ক্রেডিট কার্ড নতুন জেনারেশনের কাছে খুবই কাঙ্খিত একটা জিনিস। কারণ এই কার্ড থাকা মানে খুব সহজে ব্যাংকের টাকায় কেনাকাটা, ক্যাশলেস পেমেন্ট, ইএমআই আর রিওয়ার্ড-ডিস্কাউন্টের নতুন এক দুনিয়া একেবারে হাতের মুঠোয় চলে আসা। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ব্যবসা বা চাকরি ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত না হলে বা মাসের শেষে নিয়মিত ও স্ট্যান্ডার্ড একটা ইনকাম ঘরে না তুলতে পারলে ব্যাংকগুলো এই কার্ড পাওয়ার জন্য যোগ্য মনে করেনা। আর সেজন্যই জেন-এক্সের কাছে প্রথম গার্লফ্রেন্ডের মত প্রথম ক্রেডিট কার্ড পাওয়াটাও সফলতার এক বিশেষ প্রতীক হিসাবে মান্যতা পায়!
প্রথমবার এই কার্ড পাওয়ার জন্য করা আবেদন অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার পর যখন ব্যাংকের তরফ থেকে কার্ড সম্বলিত খাম বা কিট-টা হাতে আসে তখন সেই সৌভাগ্যবান আবেদনকারীকে আর পায় কে! খামটা খুলে প্রথমবারের জন্য পাওয়া নতুন কার্ডের গন্ধ, সেটার ডিজাইন, লোগো ও উপরে এনগ্রেভ করা নিজের নামটা দেখার সেই আনন্দ-অনুভূতি চির অমলিন হয়ে রয়ে যায় মনের মনিকোঠায়। প্রথম ক্রেডিট কার্ড হাতে পাওয়ার সময় আমার মতো আশাকরি আপনিও এই একই রকম অনুভূতির সাক্ষী থেকেছেন…
যাইহোক, সদ্য কার্ড হাতে পাওয়ার উত্তেজনাটা উপভোগ করার পর সত্বর খুবই জরুরী কিছু কাজ করে নিতে হয় সেটার প্রকৃত ব্যবহার শুরু করার আগে। কী সেই কাজ এবং কেন করতে হয় সেটাই জানতে পারবেন এই নিবন্ধে।
#১ কার্ডের পেছনে নির্দিষ্ট জায়গায় নিজের সই
প্রত্যেক কার্ডের পেছনেই একটা জায়গা দেওয়া থাকে নিজের সইটা করার জন্য। যদিও সেটা করা বা না করার উপরে ট্রানজেকশন হবে কি হবে না সেটা নির্ভর করে না, তবে অফলাইনে কেনাকাটা করার সময় ওই সইটা ভেরিফাই করা হলেও হতে পারে। এক সময় কার্ড খোয়া গেলে বা স্কিমিং এর কবলে পড়লে জালিয়াতির হাত থেকে এই সইটা অনেক সময়েই বাঁচাত। তবে ইদানিংকালে ওটিপির মাধ্যমে ভেরিফিকেশন এর কাজটা হয়ে যায় বলে এই সইটার বিশেষ কোনো প্রয়োজন আর পড়ে না।
তবে ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী কার্ড পাওয়ার পরেই সইটা করে নেওয়াই উচিত। কারণ, কার্ডের পেছনে লেখা নির্দেশ অনুযায়ী, ‘সই না করা পর্যন্ত কার্ডটা বৈধ নয়’। এই সই করা মানে আসলে কার্ড সম্পর্কিত সমস্ত শর্তাবলী গুলোয় সম্মতি প্রদান করা। তাছাড়া এই সই না করা থাকলে অফলাইনে কেনাকাটার সময় কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে অস্বীকার করা হলেও হতে পারে।
#২ সিভিভি নম্বর কালো স্টিকার দিয়ে চাপা দেওয়া
ক্রেডিট কার্ডের সামনে থাকা কার্ড নম্বর, এক্সপায়ারি ডেট আর পেছনে থাকা সিভিভি নম্বর অনলাইনে ট্রানজেকশনের সময় প্রয়োজন পড়ে। এই তিনটে নম্বর একসাথে দিয়ে তবেই অনলাইন ট্রানজেকশন সম্পূর্ণ করা যায়। অর্থাৎ সেভাবে দেখলে ওগুলো আসলে গোপনীয় নম্বর। কিন্তু কার্ডের ওপরেই ওগুলো প্রিন্ট থাকায় অফলাইনে ব্যবহার করার সময় ওগুলো লিক হলেও হতে পারে।
