ভারতবর্ষে ক্যাশলেস পেমেন্টের ক্ষেত্রে বিপ্লব এনেছে ইউপিআই। ডিজিট্যাল পেমেন্ট করা কত সহজ সুন্দর ও সুরক্ষিত হতে পারে সেটা সারা পৃথিবীকে করে দেখিয়েছে এই প্ল্যাটফর্মই! এর মাধ্যমে কিউআর কোড স্ক্যান করে এক লহমায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে পেমেন্ট করার বিষয়টা অনেকটা ম্যাজিকের মতোই। দেশের ছোটো বড় ব্যবসাদার তথা আপামর জনগণ বুক ভরা ভালবাসা নিয়ে এই বিপ্লবে অংশ নিয়েছে, আর তার ফলস্বরূপ বিগত কয়েক বছরে এর হাত ধরে দেশের গলিতে গলিতে ডিজিট্যাল পেমেন্টের সুবিধা পৌঁছে গেছে।
এই ইউপিআই প্ল্যাটফর্ম আরও অসাধারণ হয়ে উঠেছে তখনই যখন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের পাশাপাশি এর সাথে ক্রেডিট কার্ড লিংক করার ব্যবস্থাপনা চালু হয়েছে। একসময় এর মাধ্যমে শুধুমাত্র ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ট্রানজাকশন করা গেলেও এখন ব্যাংক ব্যালেন্সের পাশাপাশি ক্রেডিট কার্ড ব্যালেন্স ব্যবহার করেও পেমেন্ট করা যাচ্ছে। এমনিতেই ক্রেডিট কার্ডে পেমেন্ট করলে ক্যাশব্যাক, রিওয়ার্ড পয়েন্ট ইত্যাদি অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। তার উপর ইউপিআই-তে কার্ড যোগ হয়ে যাওয়ায় সরাসরি কার্ড ব্যবহারের বদলে কিউআর কোড স্ক্যান করে ছোটো বড় সব ক্ষেত্রে কার্ড পেমেন্ট করার দরজা খুলে গেছে।
কিন্তু এই ব্যবস্থাপনার ছোট্ট একটা খামতি হচ্ছে কেবল মাত্র রুপে কার্ডই এর সাথে ব্যবহার করা যাচ্ছে। আর ক্রেডিট কার্ডের বাজারে রুপে কার্ডের সংখ্যা (এখনও পর্যন্ত) নিতান্তই নগন্য। তবে ইউপিআই আর রুপের এহেন বন্ধুত্বের পর ক্রমশ রুপে ক্রেডিট কার্ডের চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে। আর এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে ব্যাংকগুলো তাদের পুরনো কিছু কার্ডের রুপে ভেরিয়েন্ট অথবা নতুন রুপে কার্ড লঞ্চ করা শুরু করেছে।
এই নিবন্ধে এমনই কিছু দুর্দান্ত রুপে কার্ডের কথা শেয়ার করব যেগুলো লাইফটাইম ফ্রি হিসাবে পাওয়া যাচ্ছে (সাধারনভাবে পেড কার্ড হলেও)। কার্ডগুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার পাড়ার দোকান, মল কিংবা অনলাইন সব জায়গাতেই ইউপিআই করতে পারবেন আর সাথে ক্যাশব্যাক বা রিওয়ার্ডসের সুবিধাও নিতে পারবেন।
এইচডিএফসি ব্যাংক টাটা নিউ রুপে ক্রেডিট কার্ড
