এই ইন্টারনেটের যুগে ক্যাশলেস পেমেন্ট বাড়ার সাথে সাথেই বাড়ছে প্লাস্টিক মানি বা ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার। কারণ এই কার্ড ব্যবহার করে পেমেন্ট করার সময় অনেক কিছু অতিরিক্ত সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। যেমন ধরুন ক্যাশব্যাক, রিওয়ার্ড পয়েন্ট, ইন্টারেস্ট ফ্রি পিরিয়ড ইত্যাদি। কিন্তু এত সুবিধা সত্ত্বেও সমস্যা হচ্ছে এর ব্যবহার যত বাড়ছে ততই এই কার্ড সম্পর্কিত জালিয়াতি বা স্ক্যামগুলোও বাড়ছে।
প্রতারকরা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা ডেবিট কার্ডের থেকে ক্রেডিট কার্ড টার্গেট করাই বেশি পছন্দ করছে কারণ ডেবিট কার্ড বা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট টার্গেট করলে যতটুকু ব্যাংক ব্যালেন্স থাকে তার থেকে বেশি টাকার জালিয়াতি তারা করতে পারে না। কিন্তু ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে কার্ডের ক্রেডিট লিমিট পর্যন্ত জালিয়াতি করার সুযোগ পাওয়া যায়। এবং সাধারণত আমজনতার সেভিংস ব্যাংক অ্যাকাউন্টে যত না টাকা পড়ে থাকে তার থেকে ক্রেডিট কার্ডের ক্রেডিট লিমিট বেশি থাকে।
আপনি নিজে যদি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন বা করার কথা ভাবেন তবে এই নিবন্ধে জানতে পারবেন এই ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি কী কী উপায়ে হয় এবং কিভাবে আপনি ওই সমস্ত জালিয়াতির হাত থেকে বাঁচতে পারবেন…
ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি কিভাবে হয়?
চুরি বা ছিনতাই
এটা একটা পুরনো পন্থা, কিন্তু আজও অপ্রাসঙ্গিক নয়। সুন্দর শৈল্পিক কারুকার্যের মাধ্যমে হোক কিংবা বলপূর্বক হোক, আপনার কার্ড বা কার্ড সহ মানিব্যাগ যদি কোনোরকমে প্রতারকের হাতে চলে যায় তাহলেই কিন্তু সে ওই কার্ড থেকে অবৈধভাবে খরচ করার সুযোগ পেয়ে যায়।
শুধু মাত্র কার্ডটা যদি কারো হাতে যায় আপনার মনে হতে পারে যে সে কার্ড পিন বা ওটিপি ছাড়া কোনো ট্রানজ্যাকশন করতে পারবে না। কিন্তু আপনি জানেন কি, যে কন্টাক্টলেস এবং ইন্টারন্যাশনাল ট্রানজ্যাকশনের ক্ষেত্রে কোনো পিন বা ওটিপির দরকার পড়ে না…!
