঁধা। তাই বিবিধ কারণে ব্যাংকের কাছে গিয়ে ধার পাওয়া সবার জন্য সম্ভব হয়না। আর ব্যাংক যাকে ধার মঞ্জুর করেনা তার ধার নেওয়ার জন্য বিকল্প উপায়ে কোনো ঋণদাতার কাছেই হাত পাততে হয়।

ব্যাংক মুখ ফেরলে এভাবে ধার পেয়েই অনেক ঋণগ্রহীতার প্রয়োজন মেটে। তাই এই প্রথা একদিকে খারাপ নয়। তবে এভাবে ধার দেওয়া-নেওয়ার কিছু সমস্যাও আছে। যেমন,

  • অনেকসময় যে ধার দেয় সে ঠগবাজের খপ্পরে পড়ে টাকা ফেরত পায় না।
  • কিছু ঋণদাতা এত বেশি হারে সুদ ধার্য করে যে অনেকে ধার নিতে পারেনা বা নিয়ে মেটানোর ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ে।
  • যে সঠিক সুদে ধার দিতে চায় আর যে জেনুইন কারণে ধার নিতে চায় কখনোও আবার তাদের মধ্যে যোগাযোগটাই হয়ে ওঠে না।
আরও পড়ুনঃ  এসআইপি শুরু করার আগে যে সমস্ত বিষয়গুলো না জানলেই নয়…

যাইহোক, এতক্ষণ এই নিয়ে এত বকর বকর করছি মানে ভাববেন না যেন আমি এভাবে যাকে খুশি ধার দেওয়ার পরামর্শ দেব! আমি তো আসলে বলতে চাই পুরানো এই প্রথা টেকনোলজির সাহায্যে এর সমস্যাগুলো দূর করে আধুনিক রূপে আমাদের সামনে পুনঃপ্রবর্তিত হয়েছে পিয়ার টু পিয়ার বা পিটুপি লেন্ডিং নামে।

পিয়ার টু পিয়ার বা পিটুপি লেন্ডিং কী?

ঋণগ্রহীতাকে ঋণদাতার সরাসরি ধার দেওয়ার ব্যবস্থাপনার আধুনিক নাম পিয়ার টু পিয়ার বা পিটুপি লেন্ডিং। এটা এমন একটা ব্যবস্থা যাতে ঋণদাতার সাথে ঋণগ্রহীতার যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হয়। এবং ধার দেওয়া-নেওয়ার পর যে ধার নেয় সে সুদ দেয় আর যে ধার দেয় সে সেই সুদটা পায়।

এক্ষেত্রে কোনো ব্যাংক বা অন্য কোনও ফিনান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন সরাসরি ব্যাপারটার সাথে জড়িত থাকেনা। তবে ঋণদাতা ও ঋনগ্রহীতার যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার জন্য প্ল্যাটফর্ম প্রভাইড করে অরবিআই-এর পিটুপি লাইসেন্সপ্রাপ্ত এক সংস্থা।

পুরো বিষয়টা কিভাবে কাজ করে? 

প্ল্যাটফর্ম প্রোভাইড-কারী কোম্পানির ওয়েবসাইটে যারা ধার নিতে চায় তারা বরোয়ার (ঋণগ্রহীতা) হিসাবে রেজিস্টার করে। আর যারা ধার দিতে চায় তাদেরকে লেণ্ডার (ঋণদাতা) হিসেবে রেজিস্টার করতে হয়।

দু’পক্ষকে ম্যাচ করানোর জন্য বিভিন্ন কোম্পানি তাদের প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন রকম মডেল ব্যবহার করে। কোনো কোনো প্ল্যাটফর্মে ঋণগ্রহীতাদের রিস্ক প্রোফাইল বিচার করে রিস্ক অনুযায়ী তাদের জন্য আলাদা আলাদা সুদ ধার্য করা হয়। ঋণদাতারা যেমন রিস্ক নিতে চায় সেই অনুযায়ী একাধিক ঋণদাতা বেছে নিয়ে পুরো অর্থ ভাগ করে অনেককে অল্প অল্প করে ঋণ দিতে পারে। এভাবে অনেক ঋণদাতার কন্ট্রিবিউশনে যখন ঋণগ্রহীতার প্রয়োজন পূর্ণ হয়, সে টাকা পেয়ে যায়।

তবে সব থেকে কম ঝুঁকিপূর্ণ এবং সব থেকে ভালো মডেলে ঋণদাতারা তাদের খুশি মত অর্থ প্ল্যাটফর্মে দিয়ে দেয় আর প্ল্যাটফর্ম সেই টাকাকে শত শত ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে বহু যোগ্য ঋণগ্রহীতার মধ্যে ভাগ করে দেয়। এতে কোনো এক দুজন ঋণগ্রহীতা ডিফল্ট করলেও তার প্রভাব একজন ঋণদাতার ওপর খুব বেশি পড়ে না।

প্ল্যাটফর্ম গুলো এই ব্যবস্থাপনার জন্য ট্রানজাকশনের মাঝে কোনো মার্জিন রাখে না, তবে দু পক্ষের থেকেই একটা সার্ভিস চার্জ নেয়।

পিটুপি লেন্ডিং কিভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়? 

