শেয়ার বাজারের ট্রেডিং কোর্সের বাস্তব সত্যি! খরচের আগে জেনে নিন।

5/5 - (1 জন রেটিং করেছেন)

করোনার ঢেউ আসার শুরুতে শেয়ার বাজারে বিশাল একটা ধস নামে। কিন্তু তার পর যখন বাজার আবার চাঙ্গা হতে আরম্ভ করে তখন যেন চৈত্র সেলের উৎসব লেগে যায়! সবাই হুমড়ে পড়ে সস্তায় শেয়ার কেনাকাটা করতে।

শেয়ার বাজারে এই নবজোয়ার অনেক কিছু বদলে দেয়। সহজেই লাভ হচ্ছে দেখে অনেক নতুন ট্রেডার এই মহা র‍্যালিতে অংশ নেয়। কিন্তু যেহেতু তারা নতুন তাই তাদের মধ্যে অনেকেই ভালোভাবে ট্রেডিং করার জন্য এই ব্যাপারে আরও বেশি শিখতে আগ্রহী হয়। আর এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে অনেক নতুন ‘ট্রেনার’ আবির্ভূত হয় তাদের কোর্সের ডালি নিয়ে।

ঐ সমস্ত ট্রেনাররা সোশ্যাল মিডিয়াকে নিজেদের সুবিধার্থে ব্যবহার করে বিশাল বিশাল লাভের স্ক্রিনশট (আসল এবং নকল) শেয়ার করে এবং মার্কেটিং এর বিভিন্ন ট্যাকটিক্স ব্যবহার করে নতুন নতুন শিক্ষানবিস আকৃষ্ট করতে থাকে এবং উচ্চ দরে তাদের কোর্স বিক্রি করতে থাকে।

কিন্তু ঐ সমস্ত কোর্স আদপে কতটা কার্যকরী? ওগুলো আদৌ কোনো কাজে আসে নাকি পুরো বিষয়টাই অনর্থক? ওগুলো করার আগে যেসমস্ত দাবি করা হয় সেগুলোর কতটা সত্যি? ঐক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়গুলো উহ্য রাখা হয়? কোর্স গুলোর অত দাম হওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত? ওগুলো করামাত্রই কি সফল ট্রেডার হয়ে যাওয়া যায়? এই ধরণের সমস্ত বিষয়গুলোই আজ এই নিবন্ধে সবার সামনে আনার চেষ্টা করব…

সূচীপত্র দেখান

সব ট্রেনারের উপরে কি চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায়?

সবে যেটা বলছিলাম, হঠাৎ করে অনেক ‘নতুন’ ‘নতুন’ ট্রেনার আবির্ভূত হয়েছে। কারণ সফল ট্রেডার হওয়ার থেকে সফল ট্রেনার হওয়া অনেক সহজ। আমি সবার কথা বলছিনা, কিন্তু যেসমস্ত ‘ট্রেডার’-রা কোর্স বিক্রি করছে তাদের মধ্যে দেখা যাবে অনেকেই নিজেই হয়তো লাভজনক ট্রেডার হয়ে উঠতে পারেনি। আর যে নিজেই ট্রেডিং-এর ধাঁধাটার সমাধান করে উঠতে পারেনি সে নতুনদের শেখাবে কিভাবে?

একটাই সূত্র সবার জন্য খাটবে এমনটা নয়

কোর্সগুলোতে সাধারণত কিছু ‘উইনিং’ স্ট্রাটেজির উপর ফোকাস করা হয়। কিন্তু প্রত্যেকটা মানুষ আলাদা। আর তার সাথে আলাদা তাদের মানসিকতা, পরিস্থিতি ও ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা। ট্রেনার নিজে সফল হলেও যে সমস্ত স্ট্র্যাটেজি তার নিজের ক্ষেত্রে কাজ করেছে সেগুলো যে সবার জন্য কাজ করবে তার কিন্তু কোনো গ্যারান্টি নেই। কারণ একটা ট্রেড সফল হওয়ার জন্য সঠিক স্ট্রাটেজির পাশাপাশি আরো অনেক কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে। আর কোর্সে সাধারণত স্ট্রাটেজি বাদ দিয়ে ওইসব অন্যান্য বিষয়গুলো হয় শেখানো হয় না বা শেখানো সম্ভবই নয়। কারণ ওগুলো একমাত্র অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে হয়। [… পড়তে থাকুন। এব্যাপারে একটু পরেই জানতে পারবেন]

