শেয়ারের দাম এত কমে-বাড়ে কেন বলুন তো? জানলেই লাভ পাবেন

4.7/5 - (3 জন রেটিং করেছেন)

আপনি শেয়ার বাজারের সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকুন বা না থাকুন আশাকরি নিশ্চয়ই জানেন যে, শেয়ার বাজার যখন খোলা থাকে তখন যেকোনো শেয়ারের দাম প্রতি মুহূর্তে অনবরত কমতে বা বাড়তে থাকে। আর শেয়ারের দাম কম সময়ের মধ্যে এত পাল্টায় বলেই এই বাজারের এত আকর্ষণ!

কারণ, একদিকে যেমন স্বল্প সময়ে শেয়ারের দামের অহঃরহ উত্থান পতনকে কাজে লাগিয়ে ট্রেডাররা ট্রেড করে তেমনই অন্যদিকে লম্বা সময়ের বিচারে দামের বৃদ্ধির উপর ফোকাস করে ইনভেস্টাররা ইনভেস্ট করে।

কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন কেন এমনটা হয়? ঘটনাটা দেখতে সহজ সরল হলেও এর পিছনে কারণটা কিন্তু অতটাও সরল নয়। অনেক কিছু ফ্যাক্টর এটার জন্য দায়ী থাকে। আর এই নিবন্ধে আমরা সেগুলো নিয়েই আলোচনা করব।

শেয়ারের দাম পাল্টায় কিভাবে?

শেয়ার বাজার এমন এক ধরনের বাজার যেখানে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচা হয়। একটা মুহূর্তে শেয়ারের যে দাম দেখা যায় বা যে দামে কেনাবেচা হয় সেটা কিন্তু কেউ ম্যানুয়ালি সেট করে না। এখানে প্রতিদিন লাখ লাখ কোটি কোটি শেয়ার ক্রেতা বিক্রেতার মধ্যে হাতবদল হয় এবং এটাই শেয়ারের দাম স্থির করে। প্রতিটা মুহূর্তে শেয়ারের যে দাম দেখা যায় সেটার মানে হচ্ছে সেই মুহূর্তের ঠিক আগে যে দামে একজন ক্রেতা এবং বিক্রেতা সেই শেয়ার হাত বদল করেছিল।

অতঃপর যখন পরবর্তী কেনাবেচার সময় ক্রেতা ও বিক্রেতা (একই বা আলাদা) বিশেষ কোনো কারণে আরো বেশি দামে হাতবদল করতে রাজি হয় তখন সেটার দাম বাড়ে এবং যদি কম দামে কেনাবেচা হয় তাহলে দাম কমে। তবে এখানে আরও একটা কথা না বললেই নয়, শেয়ার বাজারে একসাথে প্রচুর ক্রেতা বিক্রেতা কেনাবেচায় অংশ নেয় বলে একজন ক্রেতা বা বিক্রেতার লেনদেনের প্রভাব আলাদাভাবে প্রকাশ পায়না। অনেকের সম্মিলিত কেনাবেচার ফলেই দাম ওঠা-নামার প্রকৃত ঘটনাটা ঘটে।

একটা ছোট্ট উদাহরণ দিয়ে বিষয়টা বোঝা যাক। ধরুন এক্স বলে একটা কোম্পানির একটা করে শেয়ার ১০০০ জন হবু ক্রেতা ১০০ টাকা দরে কিনতে আগ্রহী। আর অন্যদিকে ৬০০ জন বিক্রেতা (শেয়ারহোল্ডার) ঐ একই দামে (১০০ টাকায়) ওই শেয়ার বিক্রি করতে আগ্রহী। তো প্রথম ৬০০ জন ক্রেতা ১০০ টাকা দরে ৬০০ জন বিক্রেতার থেকে একটা করে শেয়ার কিনে নিল। এই কেনাবেচা সম্পূর্ণ হতেই শেয়ারের দাম ১০০ টাকা হল। 