এই প্ল্যাটফর্ম গুলো যাতে কোনরকম গন্ডগোল বা ফ্রড না করে তার জন্য আর বি আই এই পুরো বিষয়টাকে নিয়ন্ত্রণ করে। প্রথমত কোনো কোম্পানি এই ব্যবসায় নামতে চাইলে তাকে সবার আগে আরবিআই এর থেকে এনবিএফসি-পিটুপি লাইসেন্স নিতে হয়। এবং অতঃপর আরবিআই-এর গাইডলাইন অনুযায়ী কাজ করতে হয়।

এধরনের প্ল্যাটফর্মে যে সমস্ত ট্রানজাকশন হয় সেগুলোর মাঝে কোনো গন্ডগোল যাতে না হয় সেজন্য কোনো না কোনো ব্যাংক ট্রাস্টি হিসেবে ট্রানজাকশনগুলোকে মনিটর করে। এমনকি এধরনের কোনো কোম্পানি যদি বন্ধও হয়ে যায় সেক্ষেত্রে যাতে ঋণদাতাদের টাকা ডুবে না যায় সেজন্য আগে থেকেই বিজনেস কন্টিনিউটি প্ল্যান করা থাকে এবং ঋণদাতাদের টাকা ট্রাস্টি ব্যাংকের কাছে সুরক্ষিত থাকে।

এছাড়া এভাবে বিনিয়োগের অঙ্কেও বিধি-নিষেধ আছে। সাধারণভাবে একজন এই পথে সর্বাধিক ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত এবং ন্যূনতম ৫০ লাখের মোট সম্পদ থাকলে বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে সর্বাধিক ৫০ লাখ পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারে।

এইভাবেই বিভিন্ন নিয়মের বেড়াজালে বেঁধে আরবিআই পুরো সিস্টেমটায় ঋণদাতাদের জন্য ঝুঁকিটা কম করে দেয়। তবে সবকিছু সত্বেও ঝুঁকিটা কিন্তু পুরোপুরি যায় না।

আরও পড়ুনঃ  লোন নিয়ে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ বা ট্রেডিং - চালাকি নাকি বোকামি?

পিটুপি লেন্ডিং-এর ঝুঁকি

এতক্ষণে আমি ইতিমধ্যেই বলে দিয়েছি, এই ব্যবস্থাপনায় বাজার সম্পর্কিত কোন ঝুঁকি নেই। তবে এক্ষেত্রে একটাই ঝুঁকি, সেটা হচ্ছে ঋণগ্রহীতাদের ডিফল্ট করা। তাই এক্ষেত্রে যত বেশি যোগ্য ঋণগ্রহীতাদের ঋণ দেওয়া হয় বা যত বেশি ঋণগ্রহীতাদের মধ্যে ঋণ দেওয়ার অর্থটা ভাগ করে দেওয়া যায় ততই এর ঝুঁকিটা কমিয়ে আনা যায়।

আরবিআই অনুমোদিত ভারতের বিভিন্ন পিটুপি কোম্পানি

আর বি আই অনুমোদিত সবথেকে জনপ্রিয় ও বড় পিটুপি কোম্পানী হল,

এই কোম্পানিগুলোর ওয়েবসাইট বা অ্যাপ থেকে রেজিস্টার করে বিনিয়োগ করা যেতেই পারে, তবে এই কোম্পানিগুলোর নাম বেশিরভাগ সাধারণ মানুষের কাছেই অচেনা। তাই ভরসা করতে একটু ভয় হতে পারে।

তবে এই কোম্পানিগুলোর সাথে গাঁটছড়া বেঁধে আমাদের খুব চেনা কিছু কিছু কোম্পানি তাদের নিজস্ব অ্যাপে এই উপায়ে বিনিয়োগের সুবিধা নিয়ে এসেছে। এই অ্যাপগুলো নিজস্ব টেকনোলজির সাহায্যে পুরো সিস্টেমটাকে খুবই সিমলেস ও সহজে ব্যবহারযোগ্য করে তুলেছে। তাছাড়া ইতিমধ্যে ব্যবহার করা বা সুপরিচিত অ্যাপে এই সুবিধা পাওয়া গেলে ব্যাপারটা তো সোনায় সোহাগা হয়ে যায়… তাই না?

