শেয়ার বাজারে ট্রেড করার সময় ক্যান্ডেলস্টিক চার্ট নিয়ে হামেশাই চর্চা করতে হয়। টেকনিক্যাল অ্যানালিসিসের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পার্ট এটাই। শেয়ারের দাম আসছে সময়ে কোনদিকে যেতে পারে তার একটা সম্ভাব্য ধারণা এই চার্ট পড়েই পাওয়া যায়।
এই চার্ট পড়ার ক্ষেত্রে সবার প্রথমে ক্যান্ডেলস্টিক আসলে কী সেটা বুঝতে হয়। অতঃপর এক বা একাধিক আলাদা আলাদা আকার বা প্রকারের ক্যান্ডেলস্টিকের বিশেষ ক্রমে আবির্ভূত হওয়ার ধরণ থেকে আগামী সময়ে দামের সম্ভাব্য গতবিধি সম্পর্কে ধারণা তৈরি করতে প্রয়োজন পড়ে ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন স্টাডি করার।
ক্যান্ডেলস্টিকের বিষয়ে অন্য একটা আর্টিকেলে আগেই বিশদে আলোচনা করেছি। এই আর্টিকেলের আলোচনার বিষয় ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন।
শুরু করার আগে…
ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্নগুলো সম্পর্কে জানার আগে কয়েকটা বিষয় জেনে নেওয়া জরুরী। যেমন,
- যখন সেলারদের থেকে বায়ার বেশী থাকে তখন ওপেনিং-এর থেকে ক্লোজিং প্রাইস বেশী হয় এবং সবুজ ক্যান্ডেল তৈরি হয় আর এর উল্টোটা হলে লাল ক্যান্ডেল তৈরি হয়।
- সবুজ ক্যান্ডেল বাজারের শক্তি বোঝায় অর্থাৎ এক্ষেত্রে বুল বা বায়াররা সেলারদের থেকে শক্তিশালী হয়। আর অন্যদিকে লাল ক্যান্ডেল বোঝায় দুর্বলতা, অর্থাৎ এক্ষেত্রে বুল বিয়ারদের থেকে দুর্বল হয়।
- একটা ক্যান্ডেলে কোনো উইক না থাকা বা ছোট্ট উইক থাকা মানে বোঝায় এক পক্ষই শক্তিশালী। আর লম্বা উইক থাকা মানে বোঝায় এক পক্ষ চেষ্টা করেছিল দাম তাদের আকাঙ্ক্ষিত দিকে নিয়ে যাওয়ার, কিন্তু অন্য পক্ষের শক্তি বৃদ্ধি হওয়ায় তাদের সেই চেষ্টা বিফল হয়েছে।
- ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্নের সংজ্ঞা অনুযায়ী প্রত্যেক প্যাটার্নের কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য থাকে, তবে বাস্তবে পুঁথিগত সংজ্ঞার ওই সমস্ত বৈশিষ্ট্য সবসময় পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে মেলে না।
- প্যাটার্ন স্পট করার আগে পূর্ববর্তী ট্রেন্ড নির্ধারণ করে নেওয়া আবশ্যক।
- এই সমস্ত প্যাটার্নগুলো খুব কম সময়ের জন্য কার্যকরী হয়। প্যাটার্ন সম্পূর্ণ হওয়ার ৩ থেকে ৫ টা ক্যান্ডেল পর এগুলোর কার্যকারিতা দ্রুত কমে যায়।
একটা ক্যান্ডেলস্টিকের প্যাটার্ন
একটা ক্যান্ডেলস্টিক দিয়ে যে সমস্ত প্যাটার্ন গুলো তৈরি হয় সেগুলোকে প্যাটার্ন না বলে ক্যান্ডেলস্টিকের ধরণ বলা বেশি সমীচীন হবে। এইরকম বিশেষ ধরণের বা আকারের কিছু ক্যান্ডেলস্টিকের পরিচয় নীচে দেওয়া হলঃ
মারুবজু (Marubozu)
