আমেরিকার পয়সার নাম পেনি। খুব কম দামের শেয়ারকে ইংরাজি ভাষায় পেনি স্টক বলে। এগুলো হচ্ছে ব্লু চিপ স্টকের ঠিক উল্টো। মানে এগুলোর দাম যেমন কম হয় তেমনি এধরণের কোম্পানিগুলো মার্কেট ক্যাপের দিক থেকেও খুবই ছোটো হয়।
সাধারণভাবে বিবিধ কারণে পেনি স্টকে বিনিয়োগ করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বলে ধরা হয়। কিন্তু এটাও ঠিক যে আজকের বিশাল বিশাল ব্লু চিপ কোম্পানি গুলোও একসময় পেনি স্টকই ছিল। আর যারা সেই সময় ওগুলোতে বিনিয়োগ করে লম্বা সময়ের জন্য ধরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা তাদের বিনিয়োগের সফরে কিছু মাল্টিব্যাগারের সন্ধান পেয়েছিল।
সুতরাং এই ধরণের শেয়ারের ক্ষেত্রে একদিকে যেমন বড় ভয় থাকে অন্যদিকে তেমনই থাকে সম্ভাবনাও। আর সেই এই চিলতে সম্ভাবনার আশায় ভর করেই অনেকে সম্ভাব্য মাল্টিব্যাগার পেতে ভালো মানের পেনি স্টকের খোঁজে থাকে।
এই নিবন্ধে এমনই ১০ টা কম দামের পেনি স্টকের নাম জানতে পারবেন যেগুলো খুবই চেনা পরিচিত এবং সম্ভাব্য মাল্টিব্যাগার হিসেবে এদের ওপর নজর রাখা যেতেই পারে…
#১ সুজলন এনার্জি (NSE: SUZLON)
শেয়ারের বর্তমান দাম | ১ বছরে সর্বোচ্চ দাম | ১ বছরে সর্বনিম্ন দাম |
১৪.১০ | ১৫.৭৫ | ৫.৪২ |
সুজলন হচ্ছে একটা রিনিউয়েবল বা গ্রীন এনার্জি কোম্পানি। এটা উইন্ড টারবাইন স্পেশালিস্ট। ভারত ছাড়াও সারা পৃথিবীব্যাপী ১৮ টারও বেশি দেশে এর উপস্থিতি আছে। ওই ১৮ টা দেশের মধ্যে আমেরিকা, চীন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সুইডেন ইত্যাদি দেশও পড়ে।
অতীতে মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে ধার এবং দুর্বল আর্থিক অবস্থার জন্য এই কোম্পানি অনেক খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে গেছে। কিন্তু বর্তমানে কোম্পানিটা তড়িৎ গতিতে এর ধারের পরিমাণ কমাচ্ছে আর সাথে সাথে এর আর্থিক অবস্থারও উন্নতি হচ্ছে। তাছাড়া ভারত সরকারের গ্রীন এনার্জির উপর নতুন ফোকাস এই কোম্পানিরটার জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করেছে।
ইদানিংকালে কোম্পানিটা লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছে। এত বছর ধরে করা এর রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্ট এখন ফলপ্রসু হচ্ছে। সারা পৃথিবীব্যাপী পাওয়া নতুন নতুন অর্ডারের মধ্যে ২০২২-এর শেষের দিকে আদানি গ্রীন এনার্জির থেকে পাওয়া অর্ডারও আছে।
পরিবর্তিত পরিস্থিতির জন্য করোনার পর থেকে এই শেয়ারের দাম সাত গুণেরও বেশি বেড়েছে এবং কেবলমাত্র বিগত তিন মাসেই এর দাম ডবল (৭ থেকে ১৪) হয়ে গেছে।
#২ সাউথ ইন্ডিয়ান ব্যাংক (NSE: SOUTHBANK)
শেয়ারের বর্তমান দাম | ১ বছরে সর্বোচ্চ দাম | ১ বছরে সর্বনিম্ন দাম |
১৮.২০ | ২১.৮০ | ৭.৪০ |
এই লিস্টের জন্য দক্ষিণভারতের (প্রাইভেট সেক্টর) সাউথ ইন্ডিয়ান ব্যাংকও একটা খুবই উপযুক্ত নাম। বিগত ১ বছরে এই শেয়ারের দাম প্রায় আড়াই গুন হয়ে গেছে। এবং আগামী দিনে এর কপাল আরও খুলতে পারে, কারণ প্রতি কোয়ার্টারে এর নেট ইন্টারেস্ট মার্জিন ও লাভ ক্রমশ বাড়ছে। অনাবাসী ভারতীয়দের মধ্যে এই ব্যাংক বেশ জনপ্রিয়। এদের কাস্টমার বাড়ার সাথে সাথে ফান্ডামেন্টালস আরও শক্তিশালী হবে সেটাই আশা করা যায়।
