আজকাল আমরা অনেকেই ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড বা দুইই ব্যবহার করে ডিজিটাল লেনদেন করতে অভ্যস্ত। ডিজিটাল যুগের ডিজিটাল কাজের উদ্দেশ্যে দুই ফিজিক্যাল উপাদান এই দুই কার্ড। ক্যাশ বহন, ক্যাশে কেনাকাটা বা পাওনা মেটানোর পুরানো রীতির বদলে এগুলো ঘষে (সোয়াইপ করে) বা ঠেকিয়ে (কনটাক্টলেস ট্রানজেকশন) কিংবা অনলাইনে যেকোনো পেমেন্টের পেজে কার্ড নাম্বার ও এর অন্যান্য গোপন তথ্য দিয়ে আমরা পাওনা শোধ করতে পারি। শুধু তাই নয়, ২৪ ঘণ্টায় যে কোনো সময় ব্যাংকে যাওয়ার ঝামেলা এড়িয়ে যেকোনো এটিএম-এ গিয়েই চটজলদি কড়কড়ে ক্যাশ হাতে পেতেও প্রয়োজন পড়ে এই কার্ডেরই।
দু ধরণের কার্ডকেই এমনিতে বাইরে থেকে একই রকম দেখতে। আধুনিক ভাষায় দুই কেই প্লাস্টিক মানি বলা হয়। এদের মাধ্যমে আমাদের যে কার্যসিদ্ধি হয় তাও একই। কিন্তু পর্দার পিছনে যা হয়, বা এদের কার্যপদ্ধতির বিচারে আসলে এরা একেবারেই আলাদা। তাছাড়া দুই ধরণের কার্ড পাওয়ার নিয়ম, সুবিধা, খরচ, ব্যবহার করার পরে করনীয় কাজ এবং আরও কিছু কিছু বিষয়েও একে অপরের থেকে ভিন্ন।
এই নিবন্ধে আজ আমরা এই দুই ধরনের কার্ডের পার্থক্যের কথাই জেনে নেব।
ডেবিট কার্ড কী?
ডেবিট মানে হচ্ছে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া। যে কার্ড আমাদের নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে আমাদের যেকোনো ধরনের পেমেন্ট করতে (বা টাকা তুলতে) সক্ষম করে সেই কার্ডই ডেবিট কার্ড। যেকোনো ব্যাংকে সেভিংস বা কারেন্ট একাউন্ট বানালে সেই অ্যাকাউন্টের সাথে ব্যাংকের তরফ থেকে এই ডেবিট কার্ড প্রোভাইড করা হয়।
ক্রেডিট কার্ড কী?
ক্রেডিট মানে ধার। কার্ড প্রদানকারী সংস্থার থেকে তাৎক্ষণিক ধার নেওয়ার মাধ্যমে আমাদের পেমেন্ট করতে সক্ষম করে এই ক্রেডিট কার্ড। সাধারণত ব্যাংক এবং অন্যান্য কার্ড প্রদানকারী সংস্থা এই কার্ড পাওয়ার যোগ্যদের কার্ড ইস্যু করার মাধ্যমে প্রধানত কেনাকাটার সময়ে বা অন্যান্য ক্ষেত্রে একটা নির্দিষ্ট লিমিটের মধ্যে পেমেন্ট করার জন্য এই সুবিধা দেয়। ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে খরচ করার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সুদ ছাড়া বা নির্দিষ্ট সময়ের পরে সুদসহ ধার করা টাকা ফেরত দিতে হয়।
দুই কার্ডের মিল
দুই কার্ডের পার্থক্যের আগে চলুন জেনে নেওয়া যাক এই দুটো কার্ড অভিন্ন কোন কোন বিয়য়ে…
- দুই কার্ড দেখতে একদম একই এবং উভয়ের ক্ষেত্রেই সাধারণত সামনে থাকে ব্যবহারকারীর নাম, ১৬ অঙ্কের একটা অনন্য কার্ড নাম্বার, এক্সপায়ারি ডেট, কার্ড নেটওয়ার্কের (যেমনঃ ভিসা) লোগো আর সিম কার্ডের মত দেখতে একটা সিকিউরিটি চিপ। আর পিছনে থাকে কালো ম্যাগনেটিক স্ট্রিপ, তিন অঙ্কের সিভিভি নাম্বার, সই করার জায়গা আর কার্ড নেটওয়ার্কের হলোগ্রাম।
