শেয়ার বাজারে যারা অংশ নেয় বা নিতে চায় তাদের মধ্যে বেশিরভাগটাই আপনার আমার মত সাধারণ মানুষ। আর সাধারণ মানুষ হওয়ার জন্য যে জিনিসটা তাদের কাছে অপ্রতুল সেটা হচ্ছে টাকা। কিন্তু শেয়ার বাজার মানেই তো আবার এই টাকারই খেলা! আর তাই এখানে নামতে হলে একটা প্রশ্ন আসেই যে, ‘কত টাকা থাকলে তবে শেয়ার ব্যবসা বা শেয়ার ট্রেডিং শুরু করা যেতে পারে?’
প্রশ্নটা সহজ সরল হলেও, এর উত্তরটা কিন্তু অতটাও সরল নয়। ফলে এই বিষয়টায় অনেকেই কিছু ভ্রান্ত ধারণা বহন করে। কেউ মনে করে যে শেয়ারবাজারে পা রাখতে হলেই বিশাল অংকের টাকা দরকার। আবার কেউ ভাবে বিন্দু পরিমাণ টাকা দিয়ে শুরু করেই এখানে সিন্ধু বানানো যায়! কিন্তু বাস্তবে এই দুটোর কোনোটাই ঠিক নয়।
আর তাই আসলে ঠিকটা যে কী সেটা নিয়েই এখানে আলোচনা করব। শেয়ার বাজারে ব্যবসা বা ট্রেডিং করতে চাইলে কেমন পরিস্থিতিতে কমপক্ষে কত টাকা প্রয়োজন সেবিষয়েই বিস্তারিত জানতে পারবেন এই নিবন্ধে।
শেয়ার বাজারে কী কী কেনাবেচা হয়?
যেকোনো ব্যবসা মানেই কেনা ও বেচা। আর একটা ব্যবসায় কত টাকা বা কত ক্যাপিটাল প্রয়োজন হতে পারে সেটা নির্ভর করে কী ধরণের বা কেমন দামের জিনিস কেনাবেচা করা হবে তার উপর। শেয়ার বাজারে শেয়ার ব্যবসাও এর ব্যতিক্রম নয়। তাই এই ব্যবসা করতে কত টাকা প্রয়োজন সেটা জানার আগে এটা জানা প্রয়োজন যে এখানে কী কী জিনিস কেনা বেচা যায়। অতঃপর সেগুলোর দামের বিষয়ে জেনে নিলেই এখানে ব্যবসা করতে ন্যূনতম কত টাকা প্রয়োজন সেটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
শেয়ার বাজারকে আমরা এই নামে অভিহিত করতে অভ্যস্ত হলেও এর জন্য ক্যাপিটাল মার্কেট কথাটা বেশি প্রযোজ্য, কারণ এখানে শেয়ার ছাড়া আরও অন্যান্য ধরনের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্সট্রুমেন্টেরও কেনাবেচা হয়। ঐ সমস্ত ইন্সট্রুমেন্ট গুলো হলো,
- বিবিধ লিস্টেড কোম্পানির ইকুইটি শেয়ার বা স্টক
- ডেরিভেটিভ
- বিভিন্ন ধরনের ডেট সিকিউরিটি যেমন বন্ড বা ডিবেঞ্চার
- আরইআইটি
- এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড বা ইটিএফ
- মিউচুয়াল ফান্ড
শেয়ার বাজারে যা কিনতে পাওয়া যায় তা কিনতে কত টাকার দরকার পড়ে?