এটাকে সবথেকে সরল ক্যান্ডেলস্টিক বলা যেতে পারে। এগুলো জাস্ট লম্বা বাতির মতো একটা বডি নিয়ে তৈরি হয় এবং এর উপরে ও নিচে কোনো উইক থাকে না। জাপানি শব্দ ‘মারুবজু’-র মানে নেড়া। উইক থাকেনা বলেই এর এমন নাম। যদি এটা সবুজ রঙের হয় তবে বুলিশ মারুবজু বলা হয় আর যদি লাল রঙের হয় তবে সেক্ষেত্রে সেটাকে বিয়ারিশ মারুবজু বলা হয়।
এ ধরনের ক্যান্ডেলস্টিক তৈরি হওয়ার অর্থ হচ্ছে বুল বা বিয়ারের মধ্যে যেকোনো একদল ভীষণ শক্তিশালী। স্বাভাবিকভাবেই সবুজের ক্ষেত্রে বোঝায় বাজার ভীষণ বুলিশ আর লালের ক্ষেত্রে বোঝায় বাজার ভীষণ বিয়ারিশ।
হ্যামার বা হাতুড়ি
এই প্যাটার্ন একটা হাতুড়ির মতো দেখতে ক্যান্ডেলস্টিক নিয়ে তৈরি হয়। এর নীচে একটা লম্বা উইক আর উপরে ছোট্ট বডি থাকে। বডির উপরে হয় খুবই ছোট্ট একটা উইক থাকে কিংবা একদমই থাকেনা। সাধারণত এগুলো ডাউন্ট্রেন্ডের নীচে তৈরি হয় এবং এর পর দাম ঘুরে যাওয়ার বা বুলিশ রিভার্সাল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এই ধরণের আকার তৈরির মানে হচ্ছে প্রথমদিকে সেলিং এর চাপ থাকলেও শেষপর্যন্ত বায়াররাই জেতে এবং দাম ঠেলে উপর দিকে পাঠিয়ে দেয়। তাই লম্বা উইকটা তৈরি হয়। ক্যান্ডেলস্টিকটা সবুজ এবং লাল, এই দুই রঙেরই হতে পারে। তবে সবুজ হ্যামার লাল হ্যামারের থেকে বেশি শক্তিশালী আপট্রেণ্ড নির্দেশ করে।
এ ধরনের ক্যান্ডেল তৈরি হওয়ার অর্থ হচ্ছে একটা ডাউন ট্রেন্ড বা বিয়ারিশ ফেজের পর আবার বুলগুলো শক্তি প্রদর্শন করা শুরু করেছে, অর্থাৎ বায়াররা সেলারদের ওভারপাওয়ার করতে আরম্ভ করেছে। এর থেকে এই সিদ্ধান্তে আসা যেতে পারে যে, ট্রেন্ড উল্টে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এর পরে আরও একটা সবুজ বুলিশ ক্যান্ডেল তৈরি হলে ঐ সম্ভাবনাটা আরও সুনিশ্চিত হয়।
ইনভার্টেড হ্যামার
ইনভার্টেড হ্যামার সাধারণ হ্যামার প্যাটার্নের মতোই কিন্তু উল্টো হয়। মানে এর লম্বা উইকটা বডির উপরে থাকে। হ্যামারের মতো এগুলোও ডাউনট্রেন্ডের নিচেই তৈরি হয়।
এ ধরনের ক্যান্ডেল তৈরি হওয়ার মানে হচ্ছে ডাউন ট্রেন্ড চলাকালীন বিক্রেতারা দাম আরো নিচে নামানোর চেষ্টা করেছিল কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে কারণ ক্রেতারা নতুন উদ্যম নিয়ে ফিরতে আরম্ভ করেছে। এবং এরকম ক্যান্ডেল তৈরি হওয়ার পর আরও ক্রেতা ফিরতে আরম্ভ করে এবং বুলিশ রিভার্সাল হবার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
শুটিং স্টার
শুটিং স্টার মানে উল্কা। নামটা একটু আলাদা হলেও বা বর্ণনাটা আলাদা ভাবে করা হলেও এগুলো আসলে ইনভার্টেড হ্যামারের মতোই দেখতে। কিন্তু বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী এগুলো হ্যামার বা ইনভার্টেড হ্যামারের বিপরীত হয়। কারণ, এগুলো আপট্রেন্ডের উপরে দেখা যায় এবং এরপর বিয়ারিশ রিভার্সালের সম্ভাবনা তৈরি হয়।