- উভয় কার্ডই অনলাইন বা অফলাইনে কেনাকাটার সময় ব্যবহার করা যায়।
- কন্টাক্টলেস বা ইন্টারন্যাশনাল ডলার ট্রানজাকশন ছাড়া দুই ধরনের কার্ডের ক্ষেত্রেই ট্রানজাকশন সম্পূর্ণ করতে হয় পিন অথবা ওটিপির প্রয়োজন পড়ে।
- কেনাকাটা ছাড়াও উভয় কার্ডই এটিএমে ব্যবহার করে ক্যাশ তোলা যায়।
ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের পার্থক্য
চলুন এবার তাহলে জেনে নেওয়া যাক এই দুই কার্ডের মধ্যে তফাৎটা কোথায়…
কার্ড ব্যবহারের যোগ্যতা
ডেবিট কার্ডের জন্য আলাদা কোনো রকম যোগ্যতার প্রয়োজন পড়ে না। সাধারণত ১৮ বছরের ওপরে বয়স হলেই ব্যাংক একাউন্ট তথা ডেবিট কার্ডের জন্য যোগ্য হয়ে যাওয়া যায়। তবে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে ১৮ বছরের কম বয়সেও ডেবিট কার্ড পাওয়া যেতে পারে।
অন্যদিকে ক্রেডিট কার্ড প্রদানকারী সংস্থা গুলো বিশেষ কিছু শর্তসাপেক্ষে ক্রেডিট কার্ড প্রোভাইড করে। ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার জন্য ১৮ বছরের বেশি বয়স হওয়ার পাশাপাশি নিজস্ব নূন্যতম ইনকাম, ভালো ক্রেডিট স্কোর, ইতিমধ্যে থাকা লোনের বোঝা ইত্যাদি কিছু কিছু বিষয় দেখে নিয়ে তবেই সরবরাহ করে।
কার্ড প্রদানকারী সংস্থা
ডেবিট কার্ড সাধারণত কেবলমাত্র ব্যাংক তাদের অ্যাকাউন্টের সাথে প্রোভাইড করে। তবে কিছু কিছু নতুন টেক কোম্পানি ট্র্যাডিশনাল ব্যাংকের সাথে গাঁটছড়া বেঁধে নিওব্যাংক (উদাঃ ফাই মানি) নামে বিশেষ সুবিধা সহ নতুন ধরনের সম্পূর্ণ ডিজিটাল ব্যাংকিং পরিষেবা তথা ডেবিট কার্ড ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে।
আর অন্যদিকে ক্রেডিট কার্ড ব্যাংক ছাড়া অন্যান্য ক্রেডিট কার্ড প্রদানকারী সংস্থাও প্রোভাইড করে। আবার নিজে ক্রেডিট কার্ড প্রোভাইডার নয় এ ধরনের কিছু কিছু কোম্পানি তাদের নিজেদের কাস্টমারদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার জন্য অনেক সময় অন্য ব্যাংকের সাথে গাঁটছড়া বেঁধে কো ব্র্যান্ডেড ক্রেডিট কার্ড প্রোভাইড করে (উদাঃ অ্যামাজন পে আইসিআইসিআই ক্রেডিট কার্ড এবং ফ্লিপকার্ট অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক ক্রেডিট কার্ড)।
রকমফের
ব্যাংকের তরফ থেকে যে সমস্ত ডেবিট কার্ড প্রোভাইড করা হয় সেগুলো তাতে পাওয়া সুবিধা অনুযায়ী সীমিত কয়েক রকমেরই হয়।