কোর্সে ভর্তি করানোর আগে যে সমস্ত দাবি করা হয় সেগুলো সবসময় সত্যি নয়

বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ট্রেডিং তথা এই কোর্সগুলোকে একটা দ্রুত ধনী হওয়ার রাস্তা হিসাবে তুলে ধরা হয়। ট্রেনারদের অনেক সময়েই দাবী করতে শোনা যায় যে, কোর্স করার পরেই মাত্র অমুক মাস পর থেকেই সফলভাবে ট্রেড করা যাবে। এতে শেখা বিদ্যে কাজে লাগিয়ে চুটকিতে এর খরচের টাকা তুলে নেওয়া যাবে। প্রতি বছরে ক্যাপিটাল কয়েক গুন করে বাড়িয়ে নেওয়া যাবে। প্রতি ট্রেডে বিশাল বিশাল লাভ হবে। ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু বাস্তবে এগুলোর বেশিরভাগটাই সত্যি নয়।

আরও পড়ুনঃ  শেয়ার বাজারের 5 স্বনামধন্য ট্রেডার - ইনভেস্টার - যারা এখানেই খুঁজে পেয়েছেন গুপ্তধন

ট্রেডিং যতটা সরল হিসাবে দেখানো হয় বাস্তবে ঠিক ততটাই জটিল। লম্বা সময় ধরে অনবরত ট্রেড করতে করতে এবং লস করতে করতে ধীরে ধীরে এর সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয়গুলো বুঝে ওঠা যায়। এবং তার পরই একজন লাভজনক ট্রেডার হয়ে ওঠা যায়। আর এর জন্য দরকার পড়ে পরিপক্কতা, নিয়মানুবর্তিতা ও ধৈর্য। এটাকে দ্রুত ধনী হওয়ার রাস্তা হিসাবে নিলে দ্রুত গরীব হওয়া ছাড়া আর কিছুই জুটবে না!

লাভের স্ক্রিনশট সবসময় আসল ছবিটা সামনে আনেনা!

যারা কোর্স বেচে তাদের হামেশাই সোশ্যাল মিডিয়াতে তাদের ‘নিজেদের’ বা তাদের ‘ছাত্রদের’ লাভের স্ক্রীনশট শেয়ার করতে দেখা যায়। কিন্তু তারা কেবলমাত্র লাভের স্ক্রিনশট গুলোই শেয়ার করে থাকে। বেশীরভাগ সময়েই যে ট্রেডগুলোয় ক্ষতি হয় সেগুলো তারা কখনোই সামনে আনেনা। তাছাড়া আর একটা ব্যাপার হচ্ছে অনেক সময় ঐ সমস্ত স্ক্রিনশট অন্যের থেকে চুরি করা হয় বা এডিট করা অর্থাৎ ফেক-ও হয়। এসব স্ক্রিনশট দেখে এমন একটা ধারণা তৈরি হয় যেন তারা সব সময়েই জিতছে বা লাভ করছে।

কিন্তু আসলে বাস্তব হচ্ছে ট্রেডিং-এ সব সময় লাভ করা যায় না। আর তার দরকারও পড়ে না। প্রধান কথা হচ্ছে রিস্ক ম্যানেজমেন্ট। এটা ঠিকঠাক করতে পারলে অর্ধেক ট্রেডে লস করেও সামগ্রিকভাবে লাভে থাকা যায়।

কোর্স করে ট্রেডিং-এ সফলতার ‘ডেলিভারি’ নেওয়া সম্ভব নয়

অনলাইনে জিনিসপত্র কেনার সময় পেমেন্ট করার পর আমাদের প্রত্যাশা থাকে যে, সেটা হোম ডেলিভারি হবে। এবং কয়েকদিন পর সেই প্রত্যাশা পূরণ-ও হয়। ট্রেডিং-এর কোর্সের পেমেন্ট করার সময়ও আমাদের এই একই ধরনের প্রত্যাশা থাকে। আমরা স্বপ্ন দেখি কোর্স শেষে ট্রেডিং-এর সব কিছু শিখে গিয়ে আমরা সফল ট্রেডার হয়ে যাব। কিন্তু এই প্রত্যাশা পূরণ হওয়ার নয়।

পেমেন্ট করার সময় মনে হতে পারে যে আমরা আমাদের সমস্যার একটা সমাধান কিনছি। কিন্তু আসল কথা হচ্ছে একটা কোর্স ট্রেডিং-সফরের ভুমিকা ছাড়া আর কিছুই নয়! প্রকৃত কাজ শুরু হয় এটা করার পর। কোর্স যত ভালোই হোক না কেন আসল শেখাটা হয় নিজে দীর্ঘদিন ধরে ট্রেড করতে করতে এবং বহু ট্রায়াল ও এররের মধ্যে দিয়ে।