অতঃপর বাকি ৪০০ জন ক্রেতা ১০০ টাকায় ঐ শেয়ার কিনতে না পারায় তাদের অফার প্রাইস বাড়িয়ে ১৫০ করে দিল। বেশী দাম পাওয়া যাচ্ছে দেখে আরও কিছু নতুন বিক্রেতা ঐ শেয়ার ১৫০ টাকায় বিক্রি করতে রাজি হয়ে গেলো। ফলে ঐ দামে আরও কিছু শেয়ারের হাতবদল হল এবং শেয়ারের দাম গিয়ে পৌঁছালো ১৫০ তে।

আরও পড়ুনঃ  সঠিক ও ভালো মিউচুয়াল ফান্ড চেনার উপায়। নতুনদের জানতেই হবে

শেয়ারের দাম পাল্টায় কেন । চাহিদা ও যোগান

কখন এবং কেন একজন ক্রেতা বা বিক্রেতা কম বা বেশী দামে শেয়ার হাতবদলে রাজি হবে সেটা আর পাঁচটা সাধারণ বাজারের মতোই চাহিদা এবং যোগান স্থির করে। উপরের উদাহরণে চাহিদা বেশি এমন ধরনের পরিস্থিতির কথাই বলা হয়েছে। কারণ ঐ ক্ষেত্রে ক্রেতার সংখ্যা বিক্রেতার সংখ্যার থেকে বেশি ছিল এবং ক্রেতারা আরও বেশি দাম দিয়ে কিনতে রাজি ছিল। আর তাই দাম বেড়ে গিয়েছিল।

একইভাবে যখন চাহিদা কম থাকে তখন আরও চাহিদা পড়ে যাওয়ার ভয়ে বিক্রেতারা শেয়ার বেচে দিতে চায়। কিন্তু সেসময়ে বিক্রেতার থেকে ক্রেতার সংখ্যা কম থাকে। অর্থাৎ যোগান বেশী থাকলেও চাহিদা কম হয়। ফলে যেকোনো উপায়ে বিক্রি করতে চাইলে বিক্রেতাদের আরও কম দামে বিক্রির অফার করতে হয়। কিছু ক্রেতা আবার এমন সময়ে কম দামে শেয়ার পেয়ে কিনতে আগ্রহী হয় আর তখনই লেনদেন সম্পূর্ণ হয়ে শেয়ারের দাম কমে যায়।

সুতরাং দেখা যাচ্ছে শেয়ারের দাম বাড়া কমার পিছনে আসল কারণ হচ্ছে চাহিদা এবং যোগানের পর্যায়ক্রমিক তারতম্য হওয়া। আর পাঁচটা সাধারণ বাজারে যেমন বিভিন্ন কারণে কখনও এটার তো কখনও ওটার চাহিদা বাড়ে-কমে, ঠিক তেমনই শেয়ার বাজারেও কোম্পানির অভ্যন্তরীণ, বাজারগত, ইকোনমি, সেক্টর ইত্যাদি সম্পর্কিত বিভিন্ন কারণে চাহিদা তথা যোগানের তরিতফাৎ হয়।

কোম্পানির অভ্যন্তরীণ ফ্যাক্টর

কোনো কোম্পানির শেয়ার মানে আসলে সেই কোম্পানির অংশীদারত্ব। তাই স্বাভাবিকভাবেই কোম্পানির ভিতর ঘটে চলা কোনো পজেটিভ বা নেগেটিভ ঘটনা তার শেয়ারের দামের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। কোম্পানির কোয়ার্টারলি রেজাল্ট অ্যানাউন্সমেন্ট, কোনো নতুন প্রোডাক্ট লঞ্চ, অন্য কোনো বড় কোম্পানির সাথে টাই-আপ, উঁচু পদের কোনো কর্মচারীর ইস্তফা বা ম্যানেজমেন্টে বড় কোনো পরিবর্তন, কর্মচারী ছাঁটাই, কোনো স্ক্যাম সামনে আসা ইত্যাদি বিষয়গুলো শেয়ারের দামের উপর প্রভাব ফেলে।