কিন্তু অন্যদিকে ক্রেডিট কার্ড প্রদানকারী সংস্থাগুলো ক্লাসিক, ক্যাশব্যাক, শপিং, রিওয়ার্ডস, ফুয়েল, ট্রাভেল, লাইফ স্টাইল, বিজনেস ইত্যাদি বিভিন্ন রকমের কার্ড বিবিধ কারণে ব্যবহারের জন্য এবং নিজেদের কার্ডের পাশাপাশি বিবিধ কো-ব্যান্ডেড ক্রেডিট কার্ডও প্রোভাইড করে। মানে এক্ষেত্রে ডেবিট কার্ডের থেকে অনেক বেশি বিকল্প থেকে পছন্দের কার্ড বেছে নেওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়।
টাকার উৎস
কার্ড ব্যবহার করা মানে হয় কোথাও টাকা পেমেন্ট করা বা এটিএম থেকে টাকা তোলা। ডেবিট কার্ডের ক্ষেত্রে এই টাকা আসে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে।
অন্যদিকে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার সময় যে টাকাটা পেমেন্ট হয় সেটা ব্যবহারকারীর নিজের টাকা নয়। কার্ড প্রদানকারী সংস্থা পেমেন্টের সময় কার্ড ব্যবহারকারীর হয়ে ওই টাকাটা পে করে দেয়।
ব্যবহারের সীমা
নিজের ব্যাংক একাউন্টে যত টাকা থাকে ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে সর্বাধিক তত টাকাই খরচ করা যায়। তবে এটিএম থেকে টাকা তোলার ক্ষেত্রে সাধারণত একটা বিশেষ অংকের দৈনিক লিমিট থাকে।
অন্যদিকে ব্যবহারকারীর আয় ও ক্রেডিট স্কোর, কার্ডের বয়স ইত্যাদি বিবিধ বিষয়ের উপর ভিত্তি করে প্রত্যেক ক্রেডিট কার্ডের একটা নির্দিষ্ট পূর্ব নির্ধারিত ক্রেডিট লিমিট থাকে। এই কার্ড ব্যবহার করে ওই লিমিটের বেশি খরচ করা যায় না।
ব্যাংক অ্যাকাউন্টের প্রয়োজনীয়তা
ডেবিট কার্ড পাওয়ার জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকা বাধ্যতামূলক কিন্তু অন্যদিকে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকলেও সেই ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড পেতে কোনো অসুবিধা হয় না।
মাসিক স্টেটমেন্ট
যেহেতু ডেবিট কার্ডে কোনো রকম ধার দেনার ব্যাপার নেই তাই এক্ষেত্রে কোনোরকম মাসিক স্টেটমেন্ট জেনারেট হয় না।
কিন্তু ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে প্রতিমাসের একটা নির্দিষ্ট দিনে সেই মাসের সমস্ত খরচের হিসেব সম্বলিত একটা স্টেটমেন্ট জেনারেট হয় এবং নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে সেই বিল শোধ করতে হয়।
সুদ
নিজের টাকা কেটে ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট হয় তাই এক্ষেত্রে সুদ দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
অন্যদিকে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা মানে কার্ড প্রদানকারী সংস্থার থেকে ধার নেওয়া। তবে কার্ড ব্যবহারের দিন থেকে স্টেটমেন্টের দিন পর্যন্ত এবং স্টেটমেন্ট জেনারেট হওয়ার পর থেকে সাধারণত আরও কুড়ি দিন সময় পাওয়া যায় স্টেটমেন্টের বিল চুকিয়ে দেওয়ার জন্য। নির্ধারিত ডিউ ডেটের মধ্যে পুরো টাকা মিটিয়ে দিলে কোনো সুদ বহন করতে হয় না। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেবলমাত্র ন্যূনতম বিল মেটালে বা নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পরে বিল মেটালে খরচের টাকা মেটানোর পাশাপাশি সুদও দিতে হয়। ডিউ ডেটের মধ্যে যদি নূন্যতম বিল টুকুও না মেটানো হয় তাহলে কিন্তু সুদের পাশাপাশি একটা পেনাল্টিও দিতে হয়।