#৩ ইউকো ব্যাংক (NSE: UCOBANK)
শেয়ারের বর্তমান দাম | ১ বছরে সর্বোচ্চ দাম | ১ বছরে সর্বনিম্ন দাম |
২৭.৩৫ | ৩৮.১৫ | ১০.৬০ |
এটা ভারতের এক অন্যতম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক। বেশিরভাগ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মতোই এটাও বিগত কয়েক বছরে বেশ ভালো ব্যবসা করছে। ইদানিংকালে এর নেট ইন্টারেস্ট মার্জিন এবং লাভ ক্রমশ বাড়ছে। আর অন্যদিকে এদের ক্রেডিট কস্ট আর ব্যাড লোন-ও কমের দিকে।
বিগত পাঁচ বছরে এর রেভিনিউ, নেট ইনকাম ও ব্যালেন্স শীটের ক্রমাগত বৃদ্ধি চোখে পড়ার মতো। ২০২২ এর অক্টোবর মাস থেকে এখন পর্যন্ত এই শেয়ারের দাম প্রায় আড়াই গুন (১১.৬০ থেকে ২৭.৩৫ টাকা) হয়ে গেছে।
#৪ ব্যাংক অফ মহারাষ্ট্র (NSE: MAHABANK)
শেয়ারের বর্তমান দাম | ১ বছরে সর্বোচ্চ দাম | ১ বছরে সর্বনিম্ন দাম |
২৮.১০ | ৩৬.২৫ | ১৫.২০ |
আরেক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক যাদের ফান্ডামেন্টাল স্ট্রং হওয়ার সাথে সাথে ইদানিংকালে উল্লেখযোগ্য ক্রেডিট ও ডিপোজিটের বৃদ্ধি ওদের রেভিনিউ আর লাভের ক্রমশ বৃদ্ধির কারণ হয়েছে।
বিগত এক বছরে এর দাম বেড়েছে ৭৩%।
#৫ ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাংক (NSE: IOB)
শেয়ারের বর্তমান দাম | ১ বছরে সর্বোচ্চ দাম | ১ বছরে সর্বনিম্ন দাম |
24.40 | 36.70 | ১৫.40 |
এটাও একটা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক। এই তালিকার অন্যান্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মতোই বিগত কয়েক বছরে এটার-ও আর্থিক অবস্থার ক্রমাগত উন্নতি হচ্ছে। প্রতি কোয়ার্টারে আর্নিং পার শেয়ার, প্রফিট আফটার ট্যাক্স ইত্যাদি একদিকে বাড়ছে আর অন্যদিকে এনপিএ বা ব্যাড লোন কমছে।
এক বছরে এই শেয়ারে রিটার্ন ৪৬%।
#৬ ইনফিবিম এভিনিউস (NSE: INFIBEAM)
শেয়ারের বর্তমান দাম | ১ বছরে সর্বোচ্চ দাম | ১ বছরে সর্বনিম্ন দাম |
১৫.৬৫ | ২০.৩৫ | ১২.৮৫ |
এটা ভারতীয় স্টক এক্সচেঞ্জে লিস্টেড প্রথম ফিনটেক কোম্পানি। এর প্রধান ব্যবসা পেমেন্ট সংক্রান্ত প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করা। আর যেহেতু ইদানিংকালে ভারত সরকারের তরফে ডিজিটাল পেমেন্টের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে তাই এধরণের কোম্পানির ক্ষেত্রে ব্যবসা বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
ইদানিংকালে ইনফিবিম এভিনিউস এনপিসিআই-এর ভারত বিল পেমেন্ট সিস্টেমের (বিবিপিএস) অপারেটিং ইউনিট হিসাবে আরবিআই-এর থেকে রিনিউয়াল সার্টিফিকেট পেয়েছে। ফলে এটা ভারতের ২০০০-এরও বেশী শহরে বিস্তৃত বিবিপিএস-এর ১৮০০০-এর থেকে বেশী বিলার ও ১০ লাখেরও বেশী এজেন্টকে সার্ভিস দিয়ে যেতে পারবে।