সম্প্রতি এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক আর টাটারা গাঁটছড়া বেঁধে দুটো কো-ব্র্যান্ডেড ক্রেডিট কার্ড নিয়ে এসেছে। দুটো কার্ডের মধ্যে একটার নাম এইচডিএফসি টাটা নিউ প্লাস রুপে আর অন্যটা টাটা নিউ ইনফিনিটি রুপে। এই দুটো কার্ড সাধারনভাবে পে কার্ড হলেও সবার প্রথমে এই দুটো কার্ডের কথাই উল্লেখ করলাম কারণ এই দুটো কার্ডের সাহায্যে যেকোনো ইউপিআই পেমেন্ট করলে ১-১.৫% ক্যাশব্যাক পাওয়া যায়। আর কিছু কিছু পরিস্থিতিতে এগুলোকে লাইফটাইম ফ্রি হিসাবেও পাওয়া যায়।
দুই কার্ডের মধ্যে প্লাস ভেরিয়েন্ট বেসিক কার্ড আর ইনফিনিটি-টা তুলনামূলক প্রিমিয়াম কার্ড। প্লাস কার্ডে ইউপিআই পেমেন্টের ক্ষেত্রে ১% ক্যাশব্যাক আর ইনফিনিটি কার্ডে ১.৫% ক্যাশব্যাক পাওয়া যায়। ক্যাশব্যাক পাওয়া যায় টাটাদের নিউ কয়েন হিসাবে যা টাটা নিউ অ্যাপে খুব সহজেই সাধারণ টাকার মতোই কেনাকাটা, রিচার্জ বা বিল পেমেন্ট করার সময় ব্যবহার করা যায়।
এই কার্ড দুটোয় বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে পরিমাণ ক্যাশব্যাক বা নিউকয়েন পাওয়া যায় তা হলঃ
ক্ষেত্র | নিউ প্লাস | নিউ ইনফিনিটি |
---|---|---|
টাটা নিউ অ্যাপে কেনাকাটায় | ৭% পর্যন্ত | ১০% পর্যন্ত |
বিবিধ টাটা ব্র্যান্ডে | ২% | ৫% |
টাটা নিউ অ্যাপে বিল পে ও রিচার্জে | ২% | ৫% |
অন্যান্য খরচে (ইউপিআই সহ) | ১% | ১.৫% |
সুবিধার কথা তো গেলো, এবার আসি কার্ড দুটোর অ্যানুয়াল চার্জের ব্যাপারে। এমনিতে সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী নিউ প্লাস কার্ডে জয়েনিং ও অ্যানুয়াল চার্জ ৪৯৯ প্লাস ট্যাক্স আর নিউ ইনফিনিটিতে ১৪৯৯ প্লাস ট্যাক্স। তবে জয়েনিং চার্জ দিতে হলেও সম মূল্যের ক্যাশব্যাক পাওয়া যায়। অর্থাৎ প্রথম বছরটা ফ্রি হয়েই যায়। আবার এর পাশাপাশি টাটা নিউ অ্যাপে মাঝে মাঝে প্রমোশনাল অফার দেয় যেখানে কখনো জয়েনিং চার্জ দিতেই হয় না আর কখনো এর পাশাপাশি অ্যানুয়াল চার্জটাও দিতে হয়না। অর্থাৎ কখনো কখনো এমন অফার পাওয়া যায় যেখানে কার্ডদুটো একেবারে লাইফটাইম ফ্রি হয়ে যায়।
আর চার্জসহ কার্ড পেলেও কার্ড পাওয়ার পর এইচডিএফসি ব্যাংকে ফোন করেও কার্ডটাকে লাইফটাইম ফ্রি করে নেওয়ার একটা সুযোগ থাকে। এইচডিএফসি ব্যাংকের সাথে অন্য সম্পর্ক থাকলে বা ক্রেডিট হিস্টোরি কলঙ্কমুক্ত হলে এই সম্ভাবনাটা জোরালো হয়।
আইসিআইসিআই কোরাল রুপে ক্রেডিট কার্ড
এই কার্ডটা আগে ভিসা বা মাস্টার কার্ড হিসেবে পাওয়া গেলেও এখন এটার একটা রুপে ভেরিয়েন্ট লঞ্চ করা হয়েছে। এই ব্যাংকের সব থেকে বেসিক ও লাইফটাইম ফ্রি প্ল্যাটিনাম ক্রেডিট কার্ডের থেকে কিছু কিছু সুবিধা বেশি পাওয়া যায় এই কার্ডে। উদাহরণস্বরূপ বুকমাইশো ও আইনক্সে মাসে দুবার সিনেমার টিকিট কাটার ক্ষেত্রে ২৫% ছাড় পাওয়া যায়, প্রতি কোয়ার্টারে একবার রেলওয়ে ও এয়ারপোর্ট লাউঞ্জ অ্যাক্সেস পাওয়া যায় ইত্যাদি।