বার্ষিক ফি
ডেবিট কার্ড ব্যবহারের জন্য সাধারণত ব্যাংক থেকে একটা ছোট অ্যামাউন্টের বার্ষিক চার্জ কাটে। তবে অনেক ব্যাংক তাদের বিশেষ ধরনের অ্যাকাউন্টের জন্য অনেক সময় এই চার্জটা নেয় না।
বেশীরভাগ ক্রেডিট কার্ডের জন্য সাধারণত ৫০০ বা তার বেশি অঙ্কের বার্ষিক মেম্বারশিপ ফি দিতে হয়। এই মেম্বারশিপ ফি কত হবে সেটা কার্ডের ধরন বা কার্ড প্রদানকারী সংস্থার উপর নির্ভর করে। বছরে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অংকের টাকা খরচ করলে বা লাইফ টাইম ফ্রি ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে এই মেম্বারশিপ ফি দিতে হয় না।
এটিএম থেকে টাকা তোলা
ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে এটিএম থেকে মাসে নির্দিষ্ট বার টাকা তোলার জন্য সাধারণত কোন খরচ লাগে না। তবে ইদানিং অনেক কার্ডে নির্দিষ্ট সংখ্যার থেকে বেশি বার টাকা তোলার জন্য প্রতি ট্রানজাকশনে সামান্য কিছু চার্জ কাটে।
অন্যদিকে ক্রেডিট কার্ডে ধার হিসেবে যেটা দেওয়া হয় সেটা কেনাকাটায় ব্যবহার করার জন্য। তাই যেখানে এই কার্ড ব্যবহার করে কেনাকাটা করলে ৫০ দিন পর্যন্ত ইন্টারেস্ট ফ্রী পিরিয়ড পাওয়া যায় সেখানে এটিএম থেকে ক্যাশ তোলার জন্য এই কার্ড ব্যবহার করলে ক্যাশ তোলার সঙ্গে সঙ্গেই ইন্টারেস্ট কাউন্ট করা শুরু হয় এবং এটিএমে ব্যবহার করার জন্য একটা অতিরিক্ত প্রসেসিং ফি-ও দিতে হয়।
পেমেন্টের সময় চার্জ
যেকোনো সময় যেকোনো কার্ড ব্যবহার করে পেমেন্ট করলে যারা পেমেন্ট নিচ্ছে তারা ব্যাংক-কে একটা ট্রানজাকশন চার্জ দিয়ে থাকে। এই ট্রানজাকশন চার্জ টা সাধারণত ডেবিট কার্ডের তুলনায় ক্রেডিট কার্ডে অনেক বেশি হয়।
তাই অনেক সময় অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ডেবিট কার্ডে পেমেন্ট এর ক্ষেত্রে কোন এক্সট্রা চার্জ না নিলেও ক্রেডিট কার্ডে পেমেন্টের ক্ষেত্রে একটা এক্সট্রা ফি নিয়ে থাকে।
রেকারিং পেমেন্ট
যেকোনো সাবস্ক্রিপশন কেনার সময় বা যদি এমন কিছু পেমেন্ট করতে হয় যেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে বারংবার স্বয়ংক্রিয় রেকারিং ট্রানজাকশনের দরকার পড়ে সে ক্ষেত্রে ডেবিট কার্ড প্রযোজ্য হয় না এবং ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেই পেমেন্ট করতে হয়। কারণ সাধারণত ডেবিট কার্ডে রেকারিং ট্রানজাকশনের সুবিধা পাওয়া যায় না।