এই সমস্ত বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে যেকোনো রকম পরিবর্তনের প্রভাব সরাসরি গিয়ে পড়ে ট্রেডার এবং ইনভেস্টারদের সেন্টিমেন্টের উপর। এগুলো সম্পর্কিত কোনোরকম পজেটিভ পরিবর্তন যেমন চাহিদা তৈরি করে এবং ফলস্বরূপ শেয়ারের দাম বাড়ে ঠিক তেমনি নেগেটিভ পরিবর্তন চাহিদা কমিয়ে দেয় এবং ফলে শেয়ারের দামও পড়ে যায়।

খবর

অনেক সময় কোম্পানির অভ্যন্তরীণ ফ্যাক্টর গুলো বাস্তবে অপরিবর্তিত থাকলেও পরিবর্তন সম্পর্কিত আগাম খবর, এমনকি গুজব বা মিথ্যে রটনাও শেয়ারের চাহিদা-যোগান তথা দামের পরিবর্তনের কারণ হয়ে যায়।

ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কিত ফ্যাক্টর 

একটা কোম্পানি যে ইন্ডাস্ট্রির অন্তর্গত সেই ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কিত কোনো খবর বা ডেভেলপমেন্ট ওই কোম্পানির বা ওই ইন্ডাস্ট্রির অন্যান্য কোম্পানির শেয়ারের চাহিদা বা যোগানের উপরও প্রভাব ফেলতে পারে।

যেমন ধরুন টেলিকম ইন্ডাস্ট্রিতে যখন জিও তার ফ্রি সার্ভিস নিয়ে আবির্ভূত হয়েছিল তখন স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্য টেলিকম কোম্পানির ব্যবসার উপর প্রভাব পড়বে এই আশঙ্কায় এই ইন্ডাস্ট্রির অন্যান্য শেয়ারের চাহিদা তথা দাম পড়ে গিয়েছিল।

মার্কেট ট্রেন্ড

বাজারে সব সময়ই কিছু না কিছু একটা ট্রেন্ড চলে। বুলিশ ট্রেন্ডের সময়ে বিনিয়োগকারীরা বাজার সম্পর্কে আশাবাদী হয় এবং তারা বেশি বেশি করে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয়। ফলে ওভারঅল বেশিরভাগ সেক্টরের সিংহভাগ ভালো ভালো কোম্পানির শেয়ারের চাহিদা তথা দাম বাড়ে। উদাহরণস্বরূপ, করোনার পর থেকে এখন পর্যন্ত আমরা বুলিশ ট্রেন্ডের মধ্যেই আছি।

আরও পড়ুনঃ  শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ আর জীবনবীমা একইসাথে। 2 ইন 1 ইউলিপ

আর অন্যদিকে বিয়ার ট্রেন্ডের সময় বিনিয়োগকারীরা বাজারের ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে সন্ধিহান হয় এবং তারা শেয়ার বাজার থেকে টাকা বের করে অন্য সুরক্ষিত জায়গায় রাখতে আগ্রহী হয়। ফলে ট্রেন্ড বদলানো পর্যন্ত সিংহভাগ শেয়ারের চাহিদা তথা দাম পড়তে থাকে। এইরকমই একটা বড় বিয়ার ফেজ এসেছিল ২০০৮ সালে পৃথিবী ব্যাপী ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইসিসের সময়।

ইকোনমিক ফ্যাক্টর

বিভিন্ন ইকোনমিক ফ্যাক্টর যেমন সুদের হারের পরিবর্তন, মুদ্রাস্ফীতি, কারেন্সি এক্সচেঞ্জ রেট, জিডিপি ইত্যাদিও অনেকসময় আলাদা আলাদা শেয়ারের চাহিদার উপরে আলাদা আলাদা প্রভাব ফেলে।

সুদের হারের পরিবর্তন

যেসমস্ত কোম্পানির ঋণ বেশী, সুদ বাড়লে সেসমস্ত কোম্পানির ব্যবসায় অসুবিধা হতে পারে, এই আশঙ্কায় শেয়ারের চাহিদা কমে যায়। আবার এই একই কারণে এসময়ে ব্যাংকিং সেক্টরের কোম্পানিগুলোর আয় তথা শেয়ারের চাহিদা বেড়ে যায়। আর সুদ কমলে ঠিক উল্টোটা হয়।