শেয়ার বাজারে কোন কোন জিনিসগুলো কেনা বেচা হয় সেব্যাপারে জানার পর এই নিবন্ধের লক্ষ্য অনুযায়ী এবারে জানার পালা ওই জিনিসগুলো কিনতে কত খরচ হতে পারে। ঐ সমস্ত ইন্সট্রুমেন্টগুলো কেনার ক্ষেত্রে খরচের বিবরণ নীচে দিলাম…
#১ ইকুইটি শেয়ার
শেয়ার বাজারে হাজার হাজার কোম্পানি লিস্টেড আছে। ঐ হাজার হাজার কোম্পানির একটা শেয়ারের দাম হাজার হাজার রকমের হয়। সেখানে যেমন কোনো শেয়ারের দাম ১ টাকা বা তার কমও হতে পারে তেমনি আবার কোনো শেয়ারের দাম ১ লাখ টাকার উপরেও হতে পারে। এক টাকার কম দামের শেয়ারের জন্য স্ক্রিনার ডট ইন এর এই লিঙ্কটায় যেতে পারেন, অনেক উদাহরণ দেখতে পাবেন। আর ১ লাখ টাকার উপরের শেয়ারের উদাহরণ আমার আপনার খুবই চেনা কোম্পানি এমআরএফ-এর শেয়ার।
তবে বিভিন্ন দামের শেয়ার পাওয়া গেলেও কোন শেয়ার বিনিয়োগ বা ট্রেডিং এর জন্য উপযুক্ত সেটা কিন্তু আলাদা প্রশ্ন। দাম কম হলেই কেনা যেতে পারে এমনটা কিন্তু মোটেও নয়। বরং বিষয়টা তার থেকে উল্টোই। খুব কম দামের শেয়ারকে পেনি স্টক বলে। আর এ ধরনের স্টক কেনাকাটা করা থেকে বিরত থাকাই ভালো। কারণ, এ ধরনের স্টকে দামের উত্থান পতন ভীষণভাবে হয় আর অনেকসময় দামের ম্যানিপুলেশনও হয়।
আবার একইভাবে শেয়ারের দাম বেশি হওয়া মানেই যে সেটা ভালো সেটাও কিন্তু বলা চলে না। তাই শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে নিজের লক্ষ্য অনুযায়ী এবং কোম্পানির ফান্ডামেন্টালস ও টেকনিক্যালস সবদিক বিবেচনা করে তবেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
ইকুইটি শেয়ার লাইভ বাজারের বদলে আইপিও-র সময় কিনতে হলে লটে কিনতে হয় এবং সাধারণত বেশিরভাগ নামীদামী কোম্পানির ক্ষেত্রে ১৩০০০-১৫০০০ এবং এসএমই কোম্পানির ক্ষেত্রে ১০০০০০ টাকার উপরে খরচ হয়।
সম্পর্কিত পাঠঃ 7+ সুপরিচিত কম দামের শেয়ার বা পেনি স্টক। সবথেকে দামী শেয়ার যাদের এমন 10 ভারতীয় কোম্পানি। শেয়ার বাজারে ভালো শেয়ার চেনার উপায় প্রথমবার বিনিয়োগের জন্য।
#২ ডেরিভেটিভ
ডেরিভেটিভ-এর ব্যাপারটা একটু ট্রিকি। ডেরিভেটিভ দুই ধরনের হয় যথা ফিউচার আর অপশন। আর ডেরিভেটিভ যাই হোক না কেন এর এক এক পিস আলাদা করে কেনাবেচা করা যায় না। ডেরিভেটিভ কেনাবেচা করতে হয় লটে এবং কোন ডেরিভেটিভ কতগুলো মিলে একটা লট হবে সেটা ঠিক করে দেয় এক্সচেঞ্জ। উপরন্তু এগুলো একধরণের কন্ট্র্যাক্ট তথা লেভারেজড ইন্সট্রুমেন্ট হওয়ায় কেনাকাটা করতে কত মার্জিন বা টাকার দরকার সেটাও পরিস্থিতি ভেদে আলাদা হয়।
এই যেমন ধরুন নিফটি ৫০ ফিউচারের ক্ষেত্রে ১ লট মানে সংখ্যায় বোঝায় ৫০ টা। আর এই ১ লট কিনতে মার্জিন বা টাকার দরকার পড়ে এখনকার নিফটির লেভেল অনুযায়ী ১১০০০০ এর কাছাকাছি। আবার ব্যাংক নিফটি ফিউচারের ক্ষেত্রে ১ লট মানে কোয়ান্টিটি ১৫ টা এবং এক্ষেত্রে ৯০০০০-এর কাছাকাছি টাকার দরকার পড়ে।