এর পেছনে সাইকোলজিক্যাল ব্যাখ্যাটাও হ্যামারের পুরোপুরি উল্টো। আপট্রেন্ড চলাকালীন এইরকম একটা ক্যান্ডেল তৈরি হওয়ার অর্থ হচ্ছে প্রথমত বায়াররা দাম উপর দিকে তুলে দেওয়ার পর হঠাৎ সেলারদের আগমন শুরু হয় ও সেলাররা আবার দাম ঠেলে নিচে নামিয়ে দেয়।
হ্যাঙ্গিং ম্যান
হ্যামারের সঙ্গে ইনভার্টেড হ্যামারের যেমন সম্পর্ক ঠিক তেমনি শুটিং স্টারের সঙ্গে হ্যাঙ্গিং ম্যানের সম্পর্ক। অর্থাৎ এগুলো দেখতে তো একদম হ্যামারের মতই হয় কিন্তু তৈরি হয় আপট্রেন্ডের উপরে এবং তৈরি হওয়ার পর বিয়ারিশ রিভার্সালের সংকেত দেয়।
ডোজি
ডোজি ক্যান্ডেলস্টিকে শুধু উইক থাকে এবং বডি প্রায় থাকেনা বললেই চলে। এগুলোয় ওপেনিং আর ক্লোজিং প্রাইস প্রায় একই হয়।
যখন বায়ার অর্থাৎ বুল এবং সেলার অর্থাৎ বিয়ার উভয়েই বাজার কোনদিকে যাবে সেটা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য লড়াই করে কিন্তু দুপক্ষই নিজস্ব উদ্দেশ্য সাধনে ব্যর্থ হয় তখন এধরণের ক্যান্ডেলস্টিক তৈরি হয়। অর্থাৎ, বাজারে যখন অনিশ্চয়তা বিরাজ করে তখন এগুলো দেখা যায়।
স্পিনিং টপ
এক ধরণের ঘুরঘুরির নাম স্পিনিং টপ। আর তার মতো দেখতে ক্যান্ডেলস্টিককে স্পিনিং টপ বলে। এগুলো বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী সব দিক থেকেই ডোজির মতো। তবে এর বডিটা ডোজির থেকে একটু বড় বা মোটা হয়। ব্যাস শুধু এটুকুই তফাৎ।
দুই ক্যান্ডেলস্টিকের প্যাটার্ন
দুই ক্যান্ডেলস্টিক নিয়ে যে প্যাটার্নগুলো তৈরি হয় সেগুলো হল,
এনগাল্ফিং
এনগাল্ফ করা মানে গ্রাস করা বা গিলে নেওয়া। এক রঙের একটা ক্যান্ডেলস্টিক তৈরি হওয়ার পরে যখন তার থেকে লম্বা বিপরীত রঙের দ্বিতীয় ক্যান্ডেলস্টিক তৈরি হয়, অর্থাৎ দ্বিতীয়টা প্রথমটাকে যখন গিলে নেয় বা ঢাকা ফেলে দেয় তখন এনগাল্ফিং প্যাটার্ন তৈরি হয়।
লাল রঙের ছোটো ক্যান্ডেলের পর সবুজ রঙের বড় ক্যান্ডেল তৈরি হলে সেটাকে বুলিশ এনগাল্ফিং বলা হয় আর সবুজ রঙের ছোট ক্যান্ডেলের পর লাল রঙের বড় ক্যান্ডেল তৈরি হলে সেটাকে বিয়ারিশ এনগাল্ফিং বলা হয়।
বুলিশ এনগাল্ফিং-এর ক্ষেত্রে ডাউনট্রেন্ডের সময় দ্বিতীয় ক্যান্ডেলটা প্রথম লাল ক্যান্ডেলের নীচে ওপেন হলেও বায়ার বা বুলগুলো সেলার রা বিয়ারদের ওভারপাওয়ার করে দাম তুলে আগের ক্যান্ডেলের উপরে পাঠিয়ে দেয়। তাই এগুলো সাধারণত বুলিশ রিভার্সালের সংকেত বহন করে।
আর বিয়ারিশ এনগাল্ফিং-এর ক্ষেত্রে বিপরীত ঘটনা ঘটে।
হারামি
এগুলো দেখতে এনগাল্ফিং-এর উল্টো কিন্তু চরিত্রে একই। মানে এক্ষেত্রে দ্বিতীয় ক্যান্ডেলটা প্রথমটার থেকে ছোটো (ও ইনসাইড ক্যান্ডেল) হয় কিন্তু রিভার্সালের সংকেত বহন করে। জাপানি শব্দ ‘হারামি’-র মানে অন্তঃসত্ত্বা। এই প্যাটার্ন খানিকটা অন্তঃসত্ত্বা নারীর মত দেখতে হয় বলে এর এমন নাম!