তাই ওগুলোর মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সিভিভি নম্বরটাকে মুখস্ত করে নেওয়ার পর সেটার উপরে একটা কালো স্টিকার দিয়ে চাপা দিয়ে দিলে অফলাইনে ব্যবহার করার সময় একসাথে তিনটে নম্বর লিক হয়ে জালিয়াতি হওয়ার সম্ভাবনা কমে।
#৩ কার্ডের অ্যাক্টিভেশন
এর পরের কাজ হচ্ছে কার্ডটা অ্যাক্টিভেট করে নেওয়া। সুরক্ষার জন্য কার্ডটা যখন ব্যাংকের তরফ থেকে পাঠানো হয় তখন সেটার সব রকম সুবিধাগুলো ডিঅ্যাক্টিভেট করা থাকে। আর কার্ড হাতে পাওয়া মাত্র সেটাকে অ্যাকটিভ করলে তবেই সুবিধাগুলো চালু হয়। ব্যাংকের তরফে সাধারণত এক মাসের একটা সময়সীমা থাকে যার ভেতরেই কাজটা করতে হয়। অন্যথায় কার্ডটা স্থায়ীভাবে নিস্ক্রিয় হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই কার্ড হাতে পাওয়ার পরই দেরী না করে সেটাকে সত্তর সক্রিয় করে নেওয়া প্রয়োজন।
বিভিন্ন ব্যাংকের ক্ষেত্রে এই অ্যাক্টিভেট করার নিয়ম একটু আধটু আলাদা হয়। তবে সাধারণত কার্ডের কিটের সাথে দেওয়া কাগজ বা কার্ডের উপর চিপকানো স্টিকারে অ্যাক্টিভেশনের নিয়মটা লেখা থাকে। ব্যাংকের উপর ভিত্তি করে ব্যাংকের নম্বরে ফোন করে, এসএমএস পাঠিয়ে, এটিএম থেকে বা কার্ডের অনলাইন অ্যাকাউন্টে লগইন করে কাজটা করা যায়। তবে ইদানিংকালে বেশীরভাগ কার্ডের ক্ষেত্রে এটিএম পিন সেট করা বা প্রথম ট্রানজেকশন করার সাথে সাথেই কার্ডটা অ্যাক্টিভেট হয়ে যায়।
#৪ ব্যাংকের ওয়েবসাইট বা অ্যাপে নিজের কার্ডের অনলাইন অ্যাকাউন্ট সেট-আপ
ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সাথে যেমন নেট-ব্যাংকিং-এর সুবিধা পাওয়া যায় ঠিক একইভাবে ক্রেডিট কার্ডের সাথেও একই রকম অনলাইন অ্যাকাউন্টের সুবিধা পাওয়া যায়। ব্যাংকে আগে থেকে সেভিংস অ্যাকাউন্ট থাকলে বা নেট-ব্যাংকিং-এর সুবিধা নেওয়া থাকলে সেই অ্যাকাউন্টের সাথে কার্ড অ্যাকাউন্ট নিজে নিজেই লিংক হয়ে যেতে পারে বা করতে হতে পারে। আর সেটা না হলে ব্যাংকের কার্ড স্পেসিফিক ওয়েবসাইট বা অ্যাপ থেকে কার্ডের অনলাইন অ্যাকাউন্টটা চালু করে নেওয়া যায়।
কার্ড কিট-এ উল্লিখিত ওয়েবসাইটে গিয়ে বা বিশেষ কার্ড অ্যাপ ডাউনলোড করে ব্যাংক ভেদে নিজের ফোন নম্বর, কার্ড নম্বর, বিশেষ কাস্টমার আইডি এবং ওটিপি-র সাহায্য নিয়ে প্রথমবারের জন্য অ্যাকাউন্টটা তৈরি করতে হয়। আর একবার সেটা করা হয়ে গেলে পিন বা পাসওয়ার্ড সহযোগে অ্যাকাউন্টে ঢুকে কার্ড সম্পর্কিত বিভিন্ন রকম কন্ট্রোল গুলো সেট করা যায় বা বিভিন্ন ফিচার চালু বা বন্ধ করে নেওয়া যায়। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটা সেটিংস যেগুলো সত্বর ঠিকঠাক করে নেয়া প্রয়োজন সেগুলো হল,
ক) প্রয়োজনীয় ট্রানজেকশনের সুবিধা চালু এবং অপ্রয়োজনীয়গুলো বন্ধ
ক্রেডিট কার্ডে অনেক ধরনের ট্রানজেকশন করার সুবিধা পাওয়া যায়। যেমন অনলাইন, পয়েন্ট অফ সেল, কন্ট্যাক্টলেস, এটিএম, ইন্টারন্যাশনাল ইত্যাদি। নতুন কার্ডে এই সমস্ত বিভিন্ন রকম ট্রানজেকশনের মধ্যে বেশিরভাগই বাই ডিফল্ট বন্ধ করা থাকে। অনলাইন অ্যাকাউন্ট অ্যাক্সেস করার পর ওই সমস্ত বিবিধ ট্রানজেকশনের সুবিধা গুলোর মধ্যে যেগুলো প্রয়োজন সেগুলো চালু আর অপ্রয়োজনীয় গুলো বন্ধ রাখাই ভালো।