বিভিন্ন স্টক ফিউচারের ক্ষেত্রে ১ লট মানে আলাদা আলদা কোয়ান্টিটি বোঝায় এবং কোম্পানি ভেদে ১ লটের জন্য সাধারণত ১ লাখের উপরে খরচ হয়। যেমন এইচডিএফসি এমসি ফিউচারের ১ লট মানে ৩০০ কোয়ান্টিটি বোঝায় আর এই মুহূর্তে এবং জন্য দেড় লাখের মতো মার্জিন প্রয়োজন পড়ে। এক্সপায়ারি ডেট খুব কাছে এসে গেলে আবার এটা আরও বেড়ে যায়।
অপশনের ক্ষেত্রে লট সাইজ ফিউচারের সমান হলেও দামের বিষয়টা একটু আলাদা। অপশনের দাম অনেক কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে। তার মধ্যে এক্সপায়ারি ডেট কত কাছে বা দূরে এবং স্ট্রাইক প্রাইস কত সেটা অন্যতম। এক্সপায়ারি ডেট যত কাছে আসে অপশনের দাম তত কমতে থাকে। আর বর্তমান দামের থেকে স্ট্রাইক প্রাইস যত বাড়ে বা কমে অপশন কন্ট্রাক্ট-এর দামও সেইমত পরিবর্তিত হয়।
অপশন কেনা ও বেচার ক্ষেত্রে যে টাকা বা মার্জিনের প্রয়োজন পড়ে সেটার নিয়মও আলাদা হয়। কেনার ক্ষেত্রে অপশনের যে দাম দেখা যায় সেই অনুযায়ী মার্জিন এর প্রয়োজন পড়লেও অপশন বিক্রি করতে হলে যেহেতু এক্ষেত্রে ঝুঁকিটা অনেক বেশি হয় তাই দাম যাই হোক না কেন ব্রোকাররা অনেকটা বেশি মার্জিন ব্লক করে।
এক্সপায়ারি থেকে দূরত্ব আর স্ট্রাইক প্রাইসের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ইন্ডেক্স বা শেয়ার অপশন কন্ট্রাক্ট এর একটা কোয়ান্টিটির দাম ১ টাকা বা তার কম থেকে শুরু করে কয়েক হাজারও হতে পারে। আর লট অনুযায়ী কিনতে ১০০ টাকার কম থেকে শুরু করে কয়েক লাখ পর্যন্ত মার্জিনের প্রয়োজন হতে পারে।
সম্পর্কিত পাঠঃ শেয়ার বাজারে ডেরিভেটিভ বা ফিউচার ও অপশন কী?
#৩ ডেট সিকিউরিটি
যে সমস্ত ডেট সিকিউরিটি (যেমন বিবিধ ডিবেঞ্চার) সেকেন্ডারি মার্কেটে লিস্টেড থাকে সেগুলো ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট থেকেই শেয়ারের মত সরাসরি কেনাবেচা করা যায়। আর এগুলোর ক্ষেত্রে সাধারণত ১টা কোয়ান্টিটির জন্য ১ হাজারের কাছাকাছি খরচ পড়ে।
তবে নতুন ইস্যুর জন্য অ্যাপ্লাই করতে হলে সরাসরি ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট থেকে করা যায় না এবং সেক্ষেত্রে অন্য ধরনের একটা অ্যাকাউন্টের দরকার পড়ে। এই সুবিধা অনেক ব্রোকারই তাদের ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের পাশাপাশি দিয়ে থাকে। জিরোধার ক্ষেত্রে ওই অ্যাকাউন্টটার নাম কয়েন। এই কয়েন অ্যাকাউন্ট থেকে এই ধরনের যেকোনো ডেট সিকিউরিটি কিনতে চাইলে একবারে ন্যূনতম ১০০ থেকে সর্বোচ্চ ২ লাখ ইউনিট পর্যন্ত অর্ডার করতে হয় এবং খরচ পড়ে ন্যূনতম ১০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২ কোটির মতো।