তাছাড়া এমন হতে পারে কোনো দোকানে পেমেন্টের সময় ছিনতাইবাজ আগে থেকেই হয়তো পিছনে দাঁড়িয়ে আপনার পিনটা দেখে রেখেছে। আর তারপর টার্গেট করে আপনার কার্ডটাই ছিনতাই করেছে! আর ওটিপির জন্য ফোন কল করে বিভিন্ন কথার ফাঁদে ফেলে ওটিপি বের করার পন্থা ওদের থেকে ভালো আর কেউ জানে না।
স্কিমিং
স্কিমিং হচ্ছে কার্ডের বদলে কার্ডের অন্তর্নিহিত তথ্যগুলো চুরি করা। ক্রেডিট কার্ডের পিছন দিকে কালো ম্যাগনেটিক স্ট্রিপে কার্ড সম্পর্কিত সমস্ত তথ্যগুলো স্টোর থাকে। স্কিমার মেশিনে কার্ড সোয়াইপ করলে কার্ডের সমস্ত তথ্য ওই মেশিনে রেকর্ড হয়ে যায়। তারপর সেই তথ্য ব্যবহার করে ডুপ্লিকেট কার্ড তৈরি করে নেওয়া যায়।
প্রতারকরা অনেক সময় ছোট ছোট দোকানে বা এটিএম-এ এই ধরনের মেশিন ব্যবহার করে কার্ড ব্যবহারকারীর অসাবধানতার সুযোগ নিয়ে ম্যাগনেটিক স্ট্রিপের তথ্য চুরি করে নেয়। এছাড়া পিন দেওয়ার সময় হাতের দিকে লক্ষ্য রেখে, ফেক কিপ্যাডের সাহায্যে কিংবা গোপন ক্যামেরায় রেকর্ড করে ওরা পিনটাও সংগ্রহ করে নেয়। অতঃপর ডুপ্লিকেট কার্ড আর পিন দুটোই যখন নাগালের মধ্যে চলে আসে তখন আর জালিয়াতিতে কোন বাধাই থাকে না।
তবে আধুনিক ইএমভি চিপ কার্ডের ক্ষেত্রে এভাবে ক্লোন করার বিষয়টা আর তত সহজ নেই।
অ্যাকাউন্ট টেকওভার
স্ক্যামার কোনোভাবে আপনার পার্সোনাল ইনফরমেশন যোগাড় করে সেগুলোর সাহায্যে আপনার ক্রেডিট কার্ড অ্যাকাউন্টের পিন, পাসওয়ার্ড বা অন্যান্য খুটিনাটি তথ্য যদি বদলে দিতে সক্ষম হয়ে যায় তাহলে আপনার বদলে সে-ই আপনার কার্ড অ্যাকাউন্ট কন্ট্রোল করতে পারে এবং আপনাকেই লক আউট করে দেয়। এবং এই রকম পরিস্থিতিতে আপনার কার্ড অ্যাকাউন্ট থেকে যেমন খুশি ট্রানজ্যাকশন করা তাদের বাঁ হাতের কাজ হয়ে যায়!
পার্সোনাল ইনফরমেশন জোগাড় করার জন্য তারা সাধারণত ফোন কল, সোশ্যাল মিডিয়া ইত্যাদি মাধ্যমকে ব্যবহার করে থাকে।
কন্টাক্টলেস ফ্রড
আধুনিক বেশিরভাগ ক্রেডিট কার্ডেই দু থেকে পাঁচ হাজার টাকার ছোট ছোট ট্রানজ্যাকশন কন্টাক্টলেস উপায়ে করা যায়। এভাবে পেমেন্ট করতে হলে এই ফিচার আছে এমন ধরনের কার্ড কেবলমাত্র পয়েন্ট অফ সেল মেশিনের কাছে নিয়ে গেলেই পিন ইনপুট ছাড়াই পেমেন্ট হয়ে যায়।
প্রতারকরা অনেক সময় ক্রেডিট কার্ডের এই সুবিধাটা অপব্যবহার করে আপনার অতর্কিতে আপনার ব্যাগ বা পকেটে কার্ড থাকলে কার্ডের কাছে লোকানো পিওএস মেশিন নিয়ে গিয়ে টাকা ট্রান্সফার করে নেয়।
কার্ডের অনুপস্থিতিতে চুরি
অনেক সময় ফিজিক্যাল কার্ডের বদলে কেবল ব্যবহারকারীর নাম, কার্ড নাম্বার, এক্সপায়ারি ডেট এবং সিভিভি নাম্বার চুরি করেও জালিয়াতি করা হয়। এই সমস্ত তথ্যগুলো চুরি করার জন্য স্ক্যামাররা বিভিন্ন রকম পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকে। যেমন,