বিশেষ করে ইন্টারন্যাশনাল আর কন্ট্যাক্টলেস ট্রানজেকশনের সুবিধা বন্ধ রাখাটাই মঙ্গল। কারণ একদিকে যেমন ইন্টারন্যাশনাল ট্রানজেকশনের ক্ষেত্রে সাধারণ ট্রানজেকশনের মত ডবল ভেরিফিকেশন করতে ওটিপির প্রয়োজন পড়ে না অন্যদিকে কন্ট্যাক্টলেস ট্রানজেকশনের ক্ষেত্রে পিন ছাড়াই কাজ চলে যায়। ফলে, এই দুই বৈশিষ্ট্য চালু রাখা মানে কার্ড খোয়া যাওয়া বা জালিয়াতির কিছু ফাঁদের ক্ষেত্রে সুরক্ষার দেওয়ালটা দুর্বল করে ফেলা।
খ) কার্ড ট্রানজেকশন লিমিট প্রয়োজন অনুযায়ী কমানো
এর পরের কাজ হচ্ছে যে সমস্ত ট্রানজেকশনগুলো চালু রাখা হল সেগুলোর ক্ষেত্রে ডেইলি এবং মান্থলি লিমিট প্রয়োজনমতো কমিয়ে রাখা। প্রয়োজনের ন্যুনতম অঙ্ক অনুযায়ী লিমিট সেট করে রাখলে সেটা জালিয়াতির হাত থেকে বাঁচতে একটা অতিরিক্ত সেফটি লেয়ার হিসাবে কাজ করে।
গ) নতুন পিন সেট
কার্ডের পিন কিভাবে সেট করা যাবে তার নির্দেশাবলী কার্ডের সাথে দেওয়া কাগজপত্রেই থাকে। এটিএম, এসএমএস বা কলের পাশাপাশি কার্ডের অনলাইন অ্যাকাউন্ট থেকেও খুব সহজেই পিন সেট করা যায়। আর এমন একটা পিন সেট করতে হয় যেটা অন্য ডেবিট/ ক্রেডিট কার্ডের পিন থেকে আলাদা হয় এবং মনে রাখা সহজ কিন্তু অনুমান করা কঠিন হয়।
#৫ ওয়েলকাম অফারের শর্তাবলী গুলো ভালোভাবে জানা
অনেক ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রেই সেটা নেওয়ার সময় কিছু ওয়েলকাম অফার পাওয়া যায়। কার্ড ভেদে তার মধ্যে ক্যাশব্যাক, রিওয়ার্ড পয়েন্ট, গিফট কার্ড, অ্যানুয়াল ফি তে ছাড়, ফ্রি সাবস্ক্রিপশন, ফ্রী মুভি টিকিট ইত্যাদি এই ধরণের অনেক কিছুই পড়তে পারে। কিন্তু সেই অফার পাওয়ার জন্য অনেক সময়েই কিছু শর্ত (যেমন, বিশেষ অ্যামাউন্টের ট্রানজেকশন করা) মেনে চলতে হয়। তো নিজের কার্ডের ক্ষেত্রে সেই শর্তটা জেনে নিয়ে পূরণ করে নিতে হয় যাতে অফারটা পেতে কোনো রকম সমস্যা না হয়।
#৬ স্টেটমেন্ট ডেট জানা ও কার্ড বিলের অটোপে বা পেমেন্ট রিমাইন্ডার সেট করা
ক্রেডিট কার্ড নেওয়া মানেই প্রতি মাসে মনে করে বিল মেটানোর পালা শুরু হয়ে যায়। আর ডিউ ডেটের আগে সেটা করতে কোনোভাবে ভুলে গেলেই মোটা অঙ্কের পেনাল্টি ও সুদ গুনতে হয়। অসাবধানবশত এই ধরণের পরিস্থিতি যাতে কখনো না তৈরি হয় তার জন্য প্রথমেই কার্ডের স্টেটমেন্ট ও ডিউ ডেট জেনে নিতে হয় আর তারপর ব্যাংকে আবেদন করে বা অ্যাপে অপশন থাকলে সেখান থেকে অটোপে সেট করে নিতে হয়।
এছাড়া একটা রিমাইন্ডার লাগিয়ে নিলেও তা প্রতিমাসে ডিউ ডেটের আগে অ্যালার্ট করে পেমেন্ট মিস করার ঝামেলা থেকে বাঁচায়।
#৭ কোনো একটা ক্রেডিট কার্ড পেমেন্ট অ্যাপে কার্ডটা অ্যাড করা