#৪ আর ই আই টি
আর ই আই টি বা রিট শেয়ার আর ফান্ডের মাঝামাঝি এক বিশেষ ধরনের ইনস্ট্রুমেন্ট। এর পুরো কথা রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টমেন্ট ট্রাস্ট। এগুলো এমন এক ধরনের সংস্থা যারা বিনিয়োগকারীদের থেকে টাকা একত্রিত করে রিয়েল এস্টেট অ্যাসেট কেনে এবং তা ভাড়া দিয়ে ইনকাম করে। আর ভাড়া থেকে যা আয় হয় তা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ভাগ করে দেয়।
বিভিন্ন রকম ফান্ডের মত এক্ষেত্রেও বিনিয়োগকারীরা ইউনিট অনুযায়ী বিনিয়োগ করতে পারে। ভারতীয় বাজারে এই ধরনের ইন্সট্রুমেন্ট এর আবির্ভাব হয়েছে ইদানিংকালে। তাই এই মুহূর্তে এতে বিনিয়োগ করার বিকল্প খুব বেশি নেই। তবে যে বিকল্পগুলো আছে সেগুলোর এই মুহূর্তের দাম ৩০০ টাকার আশেপাশে।
সম্পর্কিত পাঠঃ জমি বাড়ি না কিনেই 300 টাকায় রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ। আরইআইটি
#৫ এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড বা ইটিএফ
ইটিএফ এমন এক ধরনের ফান্ড যার ইউনিট শেয়ারের মতোই ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট থেকে সরাসরি কেনাবেচা বা ট্রেড করা যায়। বর্তমানে বিনিয়োগের জন্য বিভিন্ন ইন্ডেক্স বা থিমের উপর ভিত্তি করে তৈরি বহু ইটিএফ-এর বিকল্প পাওয়া যায়। ইটিএফ গুলোর এর এক একটা ইউনিটের দাম ৫০ টাকার নিচে থেকে শুরু করে সাধারণত কয়েকশো টাকা পর্যন্ত হয়।
সম্পর্কিত পাঠঃ কেবলমাত্র ব্যাংকের ফিক্সড ডিপোজিটে টাকা রেখে যারা ঠকছেন তাদের জন্য শেয়ার বাজারে পা রাখার দিশা।
#৬ মিউচুয়াল ফান্ড
মিউচুয়াল ফান্ড ইটিএফ এর মতই, তবে এগুলো সরাসরি এক্সচেঞ্জে ট্রেড করা যায় না। মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কিনতে হলে বা বিনিয়োগ করতে হলে ব্যাংক বা বিভিন্ন ফান্ডহাউসে আবেদন করতে হয় কিংবা আধুনিককালে বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমেও কেনাকাটা করা যায়।
চালু মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করতে হলে ফান্ড অনুযায়ী ন্যূনতম ১০০ টাকা বা কোনো কোনো ফান্ডের ক্ষেত্রে ৫০০ বা ১০০০ টাকা থেকে শুরু করা যায়। আর এনএফও বা নিউ ফান্ড অফারিং-এর সময় ইউনিট কিনতে হলে সাধারণত নূন্যতম ৫০০০ টাকা দিয়ে আবেদন করা যায়।
সম্পর্কিত পাঠঃ মিউচুয়াল ফান্ড কত ধরণের হয়? মিউচুয়াল ফান্ডে কী কী উপায়ে বিনিয়োগ করা যায়? সঠিক ও ভালো মিউচুয়াল ফান্ড চেনার উপায়।
শেয়ার বাজারে কেনাকাটার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য কিছু চার্জ