মুদ্রাস্ফীতি

মুদ্রাস্ফীতি বেশী হলে সাধারণত বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের চাহিদা কমে, আয় কমে আর সাথে পড়ে যায় শেয়ারের চাহিদাও।

কারেন্সি এক্সচেঞ্জ রেট

যখন কারেন্সি এক্সচেঞ্জ রেটের পরিবর্তন হয় তখনও কোনো কোনো কোম্পানির শেয়ারের চাহিদার তারতম্য হয়। যখন টাকা ডলারের তুলনায় শক্তিশালী হয় তখন এক্সপোর্ট করে এ ধরনের কোম্পানিগুলোর লাভ হয় ফলে তাদের শেয়ারের চাহিদা বাড়ে আবার একই কারণে যেসব কোম্পানি আমদানি করে তাদের ওপর উল্টো প্রভাব পড়ে ফলে তাদের শেয়ারের চাহিদা কমে।

জিডিপি

দেশের জিডিপি বৃদ্ধি হওয়া হেলদি ইকোনমির লক্ষণ। এসময়ে বিভিন্ন কোম্পানির আয় ভালো হয় এবং বাজারের উপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা বজায় থাকে। ফলে সাধারণত পুরো ইনডেক্স-ই উপরে ওঠে এবং ভালো ভালো কোম্পানিগুলোর শেয়ারের চাহিদা বাড়ে।

রাজনৈতিক ফ্যাক্টর

দেশে যখন ভোট বা বড় কোনো রাজনৈতিক ঘটনা ঘটে তখন তার প্রভাব সামগ্রিকভাবে পুরো শেয়ার বাজার এবং অনেক আলাদা আলাদা শেয়ারের উপরও পড়ে। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট যখন ধীরস্থির তখন সাধারণত শেয়ার বাজারও স্থিতিশীল থাকে আর রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকলে তার নেগেটিভ প্রভাব শেয়ার বাজারে সামগ্রিক চাহিদার উপর পড়ে।

ক্ষমতায় থাকা দলের সাথে যে সমস্ত কোম্পানির সম্পর্ক ভালো থাকে সে সমস্ত কোম্পানি তাদের ব্যবসা ক্ষেত্রে বহু রকম সুবিধা পায় এবং ফলস্বরূপ তাদের শেয়ারের চাহিদা বাড়ে। আবার এই একই কারণে একটা ভোটের পর অন্য দল ক্ষমতায় এলে বিশেষ সুবিধা প্রাপ্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ারের চাহিদা তথা দাম অনেকসময় পড়ে যায়।

আন্তর্জাতিক ফ্যাক্টর

আজকের দিনে কোনো একটা দেশ গোটা পৃথিবী থেকে আলাদা হয়ে থাকতে পারে না। পৃথিবীর সমস্ত দেশই একে অন্যের সাথে বিভিন্ন ভাবে জড়িত। শক্তিশালী দেশ যেমন আমেরিকার ইকোনমিতে কোনো সমস্যা হলে কিংবা যেকোনো দুই দেশের মধ্যে অস্থিরতা বা যুদ্ধ শুরু হলে তার প্রভাব পৃথিবীব্যাপী অন্যান্য শেয়ার বাজারের উপরেও পড়ে।

উদাহরণস্বরূপ, ইদানিংকালে রাশিয়া আর ইউক্রেনের যুদ্ধ ঘোষণা হওয়ার পর ভারতীয় শেয়ার বাজারেও সামগ্রিকভাবে অনেক শেয়ারের চাহিদাতেই ভাটা পড়েছিল।

আরও পড়ুনঃ  মিউচুয়াল ফান্ডে কী কী উপায়ে বিনিয়োগ করা যায়? না জানলে ক্ষতি আপনার!