ইউপিআই সহ বেশিরভাগ পেমেন্টের ক্ষেত্রেই এই কার্ডে প্রতি ১০০ টাকা খরচের জন্য ২ রিওয়ার্ড পয়েন্ট জমা হয়। ১ রিওয়ার্ড পয়েন্টের ভ্যালু 25 পয়সা হওয়ায় এক্ষেত্রে ক্যাশব্যাক এর পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ১০০ টাকায় ৫০ পয়সা বা ০.৫%। সুতরাং বুঝতেই পারছেন এই কার্ড ব্যবহার করে ইউপিআই পেমেন্ট করলে ০.৫% ক্যাশব্যাকের সমতুল্য রিওয়ার্ড পয়েন্ট পাবেন।
এই কার্ডটায় সাধারণভাবে ৫০০ প্লাস ট্যাক্স জয়েনিং ও অ্যানুয়াল ফী প্রযোজ্য। তবে অনেক সময়েই আইসিআইসিআই ব্যাংকের বর্তমান কাস্টমারদের এই কার্ড প্রি-অ্যাপ্রুভড লাইফ টাইম ফ্রি হিসাবে অফার করা হয়। ব্যাংকের অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে ওই ধরনের অফার থেকে খুব সহজেই লাইফটাইম ফ্রি হিসাবে এই কার্ড জেনারেট করা যায়। আবার ব্যাংকের কাস্টমার কেয়ারে ফোন করে রিকোয়েস্ট করলেও ওরা অনেক সময় পেইড কার্ডও লাইফটাইম ফ্রি করে দেয়।
অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক ইন্ডিয়ান অয়েল রূপে ক্রেডিট কার্ড
এই কার্ডটা ফুয়েল ক্যাটিগরির হলেও বেশ জনপ্রিয়। কারণ তেলের ক্ষেত্রে এক্সট্রা ছাড়ের পাশাপাশি অন্যান্য ক্ষেত্রেও এতে পাওয়া ক্যাশব্যাক বা সুযোগসুবিধাগুলো খারাপ নয়। আগে এটা ভিসা ছিল কিন্তু এখন রুপে হয়ে গেছে। ক্ষেত্র বিশেষে এতে আলাদা আলাদা রিওয়ার্ড পয়েন্ট পাওয়া যায়। অ্যাক্সিস ব্যাংকের ক্ষেত্রে ১ রিওয়ার্ড পয়েন্টের ভ্যালু ২০ পয়সা হওয়ায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই কার্ডে পাওয়া রিওয়ার্ড পয়েন্টের সমতুল্য ভ্যালুব্যাক-এর পরিমাণ নীচে দিলামঃ
ক্ষেত্র | ভ্যালুব্যাক |
---|---|
আইওসিএল-এ তেল তোলায় | ৪% (২০এক্স রিওয়ার্ড পয়েন্ট) |
অনলাইনে কেনাকাটায় | ১% (৫এক্স রিওয়ার্ড পয়েন্ট) |
অন্যান্য ক্ষেত্রে | ০.২% (১এক্স রিওয়ার্ড পয়েন্ট) |
উপরের ভ্যালুব্যাকগুলো সাধারণ কার্ড ব্যবহার এবং ইউপিআই সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। সুতরাং, এক্ষেত্রে সব থেকে বেশি লাভ তেল তোলার ক্ষেত্রে এবং অনলাইনে কেনাকাটায়। পাড়ার দোকানে ইউপিআই করার ক্ষেত্রে রিটার্নটা অবশ্য তেমন ভালো না।
এছাড়া এই কার্ডের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যর মধ্যে পড়ে ওয়েলকাম বেনিফিটে ফ্রিতে ২৫০-৫০০ টাকার তেল এবং কখনও কখনও সাথে ৫০০ টাকার অ্যামাজন ভাউচার, বুকমাইশো তে ১০% পর্যন্ত ছাড় আর ইজিডাইনারের মাধ্যমে বিবিধ রেস্টুরেন্টে ১৫% পর্যন্ত ছাড়।