পরিচিত বিভিন্ন অ্যাপ-এর মাধ্যমে এই উপায়ে বিনিয়োগ

#১ ক্রেড মিন্ট

ক্রেডিট কার্ড পেমেন্টের ক্রেড অ্যাপের চালু করা ক্রেড মিন্ট এই ব্যবস্থাপনারই এক পোশাকি নাম। লিকুইলোন্স পিটুপি কোম্পানির সাথে গাঁটছড়া বেঁধে ক্রেড এই সুবিধা দেয়।

যদিও ক্রেড মিন্টে ৯% সুদ পাওয়া যায় তবুও অন্যান্য অ্যাপের এধরনের ব্যবস্থাপনার মধ্যে এটাই আমার সব থেকে বেশি পছন্দ। কারণ,

  • অন্যান্য অ্যাপের থেকে এই অ্যাপের উপর এমনিতে আমার ভরসাটা একটু বেশি।
  • কোনো বিষয়েই আলাদা কোনো চার্জ লাগেনা।
  • একমাত্র যাদের হাই ক্রেডিট স্কোর থাকে, তাদেরকেই ক্রেড অ্যাকাউন্ট বানাতে দেয়। ফলে এখানে যারা অ্যাকাউন্ট বানায় তারা ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে খুবই বিশ্বাসযোগ্য হয়।
  • ওদের আরেক ফিচার ক্রেড ক্যাশের মাধ্যমে লোন নেওয়ার সুবিধা দেয়। এবং যারা ক্রেড ক্যাশ থেকে লোন নেয় তাদেরকেই ক্রেড মিন্ট থেকে পাওয়া টাকা বন্টন করে। ফলে টাকাটা বিশ্বাসযোগ্যদের হতেই পড়ে।
  • ক্রেডমিন্টে রাখা টাকা দুশোর বেশি ছোট ছোট অংশে ভাগ করে বিভিন্ন ঋণগ্রহীতার মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয় ফলে ঝুঁকিটা আরো কমে যায়।
  • টাকা ডিপোজিট করার পরের দিন থেকেই ইন্টারেস্ট গোনা শুরু হয়ে যায় এবং সেটা দিনের শেষে মূলধনের সঙ্গে যোগ হয়ে যায় যেটা ড্যাশবোর্ডে দেখা যায়।
  • কোনরকম লক ইন পিরিয়ড নেই এবং যখন খুশি উইথড্রয়াল রিকোয়েস্ট করা যায়। রিকোয়েস্ট করার এক দিনের মধ্যেই টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চলে আসে।
  • যখন থেকে এটা শুরু হয়েছিল তখন থেকে ব্যবহার করছি, এবং কখনো কোনো সমস্যায় পড়িনি।

ডাউনলোড লিংক – ক্রেড [অ্যাফিলিয়েট]

#২ মোবিকুইক এক্সট্রা

মোবিকুইক লেন্ডবক্সের সাথে গাঁটছড়া বেঁধে মোবিকুইক এক্সট্রা চালু করেছে। এক্ষেত্রে বিনিয়োগ করার দুটো প্ল্যান আছে। ফ্লেক্সি প্ল্যান আর প্লাস প্ল্যান। ফ্লেক্সি প্ল্যান পুরোপুরি ক্রেড মিন্টের মত, শুধু সুদটা বেশি, মানে ১২%। প্লাস প্ল্যানে ইন্টারেস্ট আরো বেশি (১২.৯৯%) তবে সেক্ষেত্রে কমপক্ষে তিন মাসের লক ইন পিরিয়ড থাকে।

ফ্লেক্সিপ্ল্যানে যখন খুশি টাকা তুলে নেওয়া যায় কিন্তু প্লাস প্ল্যানে ম্যাচুরিটির আগে টাকা তুলতে গেলে পুরো সুদ পাওয়া যায় না।

ক্রেডের সাথে এর আরও একটা তফাৎ হচ্ছে ক্রেডের কাছে হাই ক্রেডিট স্কোরের বিশ্বাসযোগ্য ব্যবহারকারীর যে বেস আছে সেটা এদের ক্ষেত্রে নেই। তাই ক্রেডের ক্ষেত্রে ঋণদাতার টাকা খুবই বিশ্বাসযোগ্য হাই ক্রেডিট স্কোর ওয়ালা ঋণ গ্রহীতার কাছে গেলেও এক্ষেত্রে কোথায় যাবে সেটা পরিষ্কার নয়।

আরও পড়ুনঃ  জমি বাড়ি না কিনেই 300 টাকায় রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ। আরইআইটি

তাই ১২% সুদ পাওয়া গেলেও এখনো পর্যন্ত আমি এটা ব্যবহার করিনি। কিন্তু সুদটা অনেকটাই বেশি পাওয়া যাচ্ছে তাই ইদানিং অল্প কিছু টাকা এখানেও বিনিয়োগের কথা ভাবনা চিন্তা করছি।