অ্যাক্ট অফ গড

মানুষের হাতে নেই এমন কোনো ঘটনা যেমন প্রাকৃতিক বিপর্যয়, মহামারী ইত্যাদি কারণেও এখানে অংশগ্রহণকারীদের সেন্টিমেন্টের ওপর নেগেটিভ প্রভাব পড়ে এবং এ ধরনের বড় কোনো বিপর্যয়ের ফলে চাহিদা তলানিতে ঠেকলে বড় ধসও নামতে পারে।

করোনা মহামারীর সময় প্রায় সমস্ত শেয়ারের দাম পড়ে যাওয়া এরই একটা প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

সোশ্যাল মিডিয়া

সোশ্যাল মিডিয়ায় বড় কোন ইনফ্লুয়েন্সার বা পার্সোনালিটির একটা পোস্ট অনেক সময় কোনো শেয়ারের চাহিদা আকাশে নিয়ে যেতে পারে বা তলানিতেও ঠেকিয়ে দিতে পারে। একবার এলন মাস্কের একটা মাত্র ট্যুইট টেসলা শেয়ারের দাম এক ঝটকায় অনেকটা কমিয়ে দিয়েছিল।

নতুন শেয়ার ইস্যু ও বাইব্যাক

অনেক সময় বিভিন্ন কোম্পানি নতুন শেয়ার ইস্যু করে এবং অনেক সময় তারা নিজেরাই নিজেদের শেয়ার বাইব্যাক করে। নতুন শেয়ার ইস্যু করলে সাপ্লাই বাড়ে ফলে শেয়ারের দাম কমে এবং বাইব্যাক করলে সাপ্লাই কমে ফলে শেয়ারের দাম বাড়ে।

শর্ট সেলিং

কোনো শেয়ারে ট্রেডারদের শর্ট সেলিং-এর মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে গেলে অতিরিক্ত যোগান তৈরি হয়, ফলে অনেক সময় দাম পড়ে যায়।

ম্যানিপুলেশন

যদিও এটা করা বেআইনি, এটা আটকানোর জন্য অনেকরকম নিয়ম লাগু করা হয়েছে এবং সেবি এই বিষয়টার ওপর নজরদারিও চালায়, তবুও অনেক সময়েই নিয়মের তোয়াক্কা না করে এবং আইনের ফাঁক ব্যবহার করে কৃত্রিমভাবে অনেক শেয়ারের চাহিদা ও যোগানের তারতম্য ঘটিয়ে শেয়ারের দামের ম্যানিপুলেশন করা হয়।

শেষ কথা

সুতরাং বুঝতেই পারছেন শেয়ারের দাম উপরনিচ হওয়ার কারণের শেষ নেই। তবে দাম বাড়া বা কমার কারণটা জানা থাকলে ট্রেড বা ইনভেস্টের সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হয়। বিশেষ করে শর্ট টার্ম ট্রেড বা ইনভেস্টের ক্ষেত্রে এটা খুবই কার্যকর হয়।


প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQs)

শেয়ারের দাম কত ঘন ঘন ওঠানামা করে?

বাজার খোলা থাকার সময় যে কোম্পানির শেয়ার যত ঘনঘন কেনা বেচা হয় তার শেয়ারের দামও তত ঘনঘন ওঠানামা করে। বড় বড় কোম্পানির ক্ষেত্রে প্রতি সেকেন্ডে হাজারে হাজারে শেয়ার কেনা বেচা হয় এবং সেক্ষেত্রে সেকেন্ডের থেকেও কম সময়ের ব্যবধানে শেয়ারের দাম ওঠানামা করে। আবার যেসমস্ত শেয়ারের লিকুইডিটি কম থাকে সেক্ষেত্রে দাম পরিবর্তনের ফ্রিকোয়েন্সি কম হয়।

শেয়ারের দাম প্রেডিক্ট করা কি সম্ভব?

চাহিদা এবং যোগানের তারতম্যের জন্য শেয়ারের দামের পরিবর্তন হয়। কখন চাহিদা বা যোগানের তারতম্য হতে পারে সে সম্পর্কে কিছুটা আন্দাজ করা গেলেও কখন কতটা তারতম্য হতে পারে সেটা কিন্তু বোঝা সম্ভব নয়। তাই কখনই নিখুঁতভাবে আগে থেকে শেয়ারের দাম প্রেডিক্ট করা সম্ভব নয়।


মন্তব্য করুন