এই কার্ডটা আগের দুটো কার্ডের মতো এমনিতে পেড কার্ড, এবং জয়েনিং ও অ্যানুয়াল ফি ৫০০ প্লাস ট্যাক্স। তবে বছরের বেশির ভাগ সময়েই কোনো না কোনো চ্যানেলে লাইটাইম ফ্রি হিসাবে পাওয়া যায়। ফেসবুক, ইউটিউব, অ্যামাজন, গুগল ইত্যাদি বিবিধ ওয়েবসাইটে পাওয়া এই কার্ডের লাইফটাইম ফ্রি অফারের ব্যানার থেকে অ্যাপ্লাই করলেই এটা ফ্রি হয়ে যায়।
অ্যামাজন অ্যাপে পাওয়া এমনই একটা অ্যাডের স্ক্রিনশট নীচে দিলাম।
কোট্যাক লিগ রুপে ক্রেডিট কার্ড
কোট্যাক ব্যাংকের এই কার্ডের সবথেকে উল্লেখযোগ্য ফিচার হচ্ছে ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে এবং সব ধরনের কনজিউমার ডিউরেবল আইটেম কেনা, এয়ার ফেয়ার দেওয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রতি ১৫০ টাকায় ৮ রিওয়ার্ড পয়েন্ট পাওয়া যায়। ১ রিওয়ার্ড পয়েন্টের ভ্যালু ২৫ পয়সা হওয়ায় এক্ষেত্রে ভ্যালুব্যাক গিয়ে দাঁড়াচ্ছে ১.৩৩%। আর অন্যান্য সমস্ত ক্যাটিগরির ক্ষেত্রে এটা হাফ, অর্থাৎ ৪ রিওয়ার্ড পয়েন্ট বা ০.৬৬% ভ্যালুব্যাক পাওয়া যায়।
এক্ষেত্রে ফি এমনিতে ৪৯৯ হলেও জানুয়ারি মাস থেকে ব্যাংকের নিজস্ব ওয়েবসাইটে অ্যাপ্লাই করার ক্ষেত্রে কার্ডটা লাইফটাইম ফ্রি হিসাবেই পাওয়া যাচ্ছে। ওখানে অ্যাপ্লাই পেজে গেলেই যা দেখতে পাবেন সেটার স্ক্রিনশট দিলামঃ
ব্যাঙ্ক অফ বরোদা ইজি রুপে ক্রেডিট কার্ড
কোট্যাক কার্ডটার মতোই ব্যাঙ্ক অফ বরোদার এই কার্ডটায় ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, গ্রসারী এবং সিনেমায় সাধারণ বা ইউপিআই পেমেন্ট করার ক্ষেত্রে প্রতি ১০০ টাকায় ৫এক্স রিওয়ার্ড পয়েন্ট পাওয়া যায়। এক্ষেত্রেও ১ রিওয়ার্ড পয়েন্টের ভ্যালু ২৫ পয়সা হওয়ায় ক্যাশব্যাক বা ভ্যালুব্যাক দিয়ে দাঁড়াচ্ছে ১.২৫%। তবে উপরের ক্যাটিগরি বাদে অন্যান্য ক্ষেত্রে ১০০ টাকায় ১টা রিওয়ার্ড পয়েন্ট পাওয়া যায়, তাই সেক্ষেত্রে ০.২৫% ভ্যালুব্যাক তেমন ভালো নয়।
এই কার্ডের সাধারণ ফি ৫০০ টাকা হলেও আগের কার্ডটার মতোই ব্যাংকের নিজের ওয়েবসাইটে গেলেই দেখতে পাবেন এখন এটা লাইফটাইম ফ্রি হিসাবেই ইস্যু করা হচ্ছে।
ভার্চুয়াল রুপে ক্রেডিট কার্ড
কিছু কিছু ব্যাংক আবার ভার্চুয়াল রুপে ক্রেডিট কার্ড প্রোভাইড করছে। ভার্চুয়াল কার্ড মানে কেবলমাত্র কার্ড নম্বর ও অন্যান্য ইনফরমেশন গুলো দেওয়া হয় কিন্তু ফিজিক্যাল প্লাস্টিক কার্ড দেওয়া হয় না। এধরণের ব্যবস্থাপনা কেবলমাত্র ইউপিআই-তে ব্যবহারের জন্যই করা হয়েছে কারণ ইউপিআই-তে আসল কার্ডটার দরকার পড়েনা। এধরণের কয়েকটা কার্ড হলঃ
ইয়েস ব্যাংক রুপে ক্রেডিট কার্ড