ডাউনলোড লিংক – মোবিকুইক [অ্যাফিলিয়েট]

#৩ ভারতপে ১২% ক্লাব

এটা পুরোপুরি মোবিকুইক ফ্লেক্সি প্লানের সমতুল্য। তফাৎ হচ্ছে এক্ষেত্রে পিটুপি পার্টনার লিকুইলোন্স এবং লেনদেন ক্লাব।

#৪ ইটি মানি আর্ন

ইটি মানিও এমনিতে বিবিধ মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার খুবই জনপ্রিয় একটা অ্যাপ। পিটুপি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এর পার্টনারও লিকুইলোন্স।

এদের প্ল্যানগুলো একটু আলাদা। এখানে প্ল্যান ভেদে ৮-১১% সুদ পাওয়া যায়। স্বাভাবিকভাবে যখন খুশি টাকা তুলে নেওয়ার ফ্লেক্সিবিলিটি চাইলে এমনিতে ৮% রিটার্ন পাওয়া যায়, বিভিন্ন সময়ের জন্য লক ইন করলে বেশি সুদ পাওয়া যায়। মেম্বারশিপ নিলে ১% এবং রেফার করলে অতিরিক্ত আরও ০.৫% সুদ পাওয়া যায়।

শেষ কথা

কিংবদন্তী বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেট বলেন, “কক্ষনো এক ঝুড়িতে সব ডিম রেখোনা।”

বিনিয়োগের একটা প্রধান সূত্রই হচ্ছে ডাইভারসিফিকেশন। সেই সুত্র এক্ষেত্রেও খাটে। এভাবে টাকা খাটানোর কথা ভাবলেও বেশি সুদের লোভে পড়ে সমস্ত সঞ্চিত টাকা (এই ক্ষেত্রে বা অন্য যেকোনো একটা ক্ষেত্রে) লাগিয়ে দেওয়া মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ হবেনা। কারণ এটা পুরোপুরি ঝুঁকিমুক্ত (- আসলে এধরণের কিছুর অস্তিত্বই নেই!) একেবারেই নয়।

আবার যদি ১ টাকা লাগাতেও ভয় হয়, সেক্ষেত্রে বলব পুরো বিষয়টা যেহেতু অরবিআই রেগুলেট করে, তাই একটু ভরসা রেখে অল্প কিছু টাকা দিয়ে এভাবে বিনিয়োগ শুরু করতেই পারেন। আমিও অল্প দিয়েই শুরু করেছিলাম। ৯-১২% রিটার্ন টাও তো ছেলেখেলা না… তাই না? কথায় আছে, ‘নো রিস্ক নো গেইন’। তাই একটু বেশি পেতে হলে একটু রিস্ক তো নিতেই হবে…

যাইহোক, আজ তাহলে এখানেই শেষ করছি। ভালো থাকবেন।


প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQs)

পিটুপি তে বিনিয়োগ করতে হলে কী করতে হবে?

উপরে যে সমস্ত অ্যাপ গুলোর কথা বললাম তার মধ্যে যেকোনো অ্যাপ ডাউনলোড করে প্রথমত অ্যাকাউন্ট বানিয়ে কেওয়াইসি সম্পূর্ণ করতে হবে। তারপর খুব সহজেই ইউপিআই ব্যবহার করে ব্যাংক থেকে টাকা ট্রান্সফার করা যাবে। টাকা ট্রান্সফার করার এক-দুদিন পর থেকেই সুদ যোগ হওয়া শুরু হয়ে যাবে।

এক্ষেত্রে ট্যাক্সের কেসটা কী?

যে সুদ আয় হবে সেটাকে রিটার্ন সাবমিটের সময় ‘ইনকাম ফ্রম আদার সোর্সেস’ ক্যাটিগরিতে দেখাতে হবে এবং ট্যাক্স স্ল্যাব অনুযায়ী ট্যাক্স ধার্য হবে।

ঋণগ্রহীতাদের কতদিনের জন্য লোন দেওয়া হয়?

৩ মাস থেকে ৩৬ মাস।

চক্রবৃদ্ধি সুদ পাওয়া যায়?

না। এক্ষেত্রে সরল সুদ কার্যকরী হয়।

১০ লাখের বেশি বিনিয়োগ করতে হলে কী করতে হবে?

১০ লাখের বেশি বিনিয়োগ করতে হলে প্রথমত নেট ওয়ার্থ কমপক্ষে ৫০ লাখ হতে হবে এবং সে ব্যাপারে কোনো চ্যাটার্ড একাউন্টেন্টকে দিয়ে একটা সার্টিফিকেট লিখিয়ে জমা করতে হবে। তারপর ৫০ লাখ পর্যন্ত বিনিয়োগের ছাড়পত্র পাওয়া যাবে।


মন্তব্য করুন