এর বিলএভিনিউ প্ল্যাটফর্ম সম্প্রতি ১০ লাখ এজেন্টের মাইলস্টোন ছুঁয়েছে, এবং ২০২৫-এর মধ্যে সংখ্যাটা ৫০ লাখ ছুঁতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এনপিসিআই-এর বিবিপিএস ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যে এটার ৯০% মার্কেট শেয়ার আছে।
এই কোম্পানির ফ্ল্যাগশিপ সিসিএভিনিউ সবার প্রথম ই-রুপি ট্রানজাকশন করে নজির স্থাপন করেছে। এছাড়া সিসিএভিনিউ মোবাইল অ্যাপে কম খরচের ট্যাপ-পে ফিচার যোগ করা এর গ্রহণযোগ্যতা আরো বাড়াবে বলেই আশা করা যায়।
নতুন সবকিছু ডেভেলপমেন্টের উপর ভিত্তি করে ইদানিংকালে এর রেভিনিউ, নেট ইনকাম ও ব্যালেন্স শীটের বৃদ্ধি প্রতিশ্রুতি গুলোকেই দৃঢ়তার সঙ্গে প্রতিষ্ঠা করে।
#৭ ইয়েস ব্যাংক (NSE: YESBANK)
শেয়ারের বর্তমান দাম | ১ বছরে সর্বোচ্চ দাম | ১ বছরে সর্বনিম্ন দাম |
১৬.২৫ | ২৪.৭৫ | ১২.৩৫ |
এই ব্যাংক সংক্রান্ত স্ক্যামের কথা কারোই অজানা নয়। ওই স্ক্যামই একসময়ের দারুণ সম্ভাবনাময় একটা শেয়ারকে পেনি শেয়ারে পরিণত করেছে। কিন্তু ২০২০ তে ভারত সরকারের হস্তক্ষেপে স্টেট ব্যাংক এবং আরো অন্যান্য ব্যাংকের সহায়তায় এই ব্যাংক অতীতের সমস্ত কালো দিন পিছনে ফেলে, সামনের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ তৈরির পথে সচেষ্ট হয়েছে।
স্টেট ব্যাঙ্ক এবং এলআইসি মিলিতভাবে এখন এই ব্যাংকের ৩০ শতাংশেরও বেশী শেয়ারের মালিক। ২০২০-র রি-স্ট্রাকচারের পর থেকে এখন পর্যন্ত ক্যাপিটাল রেজ করে, নন-কোর অ্যাসেট বিক্রি করে এবং ঝুঁকিপূর্ণ লোনে এক্সপোজার কমিয়ে এই ব্যাংক ক্রমাগত এর আর্থিক অবস্থার উন্নতি সাধন করে চলেছে।
এছাড়া ব্যাংকে বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভারত সরকারের কিছু নিয়ম নীতির পরিবর্তন ভবিষ্যতে এই ব্যাংকের কর্মকান্ডে সাহায্যকারী হবে বলেই আশা করা যায়।
সবকিছু দেখেশুনে এই ব্যাংকের ওপর আরও একবার ফিরে তাকানোর সময় হয়েছে বলেই আমার মনে হয়।
# অন্যান্য
উপরের কোম্পানিগুলো ছাড়াও আরও কিছু উল্লেখযোগ্য নাম হল,
- মরপেন ল্যাব – একটা ফার্মা কোম্পানি।
- অলোক ইন্ডাস্ট্রিজ – মুকেশ আম্বানির অধিগৃহীত একটা টেক্সটাইল কোম্পানি।
- জম্মু এন্ড কাশ্মীর ব্যাংক – আরও একটা ব্যাংক।
- ভোডাফোন আইডিয়া বা ভি – বিশাল ধার, প্রচণ্ড কম্পিটিশন ও অনেক প্রতিকুল পরিস্থিতি সত্ত্বেও ভারত সরকারের সাহায্যে হাল না ছেড়ে দেওয়া ভারতের তৃতীয় প্রাইভেট টেলিকম কোম্পানি।
খুব সস্তার পেনি স্টকের সুবিধা
কম টাকা বিনিয়োগ করে অনেক বেশি রিটার্ন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে
ব্লু টিপ স্টপ বা বড় বড় কোম্পানির অনেক দামি শেয়ার কেনার বদলে পেনি স্টক কিনলে অনেক কম টাকা বিনিয়োগ করে অনেক বেশি সংখ্যায় শেয়ার কেনা যায়। এবং এই ধরনের শেয়ার সাধারণত যখন কোনো মুভমেন্ট হয় সেটা শতাংশের বিচারে বেশ বড় হয়। ফলে অনুকূল দিকে দাম গেলে খুব কম সময়ে অনেক বেশি লাভ করার সুযোগ পাওয়া যায়।
ভবিষ্যতের মাল্টিব্যাগার পাওয়া গেলেও যেতে পারে