প্রথম ক্যান্ডেল লাল আর দ্বিতীয় ক্যান্ডেল সবুজ হলে সেটাকে বুলিশ হারামি বলা হয় আর উল্টোটা হলে বিয়ারিশ হারামি বলা হয়। বুলিশ হারামির ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সবুজ ক্যান্ডেল বুলদের ফেরার কথা বলে আর বিয়ারিশ হারামির ক্ষেত্রে দ্বিতীয় লাল ক্যান্ডেল বিয়ারদের ফেরার কথা বলে।
বুলিশ পিয়ারসিং লাইন
দুই ক্যান্ডেলস্টিক বিশিষ্ট এই প্যাটার্নের প্রথম ক্যান্ডেলটা ডাউন ট্রেন্ডের শেষ লাল ক্যান্ডেল হিসাবে তৈরি হয়। আর দ্বিতীয় ক্যান্ডেলটা গ্যাপডাউন হয়ে শুরু হওয়ার পরও ট্রেন্ডের দিক পাল্টে একটা সবুজ বুলিশ ক্যান্ডেলে পরিণত হয় এবং প্রথম ক্যান্ডেলের মাঝের লাইন ভেদ (পিয়ারস) করে তার ওপরে শেষ হয়।
প্যাটার্ন তৈরির ধরণ থেকেই বোঝা যাচ্ছে এটা তৈরি হওয়া মানে আসলে বুলদের ফেরা শুরু এবং স্বাভাবিকভাবেই এটা বুলিশ রিভার্সালের সংকেতবাহী।
ডার্ক ক্লাউড কভার
বুলিশ পিয়ারসিং লাইনের বিয়ারিশ ভার্সনের নাম ডার্ক ক্লাউড কভার। এই প্যাটার্ন তৈরি হওয়া মানে আশার (বুল) পর অনিশ্চয়তার কালো মেঘের (বিয়ার) আগমন হওয়া।
তিন ক্যান্ডেলস্টিকের প্যাটার্ন
থ্রি হোয়াইট সোল্ডার্স
পরপর তিনটে লম্বা সবুজ (বা সাদা) ক্যান্ডেল নিয়ে এই প্যাটার্ন তৈরি হয়। সাধারণত এগুলোর উইক খুব ছোটো হয় বা থাকেইনা। আর এগুলোর প্রত্যেকটা আগেরটার থেকে একধাপ উপরে তৈরি হয়, অর্থাৎ ওপেনিং আর ক্লোজিং আগের ক্যান্ডেলের থেকে উপরে থাকে।
এই প্যাটার্ন সাধারণত ডাউনট্রেন্ডের পরে দেখা যায় এবং খুবই শক্তিশালী বুলিশ রিভার্সালের সংকেত বহন করে।
থ্রি ব্ল্যাক ক্রো-স
পরপর তিনটে লাল (বা কালো) ক্যান্ডেল নিয়ে তৈরি হয় থ্রি হোয়াইট সোল্ডার্স-এর বিয়ারিশ ভার্সন থ্রি ব্ল্যাক ক্রো-স বা তিনটে কালো কাক প্যাটার্ন!