ফিশিং
ফিশিং মানে হচ্ছে ইমেইল, সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্য কোন মাধ্যমে বিশেষ লিংক শেয়ার করে জেনুইন ওয়েবসাইটের মত দেখতে কিন্তু ফেক ওয়েবসাইটে নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে ‘শিকার’ ধরা। ওই ফেক ওয়েবসাইট ভিজিট করে ওখানে কার্ড ইনফরমেশন, ইমেইল আইডি, পাসওয়ার্ড, পিন ইত্যাদি যা কিছুই দেওয়া হোক না কেন, সবকিছুই চলে যায় প্রতারকদের হাতে।
স্ক্রীন শেয়ারিং অ্যাপ
প্রতারকরা অনেক সময় ফোন করে ভুলভাল বুঝিয়ে স্ক্রিন শেয়ারিং অ্যাপ ইন্সটল করিয়ে নেয়। আর এই অ্যাপ গুলো নিজের ফোনে ইন্সটল করা মানেই আপনার ফোনে যা কিছু চলতে থাকে সেই সবকিছু প্রতারকরা তাদের কাছে পেয়ে যায়। এই উপায়ে কার্ড ইনফরমেশন থেকে শুরু করে ওটিপি পর্যন্ত সবকিছুই তারা দেখে নিতে সক্ষম হয়।
ভাইরাস ও হ্যাকিং
কম্পিউটার বা মোবাইলে নিজের অজান্তেই হোক বা প্রতারকের প্ররোচনাতেই হোক, ভাইরাস বা অন্য কোনো ক্ষতিকর সফটওয়্যার যদি কোনোভাবে ইনস্টল হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে কম্পিউটার বা মোবাইল হ্যাক হতে পারে এবং সেখান থেকে সমস্ত তথ্য প্রতারকের কাছে পাচার হয়ে যেতে পারে।
ফেলে দেওয়া নথি
অনেক সময় প্রতারকরা বিভিন্ন জায়গা থেকে কিছু কিছু তথ্য সংগ্রহ করে প্রতারণার জন্য যা যা দরকার সেই সবকিছু একত্রিত করে। কার্ড সম্পর্কিত বিভিন্ন নথিতে (যেমন স্টেটমেন্ট) কার্ড নম্বর বা আরও কিছু কিছু তথ্য থাকে। ফেলে দেওয়া এই সমস্ত নথি থেকেও অনেক সময় প্রতারকরা তাদের পাজেলের মিসিং পিসটা পেয়ে যায়!
ফোন কল
আজকের দিনে সরাসরি ফোন কলের মাধ্যমেও বিভিন্ন কথার ফাঁদে ফাঁসিয়ে কার্ডের সেনসিটিভ তথ্যগুলো হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়। প্রতারকরা সাধারণত যে সমস্ত গল্প ফাঁদে তার মধ্যে কয়েকটা উদাহরণ হল,
- আপনি অমুক লটারি জিতেছেন এবং লটারির টাকা পেতে হলে এগুলো করতে হবে বা এই সমস্ত তথ্যগুলো দিতে হবে…
- আপনার ক্রেডিট কার্ডের অ্যানুয়াল মেম্বারশিপ ফি যদি রিফান্ড পেতে চান তাহলে এই কাজগুলো করুন…
- যদি আপনি এগুলো করেন তাহলে আপনার কার্ডের ইন্টারেস্ট রেট কমিয়ে দেওয়া হবে…
- আপনার ইলেকট্রিক বিল পেমেন্ট আটকে গেছে এবং আপনার কানেকশন কেটে দেওয়া হবে। যদি সেটা আটকাতে চান তাহলে এখনই এটা করুন…
- আপনার ক্রেডিট কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ডের লিঙ্ক নেই। তাই এখনই আপনার কার্ড ব্লক হয়ে যাবে। যদি সেটা না চান তাহলে এখনই আধার কার্ড লিঙ্ক করার জন্য এটা করুন…