আরও পড়ুনঃ  শেয়ার বাজারে ভালো শেয়ার চেনার উপায় প্রথমবার বিনিয়োগের জন্য

ঝুঁকি নেওয়ার জন্য বেশ বড় ক্যাপিটাল এবং ইনকামের অন্য উৎস ছাড়া ট্রেডিং-এ সফল হওয়া প্রায় অসম্ভব

২-৫ হাজার টাকায় ট্রেডিং শেখা বা হাতে খড়ি করা গেলেও, প্রকৃত ট্রেড করতে বেশ মোটা টাকার দরকার পড়ে। আর সেই টাকাটা নিত্য-প্রয়োজনের বাইরের টাকা হওয়া জরুরী। রোজকার প্রয়োজনের টাকা থেকে ট্রেড করলে সেই টাকা লস করতে না চাওয়াটা ট্রেডিং-এ ব্যর্থতার কারণ হয়।

আর এই জিনিসগুলো সাধারণত কোর্সে বলা হয়না। তাছাড়া ঐ রিস্ক ক্যাপিটাল যোগানের জন্য ট্রেডিং এর পাশে একটা আলাদা ইনকাম থাকাও জরুরী, অন্তত যতদিন পর্যন্ত ধারাবাহিক সফলতা না আসে। মোটা অঙ্কের ক্যাপিটাল নিয়ে আর কোনো আলাদা আয় ছাড়া ট্রেডিং-এ নামা মানে সেক্ষেত্রেও রোজকার খরচ চালানো ও ট্রেড করে এগোনো সমস্যার কাজ হয়ে দাঁড়ায়।

যেসব সফল ট্রেডাররা কোর্স করান তাদের ক্ষেত্রেও কিন্তু তাদের কোর্সই ঐ আলাদা ইনকামের কাজটা করে দেয়। কিন্তু সেটা তো আর তারা ছাত্রদের বলবেন না, তাই না!

ট্রেডিং-এর মানসিক দিকটা কোর্সের মাধ্যমে শেখা সম্ভবই না

সমস্ত নিয়ম নীতি শেখা হয়ে গেলেও এবং পর্যাপ্ত ক্যাপিটাল থাকলেও সফলভাবে ট্রেডিং করার একটা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো আবেগ নিয়ন্ত্রণ। লাইভ ট্রেডিং করার সময় নিজের ভয় এবং লোভের নিয়ন্ত্রণ ছাড়া এক্ষেত্রে সফল হওয়া সম্ভব নয়।

আর এটা নিজেকেই রপ্ত করতে হয় অভ্যাসের মাধ্যমে। কোর্স থেকে এটা শেখা যায় না এবং ভর্তির আগে এবিষয়ে কিছু বলাও হয়না।

টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস শেখা আর ট্রেড করতে শেখার মধ্যে বিস্তর ফারাক

একটা প্রচলিত ধারণা হচ্ছে ট্রেডিং মানে টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস করা। আর অনেক সময়েই কোর্স গুলোতেও কেবল এটাই শেখানো হয়। কিন্তু ট্রেডিং করা আর শুধুমাত্র টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস করার মধ্যে অনেক তফাৎ। টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস ট্রেডিং-এর একটা অংশ মাত্র। কোর্স করে টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস শেখা হয়ে গেলেও ট্রেডিং-টা কিন্তু না শেখাই রয়ে যায়।

অনেক সময় ছোট্ট ছোট্ট সাধারণ জিনিসকে অনেক ফেনানো হয়

বেশীরভাগ কোর্সগুলোতে ট্রেডিং-এর অতি সাধারণ বেসিক জিনিসগুলো লম্বা করে অনেক ফেনিয়ে শেখানো হয়। আবার একসাথে যত বেশি ছাত্রকে শেখানো হয় ছোট ছোট লজিকগুলো বোঝানোর জন্য তত বেশি সময় ব্যয় হয়। ওই সমস্ত বেসিক জিনিসগুলোর বেশিরভাগটাই বই পড়ে, গুগল সার্চ করে কিংবা ইউটিউব থেকে খুব সহজে ফ্রিতেই শিখে নেওয়া যেতে পারে।

কোর্স থেকে লাভ কার?