মর্নিং স্টার
হতাশায় ভারাক্রান্ত বাজারে আশার আলোর সংকেত নিয়ে আসে মর্নিং স্টার প্যাটার্ন! ৩ ক্যন্ডেল সম্বলিত এই প্যাটার্নে প্রথমটা হয় লম্বা লাল, দ্বিতীয়টা ছোট্ট বডিসহ (লাল বা সবুজ) ডোজির মতো আর তৃতীয়টা লম্বা সবুজ। ডোজির মতো মাঝের ক্যান্ডেলটাই এক্ষেত্রে স্টার আর সাধারণত ওটা লম্বা দুটোর বডির সাথে ওভারল্যাপ করেনা।
এই প্যাটার্ন তৈরি হওয়ার অর্থ সেলিং প্রেসার ক্রমশ কমে আসা এবং বুলদের আগমন বা বুলিশ রিভার্সাল হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হওয়া।
ইভিনিং স্টার
এটা মর্নিং স্টারের বিয়ারিশ সংস্করণ।
থ্রি ইনসাইড আপ ও ডাউন
এক্ষেত্রে ৩ টে ক্যান্ডেলস্টিকের প্রথমটা লম্বা লাল, দ্বিতীয়টা ছোটো সবুজ এবং তৃতীয়টা লম্বা সবুজ হয়। দ্বিতীয়টা প্রথম ক্যান্ডেলের ইনসাইডে থাকে অর্থাৎ এর ওপেনিং প্রথমটার উপরে কিন্তু ক্লোজিং প্রথমটার নীচে (তবে মধ্যরেখার উপরে) থাকে। অর্থাৎ প্রথম দুই ক্যান্ডেল হারামি গঠন তৈরি করে। তৃতীয় লম্বা সবুজ ক্যান্ডেলটা প্রথম ক্যান্ডেলের ক্লোজিং-এর উপরে ক্লোজ করে যা বোঝায় বায়াররা সেলারদের ডোমিনেট করতে শুরু করেছে।
ডাউনট্রেন্ডের নীচে এধরণের প্যাটার্ন তৈরি হয় এবং এটা বুলিশ রিভার্সালের সংকেত দেয়।
থ্রি ইনসাইড ডাউন এর ঠিক উল্টো হয়, অর্থাৎ আপট্রেন্ডের উপরে তৈরি হয়ে বিয়ারিশ রিভার্সালের সম্ভাবনা জ্ঞাপন করে।
শেষ কথাঃ
উপরে যে সমস্ত ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্নের কথা বললাম সেগুলো আলাদাভাবে ব্যবহার না করে টেকনিক্যাল অ্যানালিসিসের অন্যান্য উপকরণ যেমন চার্ট প্যাটার্ন এবং বিবিধ ইন্ডিকেটর সহযোগে ব্যবহার করা উচিৎ। কারণ শুধুমাত্র এধরণের প্যাটার্ন থেকে পাওয়া সংকেত সবসময় পুরোপুরি ভরসাযোগ্য হয়না।
এই নিবন্ধ থেকে যদি আপনি নতুন কিছু শিখে থাকেন তাহলেই আমার প্রচেষ্টা সার্থক। কোনো কিছু বলার থাকলে কমেন্ট বক্সে বলতে পারেন। আর নিবন্ধটা ভালো মনে হলে সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন!
আজ তাহলে এখানেই শেষ করি। ভালো থাকবেন।
সম্পর্কিত পাঠঃ ক্যান্ডেলস্টিক চার্ট কী? শেয়ার বাজারে নতুনদের এটা জানা চাই-ই চাই! সবথেকে সেরা 10+ চার্ট প্যাটার্ন। এগুলো না জেনে শেয়ার ট্রেডিং সম্ভব নয়।