যাদের কাছে ইতিমধ্যেই ইয়েস ব্যাংকের ভিসা বা মাস্টারকার্ড আছে, একমাত্র তারাই এই কার্ড পেতে পারে। কার্ডটা পুরোপুরিভাবে লাইফটাইম ফ্রি। এক্ষেত্রে ছোটো ইউপিআই ট্রানজাকশনে কোনো ক্যাশব্যাক বা রিওয়ার্ড পয়েন্ট পাওয়া যায় না। কেবলমাত্র ২০০০ টাকার উপরের ইউপিআই ট্রানজাকশনের জন্য প্রতি ২০০ টাকায় ৮ রিওয়ার্ড পয়েন্ট পাওয়া যায়। আর অনলাইন ট্রানজাকশনের ক্ষেত্রে ২০০০ টাকার বাধ্যবাধকতাটা থাকে না তবে প্রতি ২০০ টাকায় ২ রিওয়ার্ড পয়েন্ট পাওয়া যায়।
এইচডিএফসি ব্যাংক ইউপিআই রুপে ক্রেডিট কার্ড
এইচডিএফসি ব্যাংকের এই ভার্চুয়াল কার্ডটা আগের কার্ডটার মতোই। তবে এটা সাধারনভাবে ফ্রি নয়। মেম্বারশিপ ও অ্যানুয়াল ফি ২৫০ টাকা, তবে অনেককে ব্যাংক এটা এমনিতেই লাইফটাইম ফ্রি হিসাবেই ইস্যু করে আর না করলেও আবেদন করে ফ্রি করে নেওয়া যায়।
এই কার্ড ব্যবহার করে গ্রসারি, সুপার মার্কেট ও রেস্টুরেন্টে পেমেন্ট করলে ৩%, ইউটিলিটি খরচের ক্ষেত্রে ২% আর অন্যান্য ক্ষেত্রে ১% ক্যাশপয়েন্ট পাওয়া যায়। ক্যাশপয়েন্ট রিওয়ার্ড পয়েন্টেরই সমতুল্য এবং এর ভ্যালুও ২৫ পয়সাই হয়। অর্থাৎ এক্ষেত্রে প্রকৃত ক্যাশব্যাক বা ভ্যালুব্যাক সর্বাধিক ০.৭৫%।
আক্সিস ব্যাংক কিউইক ক্রেডিট কার্ড
কিউই বলে একটা ফিনটেক কোম্পানি অ্যাক্সিস ব্যাংকের সাথে গাঁটছড়া বেঁধে এই ভার্চুয়াল কার্ডটা নিয়ে এসেছে। এই কার্ড পেতে হলে কিউই অ্যাপ ডাউনলোড করে ঐ অ্যাপ থেকেই অ্যাপ্লাই করতে হয়। কার্ডটা পুরোপুরিভাবে লাইফটাইম ফ্রি এবং সমস্ত ইউপিআই পেমেন্টের ক্ষেত্রে এতে ক্যাশব্যাকের পরিমাণ ১%।
এই কার্ডটা খাতায় কলমে খুব দারুণ মনে হলেও সবার শেষে রাখলাম কারণ প্লে-স্টোরে অ্যাপটার রিভিউ সেকশনে রিভিউগুলো খুব একটা ভালো না।
শেষ কথা
উপর যেসমস্ত কার্ডগুলো সম্পর্কে জানতে পারলেন সেগুলোর মধ্যে আপনি ইতিমধ্যে কোন ব্যাংকের গ্রাহক, কোন ব্যাংক আপনার পছন্দের, আপনি ইউপিআইতে বেশীরভাগ কি ধরণের ট্রানজেকশন করেন এবং কোনটায় ফ্রি অফার পাচ্ছেন তার উপর ভিত্তি করে এক বা একাধিক কার্ড নিয়ে নিন আর ইউপিআই তে কার্ড পেমেন্ট করে ক্যাশব্যাক এর সুবিধা উপভোগ করুন।
এই আর্টিকেলটা ভালো লাগলে বা কাজের মনে হলে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার অনুরোধ রইল। ভালো থাকবেন। 🙂
সম্পর্কিত পাঠঃ এভাবে ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করে 2000 টাকা পর্যন্ত উপহার পান ফাটাফাটি লাইফটাইম ফ্রী ক্রেডিট কার্ডের তালিকা 2023 ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে টাকা বাঁচানোর 20 টি গোপন উপায় অনলাইনে কেনাকাটার জন্য সেরা 5 ক্রেডিট কার্ড – যেগুলো ব্যবহারে সবথেকে বেশি ছাড় ও ক্যাশব্যাক পাওয়া যায়