শেয়ারবাজারে বিবিধ ইন্সট্রুমেন্ট কেনাকাটার সময় কেনাকাটার খরচ ছাড়াও আরো কিছু অতিরিক্ত খরচ হয়। এই যেমন প্রথমত বেশিরভাগ ব্রোকারের ক্ষেত্রেই ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য এবং একটা বাৎসরিক মেন্টেনেন্স চার্জ বাবদ কিছুটা টাকা (সাধারণত ২০০ থেকে ৬০০) খরচ হয়। এছাড়া প্রতিবার কেনা এবং বেচার সময় ব্রোকারেজ, ট্রানজাকশন চার্জ, এসটিটি, ডিপি চার্জ, সেবি চার্জ, জিএসটি ইত্যাদি মিলিয়ে আরো কিছু অতিরিক্ত খরচ হয়। কিছু কিছু ব্রোকার অবশ্য ওপেনিং বা মেনটেনেন্স চার্জ নেয় না আর ব্রোকারেজটাও বিভিন্ন ব্রোকার ভেদে আলাদা হয়। তবে শতাংশের বিচারে দেখলে এই সমস্ত চার্জ মিলিয়ে সাধারণত সবসময়ই ০.৫% বা তার কমই হয়।
সিদ্ধান্তঃ শেয়ার ব্যবসা শুরু করতে ন্যূনতম কত টাকার দরকার…
শেয়ার বাজারের বিবিধ ইন্সট্রুমেন্টগুলো কেনাবেচা করার ক্ষেত্রে কত টাকার দরকার পড়তে পারে সে বিষয়টা এতক্ষণে নিশ্চয়ই পরিষ্কার হয়ে গেছে… আর ন্যূনতম টাকার কথায় আশাকরি বুঝতে বাকি নেই যে আসলে শেয়ার বাজারে ট্রেডিং বা ইনভেস্টিং-এর ক্ষেত্রে এই বিষয়টা অর্থহীন। কারণ তর্কের খাতিরে বলা যেতেই পারে যে ১ টাকার কমেও শেয়ার ব্যবসা শুরু করা সম্ভব!
তবে বাস্তবে খুব কম টাকা শেয়ার ব্যবসা শুরু করার জন্য বা এই বাজারের জলে পা রাখার জন্য ভালো হলেও, যত কম টাকা ব্যবহার করা হবে, বলাই বাহুল্য রিটার্নটাও তত কমই হবে। আর শুরুতে বা বিষয়টা শেখার জন্য কম পুঁজি ব্যবহার করাই শ্রেয় হলেও বিষয়টা বোঝার পর বেশি পুঁজি একদিকে যেমন বেশি রিটার্ন পাওয়ার পথটা প্রশস্ত করে তেমনই কাজটাকেও খানিকটা সহজ করে দেয়। তাছাড়া বেশি পুঁজির ক্ষেত্রে শতাংশের হারে চার্জটাও কম পড়ে।
তাই আমার মতে প্রথমে ১-৫ হাজার টাকায় শুরু করে ধীরে ধীরে বেশি টাকা লাগানোই নতুনদের জন্য সবথেকে আদর্শ।
শেষ কথা
একটা কথা ভুলে গেলে চলবে না, যেখানে যত কম টাকা লাগে সাধারণত সেখানে ঝুঁকিটাও তত বেশি হয়। যেমন ধরুন, অপশন কেনার ক্ষেত্রে অনেক কম পুঁজি ব্যবহার করে অনেক বেশি টাকার বাজি ধরা যায়। কিন্তু এতে একদিকে যেমন বেশি হারে লাভের সম্ভাবনা বাড়ে তেমনই অন্যদিকে সব খোয়ানোর ঝুঁকিও বাড়ে! আবার পেনি স্টকের ক্ষেত্রেও কম টাকায় অনেক বেশি শেয়ার কেনা যায় এবং এতে কম সময়ে অনেক লাভের পাশাপাশি বড় ক্ষতির সম্ভাবনাও তৈরি হয়।
তাই সব থেকে সস্তা উপায়ে শেয়ার ব্যবসা শুরু করার পন্থা খোঁজার থেকে সঠিক উপায়ে শেয়ার ব্যবসা শুরু করার পন্থা খোঁজা বেশি যুক্তিযুক্ত।
এই বলেই আজকের কথা শেষ করলাম। ভালো লাগলে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।
ভালো থাকবেন। টা টা।
দাবিত্যাগঃ এখানে দেওয়া স্টক বা অন্যান্য ইন্সট্রুমেন্টের উদাহরণ বিষয়টা বোঝানোর উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে। এগুলো মোটেও কোনো স্টক রেকমেন্ডেশন নয়।