ব্যাংকের নিজস্ব অ্যাপ ছাড়াও কিছু কিছু থার্ড পার্টি ক্রেডিট কার্ড পেমেন্ট অ্যাপ হয় (যেমন ক্রেড) যাতে কার্ডটা অ্যাড করে নিলেও বিলের অঙ্ক ও ডিউ ডেট সহজেই জানতে ও দেখতে পারা যায়। আর ডিউ ডেট যত এগিয়ে আসে ওগুলো তত বেশি বেশি পেমেন্টের রিমাইন্ডার-ও দেয় যাতে একটাও পেমেন্ট মিস না হয়। এছাড়া স্টেটমেন্ট জেনারেটের আগে কত খরচ হলো আর স্টেটমেন্ট জেনারেট হওয়ার পর তাতে কোনো হিডেন চার্জ আছে কিনা সেটাও এক ঝলকে দেখে নেওয়া যায় এই ধরণের অ্যাপ ব্যবহার করলে। এমনকি এর মাধ্যমে খুব সহজে বিল পেমেন্টটাও করে ফেলা যায় আর সেটা করার সময় টুকটাক ক্যাশব্যাকও পাওয়া যায়।
তাই, এটা করা আবশ্যিক না হলেও ক্রেডের মতো যেকোনো একটা কার্ড পেমেন্টের অ্যাপে কার্ডটা অ্যাড করে নেওয়াই ভালো।
#৮ রিওয়ার্ড প্রোগ্রাম বুঝে নেওয়া
ক্রেডিট কার্ডের ভ্যারাইটির কোনো শেষ নেই। আর বিভিন্ন ধরনের ক্রেডিট কার্ডে বিভিন্ন ধরনের ট্রানজাকশনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন হারে রিওয়ার্ড পয়েন্ট বা ক্যাশব্যাক পাওয়া যায়। নিজের কার্ড হাতে পাওয়ার পর ওই কার্ডের ক্ষেত্রে এসবের হারগুলো ভাল করে জেনে নিতে হয় যাতে উপযুক্ত ক্ষেত্রে সঠিকভাবে ব্যবহার করে কার্ডের সুবিধাগুলোর সর্বাধিক ব্যবহার করা যায়।
এছাড়া কিছু কিছু সুবিধা পাওয়ার জন্য খরচের এক একটা মাইলস্টোন ছুঁতে হয়। সে ব্যাপারেও আগে থেকে জেনে রাখতে হয় যাতে পরে ব্যবহার করার সময় সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
#৯ কার্ডের সাধারণ শর্তাবলী ও ফি সম্পর্কিত বিষয়গুলো বুঝে নেওয়া
ক্রেডিট কার্ডের সাথে বেশ কিছু কাগজপত্র থাকে যার মধ্যে এটা ব্যবহারের সাধারণ শর্তাবলী আর চার্জের বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে লেখা থাকে। আর যদি সেখানে না ও থাকে সেক্ষেত্রে ব্যাংকের ওয়েবসাইটে ওই কার্ডের পেজ থেকেও সব ধরনের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়। নিজের কার্ডের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সব ধরনের শর্তাবলী আর চার্জের বিষয়গুলো আগেই জেনে নেওয়া প্রয়োজন যাতে ভবিষ্যতে কোনরকম আর্থিক ক্ষতি বা সমস্যার সম্মুখীন না হতে হয়।
#১০ নীচের আর্টিকেলগুলো পড়া
ক্রেডিট কার্ডের ব্যাপারে আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জানার জন্য নিচের আর্টিকেলগুলো পড়ে নেওয়া যেতে পারে।
ক) ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের সুবিধা।
খ) ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি কিভাবে হয় এবং কিভাবে বাঁচবেন?
গ) এই কার্ড থেকে ক্যাশ তোলার আগে যা যা জানার…
ঘ) এই কার্ডের ব্যাপারে ৭ টা ভুল ধারণা।
শেষ কথা
দায়িত্ব সহকারে ও সাবধানে ব্যবহার করলে ক্রেডিট কার্ড আমাদের রোজকার জীবনে আশীর্বাদের মতো হতে পারে। আবার অন্যদিকে সুরক্ষার ব্যাপার গুলো না খেয়াল রেখে এবং মাত্রাতিরিক্ত ভাবে ব্যবহার করলে এই একই জিনিস অভিশাপ হতেও বেশি সময় নেয় না!
তাই নতুন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীদের কাছে আমার বার্তা হচ্ছে জিনিসটা ধীরে ধীরে লিমিটের মধ্যে ব্যবহার করুন, বিবিধ ফিচারগুলো এক্সপ্লোর করুন এবং নতুন যুগের এই বিশেষ ধরনের ক্যাশলেস পেমেন্ট এর সুবিধাগুলো প্রাণভরে উপভোগ করুন…