যারা কোর্স করতে চায় তারা টাকা খরচ করে নিজে কিছু শেখার জন্য। আর যারা এগুলো করায় যদিও তাদের প্রধান উদ্দেশ্য হওয়া উচিত শেখানো, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা এগুলো তৈরি করে নিজেদের লাভের স্বার্থেই।

আর সরাসরি এর খরচ নেওয়ার পাশাপাশি অনেক ট্রেনারদের উদ্দেশ্য থাকে একটার পর আরো একটা কোর্স বিক্রি করে, ট্রেডিং কলের বা ট্রেডার ফোরামের মেম্বারশিপ করিয়ে, অ্যাফিলিয়েট লিংকের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট তৈরি করিয়ে এবং বিশেষ সফটওয়্যার, ইন্ডিকেটর বা অন্য কোনো সার্ভিস বিক্রি করার মাধ্যমে আরও মুনাফা লোটার।

দামী মানেই দারুণ এমনটা নাও হতে পারে

এমনিতে সাধারণত দামী জিনিস মানে ভালো মানের জিনিস হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে তেমনটা মোটেও নয়। এধরণের কোর্সের কেমন দাম হওয়া উচিৎ সেটার কোনো নিয়মনীতি বা গাইডলাইন তো নেই, তাই যে যা খুশি দাম ধরে বসে থাকে। তাই দামী কোর্স করলেই ট্রেডিং শেখা যাবে বা দামী হলে ঠকার সম্ভাবনা নেই – এধরণের ধারণা মন থেকে মুছে ফেলাই ভালো।

আরও পড়ুনঃ  শেয়ার বাজার কি জুয়াড়িদের জায়গা?

সত্যিই কি কোর্স করা প্রয়োজন?

সমস্ত সফল ট্রেডার তাদের নিজেদের বানানো ইউনিক স্ট্র্যাটেজি ফলো করে ট্রেড করেন। সফল হতে হলে নিজের পছন্দমত এবং উপযুক্ত স্ট্র্যাটেজি নিজেকেই বানাতে হয়। অন্যের দেখানো স্ট্র্যাটেজি হুবহু অনুসরণ করে সফল হওয়া যায় না।

আর কোর্সে যে বেসিকগুলো শেখানো হয় সেগুলো ইচ্ছে থাকলে নিজে নিজে শেখা একটু কঠিন হলেও অসম্ভব মোটেও নয়। হ্যাঁ সত্যিকারের অভিজ্ঞ কেউ হাতটা ধরলে সুবিধে হয় তবে কোনো কোর্স না করেও সফল ট্রেডার হওয়া যায়।

আর আমার মনে হয় এসবের পিছনে বিশাল টাকা খরচ করার থেকে সেই টাকায় লাইভ ট্রেডিং শেখা বেশী কাজের হবে।

শেষ কথা

তবে এতটা হতাশ হওয়ারও কিছু নেই। কোর্স করতে চাইলে ভালো ট্রেনার যে বাজারে নেই তা কিন্তু নয়। তবে তার জন্য অনুসন্ধান করতে হবে, গুগলে রিভিউ দেখতে হবে বা অন্য ছাত্রদের সাথে যোগাযোগ করা গেলে তাদের থেকে মতামত নিতে হবে। পথপ্রদর্শক হিসেবে একজন যোগ্য ও সৎ শিক্ষক পাওয়া গেলে এই কঠিন রাস্তায় দিক খুঁজে পেতে যে সুবিধাই হবে সেব্যাপারে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।

তবে যেকোনো কোর্সে টাকা ঢালার আগে এই প্রশ্নগুলো একবার নিজেকে করে নিন…

আমি কী কিনছি? এটা থেকে আমি কী পাব? তারা কী বিক্রি করছে? আমি কি সত্যিই আগ্রহী? এগুলো কি বই পড়ে বা ইন্টারনেট থেকে শিখে নেওয়া যায় না? আমার কি সত্যিই কোর্স করার সময় বা প্রয়োজন আছে? আমি কি সত্যিই একজন ট্রেডার হতে চাই?

এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পেয়ে গেলেই সঠিক সিদ্ধান্তটা নিতে আপনার সুবিধা হবে। আর অনর্থক টাকা নষ্ট হওয়াটা আটকাতে পারবেন। এই বলে আজ এখানেই ইতি টানছি। ভালো থাকবেন। 🙂


প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQs)

কোনো কোর্স না করেও কি সফল ট্রেডার হওয়া সম্ভব?

একশবার! এখনকার অনেক অভিজ্ঞ সফল ট্রেডারই কখনোও কারও কাছে এর পাঠ নেননি। তাই কারও জন্য সম্ভব হলে আপনার জন্যও সম্ভব। তাছাড়া এখন নেটে অনেক লিখিত এবং ভিডিও কনটেন্ট পাওয়া যায় যেগুলো থেকে অনেক কিছু শেখা যায়। আর বই তো আছেই।

বাংলায় শেয়ার ট্রেডিং শেখার ভালো ওয়েবসাইট কী?

বাংলায় ট্রেডিং, ইনভেস্টিং ও টাকাপয়সা সংক্রান্ত আরও অনেক কিছু জানার ও শেখার একটাই ঠিকানা –  গুপ্তধন ডট কম।

মন্তব্য করুন