- আপনার কার্ডে ওভার-পে হয়ে গেছে এবং রিফান্ড পেতে এই তথ্যগুলো দিন…
- আপনার কার্ডের ক্রেডিট লিমিট বাড়ানোর অফার আছে। এখনই লিমিট বাড়ানোর জন্য এই কাজটা করুন…
- অমুক কারণে আপনার কার্ডে এত ফাইন করা হবে, আটকাতে চাইলে এটা করুন…
— এ ধরনের উদাহরণের শেষ নেই। বিবিধ গল্প দিয়ে লোভ এবং ভয়ের উদ্রেক করিয়ে এবং একটা ইমারজেন্সি পরিস্থিতি তৈরি করে প্রতারকের একটাই উদ্দেশ্য থাকে যেন তেন প্রকারে হয় সরাসরি কার্ড ইনফরমেশন গুলো নিয়ে নেওয়া কিংবা একটু আগে যেমন বললাম, স্ক্রিন শেয়ারিং অ্যাপের মাধ্যমে কাজটা করে নেওয়া।
>> অনেক সময় স্ক্যামাররা গুগল ম্যাপে বা নিজেদের বানানো ওয়েবসাইটে ব্যাংকের আসল কাস্টমার কেয়ার নম্বর বদলে নিজেদের নম্বর দিয়ে দেয়। কার্ড ব্যবহারকারী গুগলে ব্যাংকের কাস্টমার কেয়ার নম্বর সার্চ করে যদি ওইসব ফেক নম্বরে ফোন করে ফেলে, তাহলে উল্টোদিকে থাকা স্ক্যামারের ব্যাংকের লোক সেজে সেনসিটিভ ইনফরমেশন গুলো বের করে নেওয়া সহজ হয়ে যায়।
জালিয়াতি হওয়া থেকে বাঁচবেন কিভাবে?
জালিয়েতের হাত থেকে বাঁচতে হলে বা অন্ততপক্ষে ক্ষতির পরিমাণ কম রাখতে হলে,
- মানিব্যাগে একসাথে অনেক কার্ড রাখা চলবে না। এতে কোনো কারণে মানিব্যাগ খোয়া গেলেও একসাথে অনেকগুলো কার্ড জালিয়াতের হাতে পড়বে না। আর বাড়িতেও কার্ডগুলো রাখতে হবে ভীষণ সুরক্ষিতভাবে।
- স্কিমিং আটকাতে হলে ছোট ছোট দোকানে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। তাছাড়া যে কোনো দোকানে পেমেন্ট করার ক্ষেত্রে কার্ডটা অন্য কারো হাতে ছাড়া যাবে না। আর এটিএম এ টাকা তোলার ক্ষেত্রে জনমানবহীন জায়গার এটিএম ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। টাকা তোলার আগে এটিএম এর কার্ড ঢোকানোর জায়গায় কিংবা কিপ্যাডের ওপর কোনো সন্দেহজনক কিছু লাগানো আছে কিনা খেয়াল রাখতে হবে।
- যে কোনো জায়গায় পিন দেওয়ার সময় হাত ঢেকে তবে দিতে হবে এবং পিছন থেকে কেউ লক্ষ্য রাখছে কিনা খেয়াল করতে হবে।
- সোশ্যাল মিডিয়ায় পাবলিকলি কিংবা অচেনা কাউকে কার্ড সম্পর্কিত এবং নিজের অন্যান্য পারসোনাল ইনফরমেশন দেওয়া চলবে না।
- ফোন করে কেউ যত গল্পই দিক, যত লোভ বা যত ভয়ই দেখাক, সরাসরি কোনো তথ্য দেওয়া চলবে না। তাদের গল্প খুবই বিশ্বাসযোগ্য মনে হলে, ব্যাংকে বা অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
- কারো কথায় ফোনে কখনো কোনো অ্যাপ ইন্সটল করা যাবে না।
- কম্পিউটারে অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করতে হবে।
- অজানা কোনো লিংকে ক্লিক করা যাবে না। ব্যাংকের ওয়েবসাইটে যেতে হলে সরাসরি অ্যাড্রেস বারে ব্যাংকের ওয়েবসাইটের অ্যাড্রেস লিখে নিতে হবে।