ইএমআই
ইএমআই-তে কোনো কিছু কিনতে চাইলে ক্রেডিট কার্ডে সাধারণত ইএমআই-এর প্রচুর অপশন পাওয়া যায় যেমন নো কস্ট ইএমআই এবং বিবিধ মেয়াদের ইএমআই। কিন্তু বেশির ভাগ ডেবিট কার্ডে কোনো ইএমআই-এর সুবিধা পাওয়া যায় না। ইদানিং বিশেষ কিছু ডেবিট কার্ডে এই সুযোগ পাওয়া গেলেও সেক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ডের মত বেশি বিকল্প থাকে না।
ক্যাশব্যাক ও রিওয়ার্ডস
কেনাকাটার সময় ক্যাশব্যাক, রিওয়ার্ডস ও বিভিন্ন প্রমোশনাল অফার পাওয়ার ক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ড ডেবিট কার্ডের থেকে অনেক এগিয়ে।
ক্ষেত্র বিশেষে প্রযোজ্যতা
অনলাইনে কিছু কিছু ওয়েবসাইট কেবলমাত্র ক্রেডিট কার্ড পেমেন্টই গ্রাহ্য করে এবং সেসব ওয়েবসাইটে ডেবিট কার্ড ব্যবহার করা যায় না। অন্যদিকে অনলাইন জুয়া, বিনিয়োগ, ওয়ালেট ট্রান্সফার ইত্যাদির মত কিছু কিছু ক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা যায় না এবং ওইসব ক্ষেত্রে ডেবিট কার্ড ব্যবহার ছাড়া অন্য কোনো উপায় থাকে না।
আবার সাধারণত বিদেশের মাটিতে ব্যবহার করতে চাইলে যেখানে বেশিরভাগ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা যায় সেখানে অনেক ডেবিট কার্ড কিন্তু ব্যবহার করা যায় না।
সুরক্ষা
কার্ড হারিয়ে যাওয়া, চুরি হওয়া বা মিসইউজের ক্ষেত্রে সাধারণত বেশিরভাগ ক্রেডিট কার্ডে জিরো লাইয়াবিলিটি ইন্সুরেন্স থাকে যেটা যেকোনো প্রকার আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। ডেবিট কার্ডে এ ধরনের কোনো ইন্সুরেন্সের সুবিধা পাওয়া যায় না।
অন্যান্য সুবিধা
অনেক ক্রেডিট কার্ডে ফ্রি এয়ারপোর্ট আর রেলওয়ে লাউঞ্জ অ্যাক্সেস, ইনস্ট্যান্ট লোন, অ্যাক্সিডেন্টাল ইনসিওরেন্স, কার্ড ব্যবহার করে কেনা প্রোডাক্টের উপর ইন্সুরেন্স ইত্যাদি অতিরিক্ত কিছু সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায় যেটা ডেবিট কার্ডে পাওয়া যায় না।
ক্রেডিট স্কোরের উপর প্রভাব
ক্রেডিট কার্ড সঠিকভাবে ব্যবহার করলে ক্রেডিট স্কোরের উপর ভালো প্রভাব পড়ে আর তার উল্টোটা হলে নেগেটিভ প্রভাব পড়ে। আর অন্যদিকে ডেবিট কার্ডের সঙ্গে ক্রেডিট বা ক্রেডিট স্কোরের কোনোরকম সম্পর্ক নেই।
শেষ কথা
আশা করি এতক্ষণে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড কেন আলাদা সে সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা আপনার তৈরি হয়ে গেছে। এই দুটো কার্ডের মধ্যে কোনটা আপনার জন্য সঠিক হবে সেটা আশা করি এখন আপনার বুঝে নিতে কোনো অসুবিধা হবে না।
আজ তাহলে এখানেই ইতি টানছি। ভালো থাকবেন।