এখন বাবসা খারাপ চলছে বলে শেয়ারের দাম খুব কম চললেও যদি সেই ব্যাবসা ঘুরে দাঁড়ায় তাহলে ভবিষ্যতের মাল্টিব্যাগার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এধরণের স্টকে।
সবাই বিনিয়োগ করতে পারে
এ ধরনের শেয়ারের দাম খুব কম হওয়ার জন্য যে খুব কম টাকা নিয়ে শেয়ার বাজারে অংশ নিতে চায় সে-ও নামমাত্র টাকাতেই এ ধরনের শেয়ার কিনতে পারে।
পেনি স্টকের অসুবিধা বা ঝুঁকি
অনেকসময় ভলিউম কম থাকে
পেনি স্টকে ভলিউম খুবই ওঠা নামা হয়। তাই এ ধরনের অনেক শেয়ার চাইলেও যেমন কম ভলিউম থাকার জন্য সবসময় কেনা যায় না আবার অনেক সময় পোর্টফোলিওতে পড়ে থাকা শেয়ার বিক্রি করতেও অসুবিধের সম্মুখীন হতে হয়। এছাড়া কম ভলিউমের কারণে এর ইমপ্যাক্ট কস্ট-ও বেশি হয়।
অনেক সময় ম্যানিপুলেশন হয়
এ ধরনের অনেক শেয়ারই ম্যানিপুলেশনের শিকার হয়। ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকিটা বেড়ে যায়।
কোম্পানির পারফরমেন্সে ধারাবাহিকতা থাকে না
এ ধরনের বেশীরভাগ কোম্পানিগুলো কোনো কোনো বছর কিছু কিছু কোয়ার্টারে ভালো রেজাল্ট দেখিয়ে ধারাবাহিকভাবে সেই ভালো ফল করতে ব্যর্থ হয়। ফলে সাময়িক সময়ের জন্য শেয়ারের দাম ওপর দিকে উঠলেও দামের ক্রমাগত বৃদ্ধি আর সম্ভবপর হয়ে ওঠে না।
অনেক সময় এ ধরনের কোম্পানির মধ্যে বড় কোনো সমস্যা থাকে
অনেক সময় কোম্পানির আভ্যন্তরীণ কোনো বড় সমস্যা বা ফ্রডের জন্যই একটা স্টক পেনি স্টকে পরিণত হয়। ওই সমস্যা সমাধানযোগ্য না হলে স্টক টা কোনদিনই পেনি স্টকের তকমা ছেড়ে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়না।
অনেক সময় এ ধরনের কোম্পানির অস্তিত্বই মুছে যায়
অনেক সময় এ ধরনের কোম্পানির অস্তিত্বই মুছে যায় এবং সেক্ষেত্রে সেই স্টক কিনে থাকলে বিশাল লসের সম্মুখীন হতে হয়।
শেষ কথা
পেনি স্টকে বিনিয়োগের বিষয়টা খুব আকর্ষণীয় মনে হলেও এ ব্যাপারে উপরিউক্ত ঝুঁকিগুলোর কথাও ভুলে গেলে কিন্তু চলবে না। তবে পোর্টফোলিও ডাইভারসিফাই করতে কিছু টাকা ভালো ও সম্ভাবনাময় এধরণের স্টকে বিনিয়োগ করে ক্যালকুলেটেড রিস্ক নেওয়াটার আইডিয়াটাও ফেলে দেওয়ার মতো নয়!
>>বিবিধ পরিভাষার জন্য পরিভাষার তালিকাটা দেখে নিতে পারেন।
দাবিত্যাগঃ উপরে দেওয়া পেনি স্টকের উদাহরণগুলো স্টক রেকমেন্ডেশন মোটেও নয়। আমি জানার উদ্দেশ্যে নামগুলো সামনে এনেছি মাত্র। বিনিয়োগ করতে চাইলে বিনিয়োগ দিগন্তের উপর ভিত্তি করে আরও বিস্তারিত বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQs)
পেনি স্টকে কিভাবে ট্রেড করা যায়?
ট্রেড করতে হলে তো প্রথমত একটা ট্রেডিং অ্যাকাউন্টের দরকার পড়বে। তাহলেই কেনা-বেচাটা করা যাবে। কিন্তু কখন কেনাবেচা করতে হবে সেটা বোঝার জন্য শেয়ার ট্রেডিং শিখতে হবে।
কতগুলো পেনি স্টক কেনা উচিত?
কতগুলো স্টক কেনা উচিত সেটা বড় কথা নয়, পোর্টফোলিওর কত অংশ এ ধরনের স্টকে বিনিয়োগ করা উচিত সেটা হচ্ছে বড় কথা। বিশেষজ্ঞদের মতে পোর্টফোলিওর ৫-১০%-এর বেশি এ ধরনের শেয়ারে বিনিয়োগ করা উচিত নয়।
পেনি স্টকে বিনিয়োগ করা কি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ?
এক কথায় উত্তর, হ্যাঁ!