- কন্টাক্টলেস ফ্রড থেকে বাঁচতে হলে কন্টাক্টলেস ট্রানজ্যাকশন ফিচার অফ রাখতে হবে কিংবা কার্ডটাকে আরএফআইডি ব্লকিং মানিব্যাগে রাখতে হবে।
- কার্ড অ্যাকাউন্টের সেটিংস থেকে কার্ডের ট্রানজ্যাকশন লিমিট কমিয়ে রাখতে হবে।
- কার্ড সম্পর্কিত সমস্ত নথিগুলোকে এমনি এমনি ফেলে না দিয়ে খুব ভালোভাবে নষ্ট করে দিতে হবে।
- ব্যাংকে ফোন করার হলে ফোন নাম্বারের জন্য সরাসরি গুগল-এ সার্চ না করে ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
- এছাড়া, কয়েকটা সু-অভ্যাস তৈরি করতে হবে। যেমন মাঝে মাঝে পিন চেঞ্জ করা, কার্ডের সিভিভি নাম্বারটাকে কালো স্টিকার দিয়ে চাপা রাখা, নিয়মিত স্টেটমেন্ট চেক করা, পাবলিক ওয়াইফাই তে কোনো ট্রানজ্যাকশন না করা ইত্যাদি।
জালিয়াতি হয়ে গেলে কী করবেন?
সব রকম সাবধানতা সত্ত্বেও যদি কোনো কারণে জালিয়াতি হয়েই যায় সেক্ষেত্রে,
- সবার প্রথমে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনার ক্রেডিট কার্ড ইস্যুআর ব্যাংকে ফোন করে কিংবা অনলাইনে জালিয়াতির ব্যাপারটা জানিয়ে কার্ডটা ব্লক করতে হবে।
- তারপর একটা পুলিশ কমপ্লেন করতে হবে।
— এই দুটো কাজ সত্বর করা খুবই জরুরী। এতে যেমন বেশী বড় অঙ্কের জালিয়াতি হওয়া রোখা যায় তার সাথে সাথে টাকা ফেরত পাওয়ার বা বিল মেটানোর ঝক্কি থেকে বাঁচার সুযোগ পাওয়া যায়। বেশীরভাগ ক্রেডিট কার্ডেই জিরো লাইবেলিটি পলিসি থাকে এবং নিজের অজান্তে ফ্রড হলে সেই বিল শোধ করতে হয়না। কিন্তু সেক্ষেত্রে কিছু শর্তাবলী প্রযোজ্য থাকে। আর তার মধ্যে অন্যতম হল ফ্রড ধরা পড়ার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রিপোর্ট করা।
- সঙ্গে ক্রেডিট ব্যুরোতেও ফ্রডের ব্যাপারটা রিপোর্ট করতে হবে।
কারণ, কার্ডে কোনো প্রতারণামূলক লেনদেন হলে সেটা ক্রেডিট স্কোরের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
শেষ কথা
গোলাপ ফুলের কাঁটা থাকে বলে যেমন আমরা সেটাকে দূরে সরিয়ে রাখি না, ঠিক তেমনই জালিয়াতি হয় বলে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা থেকে পিছিয়ে থাকাও মোটেই সমীচীন নয়। চোর ডাকাত জালিয়াত চিরকাল ছিল, আছে এবং থাকবে। তাই বলে তাদের ভয়ে নিজেকে গুটিয়ে রাখলে কিকরে চলবে!
আধুনিক যুগের দারুণ কাজের একটা জিনিস ক্রেডিট কার্ড। এটাকে দূরে সরিয়ে না রেখে জালিয়াতি সম্পর্কিত বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে আর ব্যবহার করার সময় একটু সজাগ থাকতে হবে।
এই বলে এখানেই ইতি টানছি। ভালো থাকবেন।
সম্পর্কিত পাঠঃ গুগলে অ্যাডের মাধ্যমে জালিয়াতি। আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতা