অনলাইনে কেনাকাটা করা যখন নেশা হয়ে যায়…

5/5 - (4 জন রেটিং করেছেন)

অনলাইনে হোক বা অফলাইনে, হাড়কিপটে কিছু মানুষ ছাড়া আমরা সকলেই পকেটে টাকা থাকলে, ব্যাংকে ব্যালেন্স থাকলে কিংবা ক্রেডিট কার্ডে আউটস্ট্যান্ডিং কম থাকলে টুকটাক কেনাকাটা করেই থাকি এবং সেটা করতে বেশ ভালোই লাগে।

তাছাড়া মাঝে মাঝে এটা করা খারাপ না এবং প্রয়োজনও বটে। এতে মনটাও ফুরফুরে হয় আর নিজেদের দরকার গুলোও মেটে। ভ্যালেন্টাইন্স ডে তে বউ বা গার্লফ্রেন্ডের জন্য একটা উপহার হোক কিংবা বাড়ির কচিকাঁচার জন্য খেলনা, নিজের ছেঁড়া মোজা টা পাল্টে নতুন একটা মোজা হোক বা রান্নাঘরে শেষ হয়ে যাওয়া তেল — এ ধরনের জিনিসগুলো কেনাকাটা করা অত্যাবশক। বরং এগুলো না কিনতে চাওয়াটাই অস্বাভাবিক।

কিন্তু সমস্যা তখনই হয় যখন কেনাকাটা করার জন্য সবসময়েই মনটা উসঘুস করে। কাজের মাঝে ফাঁক পেলেই অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট বা অন্যান্য শপিং অ্যাপ খুলে সার্চ বা ব্রাউজ করতে ইচ্ছে হয়। আর চোখের সামনে আসা অনেক কিছুই অর্ডার করতে মন চায় এবং একটা জিনিস কেনার পর আবার কি কেনা যায় তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু হয়ে যায়… আর মাস শেষে গিয়ে দেখা যায় অনেক অতিরিক্ত খরচ হয়ে গেছে এবং এমন অনেক জিনিস কেনা হয়ে গেছে যেগুলোর আদৌ কোনো দরকার ছিল না…

কারও পরিস্থিতি যদি এমন হয় তবে ধরে নিতে হবে তিনি শপাহলিক বা কেনাকাটার নেশায় আসক্ত। মদের নেশা, মোবাইলের নেশার মতোই এটাও একধরনের নেশা। এ নেশার টেকনিক্যাল টার্ম কম্পালসিভ বাইং ডিসঅর্ডার। 6% আমেরিকাবাসী এই নেশায় আসক্ত।

এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক এই নেশার লক্ষণ, বোঝার উপায়, কারণ, ক্ষতিকর দিক ও এথেকে বাঁচার উপায়…

এই নেশার লক্ষণ

যারা এই কেনাকাটার নেশায় আসক্ত তাদের তাদের কিছু লক্ষণ দেখা যায়ঃ

  • তাদের মনের মধ্যে সব সময়ই কিছু না কিছু কেনার প্ল্যান চলতে থাকে।
  • এটা করার সময় অদ্ভুত একটা আনন্দ হয়।
  • কেনার মত কোন জিনিসের উপর নজর পড়লে সেটা কেনার জন্য মনের মধ্যে তীব্র একটা আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয় এবং জিনিসটা না কেনা পর্যন্ত সেই মানসিক অবস্থা থেকে বেরোতে পারেন না।
  • তারা অনেক সময়ই অপরিকল্পিতভাবে বা অপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনে ফেলেন এবং কখনও কখনও সেগুলো হয়তো বিনা ব্যবহারেই পড়ে থাকে।
  • কেনার পর অনেক সময় অপরাধবোধ হয় জিনিসটা কেনার জন্য।
  • কেনাকাটার পরে মিথ্যে কথা বলেন বা অনেক সময় জিনিসটা লুকিয়ে রাখেন।
  • নিজের আয়ত্তের বাইরে কেনাকাটা করেন। অনেক সময় ক্রেডিট কার্ডের ব্যালেন্স পুরো ব্যবহার করে ফেলেন এবং বিল পেমেন্ট না করেই আবার নতুন ক্রেডিট কার্ডের জন্য অ্যাপ্লাই করেন।
  • অনেক সময় এজন্য চুরিও করেন।
  • প্রতিনিয়ত বা কিছুদিন ছাড়া ছাড়াই কিছু না কিছু কেনার জন্য তারা পাগল হয়ে যান। এবং সেটা করতে না পারলে মন খারাপ হয়ে যায়।
  • এই অভ্যাস চাইলেও বদলাতে পারেন না।
  • চাপ, রাগ বা হতাশার সাথে ডিল করতে বা একঘেয়েমি কাটাতে শপিং করেন।
আরও পড়ুনঃ  এভাবে ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করে 2000 টাকা পর্যন্ত উপহার পান

আপনিও কি কেনাকাটার নেশায় বুঁদ? কিভাবে বুঝবেন?

নিজের (বা কোনও কাছের মানুষের) এধরনের সমস্যা আছে কিনা বুঝতে হলে নীচের প্রশ্নগুলো নিজেকে (বা সেই কাছের মানুষকে) করা যেতে পারে। 

  • রাগ হলে বা হতাশা অনুভব করলে আপনি কি কেনাকাটা করেন?
  • কেনাকাটা করার সময় কি আপনার দারুন আনন্দ বা উদ্বেগ অনুভূত হয়?
  • কেনাকাটা করার পরে আপনার এমন কি মনে হয় যে কিছু একটা ওয়াইল্ড বা ভয়ানক কাজ শেষ করলেন?
  • কেনাকাটা করার পরে আপনার কি অপরাধবোধ হয়?
  • আপনি কি নিয়মিত এমন কোনো জিনিস কেনেন, যেগুলো হয়তো কেনাকাটার পরে ব্যবহারই করেন না?
  • অতিরিক্ত খরচ আপনার জীবনে কি সমস্যা তৈরি করছে?
  • এই ব্যাপারে আপনার কাছের মানুষের সাথে কি মাঝে মধ্যেই ঝগড়া হয়ে যাচ্ছে?
  • আপনার কি সব সময় টাকা পয়সা নিয়ে চিন্তা হচ্ছে?

যদি উপরের বেশীরভাগ প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ হয় তবে ধরে নিতে হবে আপনার এই সমস্যা থাকলেও থাকতে পারে। 

এই নেশা হওয়ার জৈবিক কারণ

মানুষ সাধারণত সুস্থ ও স্বাভাবিক কার্যকলাপ যেমন ভালো খাবার দাবার খাওয়া, ব্যায়াম করা, ভালোবাসার মানুষের সাথে অন্তরঙ্গ সময় কাটানো, হাসি ঠাট্টা করা ইত্যাদি এক্সপেরিয়েন্স করার সময় স্বাভাবিকভাবেই খুশি অনুভব করে।

এই খুশির অনুভুতি আমাদের মস্তিস্কের মধ্যে ডোপামিন নামে একটা হরমোনের নিঃসরণের জন্য হয়। তাই এই ডোপামিন হরমোন কে ফিল গুড হরমোন বলে। আর এই অনুভূতি বারবার পাওয়ার জন্য ভবিষ্যতেও আমরা স্বাভাবিকভাবেই সেসব জিনিসগুলোর পুনরাবৃত্তি করতে চাই যার জন্য এই হরমোন নিঃসরণ হয়েছিল।

কিন্তু কিছু কিছু খারাপ বস্তু যেমন মদ ও অন্যান্য মাদক এবং কিছু খারাপ অভ্যাস যেমন এই অতিরিক্ত কেনাকাটা, মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহার ইত্যাদিও ডোপামিন নিঃসরণের কারণ হতে পারে। আর এসব বদ অভ্যাসের (যেমন এক্ষেত্রে অতিরিক্ত কেনাকাটার) যত পুনরাবৃত্তি হয় ততই আরও বেশি বেশি ডোপামিন নিঃসরণ হতে থাকে। ফলস্বরূপ আরও বেশি বেশি কেনাকাটা করতে ইচ্ছা করে। আর এই চক্র চলতেই থাকে চলতেই থাকে। এবং একসময় পরিস্থিতি এমন হয়ে যায় যে, এর জন্য জীবনে সমস্যা দেখা গেলেও এই অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসাটা সম্ভবপর হয়ে ওঠে না।

কোন কোন পরিস্থিতি, ঘটনা বা বিষয় গুলো আমাদের এই অবস্থার দিকে ঠেলে দেয়?

এই নেশা তৈরি হওয়ার আসল কারণ স্পষ্ট না হলেও, কিছু কিছু বিষয় এক্ষেত্রে ইন্ধন যোগায়। যেমন…

অন্য মানসিক সমস্যা

কেনাকাটার এই নেশা অনেক সময় অন্য মানসিক অবস্থা যেমন মানসিক চাপ, হতাশা, ব্যক্তিত্বের সমস্যা,  সম্পর্কের টানাপোড়েন ইত্যাদি বিবিধ সমস্যার একটা সাইড এফেক্ট হিসেবে শুরু হয়।

ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য

অনেক সময় একা বা আইসোলেটেড মানুষেরা তাদের একাকীত্ব কাটাতে কেনাকাটায় মজতে পছন্দ করেন। যাদের সেল্ফ-এস্টিম লো তারা সেল্ফ-এস্টিম বুস্ট করার জন্য অনেক সময় এর আশ্রয় নেন, যদিও এটা যে এ ব্যাপারে খুব একটা সাহায্য করে তা কিন্তু নয়।

বস্তুবাদ

যারা বস্তুবাদী বা মানবিক অভিজ্ঞতার থেকে জিনিসপত্রে বেশি আনন্দ খুঁজে পান তারা বিভিন্ন জিনিসেই মজে থাকেন এবং বিভিন্ন জিনিসের প্রতি চাহিদা মেটাতে কেনাকাটায় মেতে ওঠেন।

আরও পড়ুনঃ  অনলাইনে ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডে কেনাকাটার সময় ব্যাংকের তরফ থেকে সরাসরি 10% ছাড়ের উপরে আরও 10% পর্যন্ত এক্সট্রা ছাড় পেতে…

দেখনদারি

আজকের সমাজে দেখনদারি একটা বড় রোগ। সবাই সবাইকে দেখাতে চায় যে সে কত বড় বা তার কত কি বা কত দামী জিনিস আছে বা তার লাইফস্টাইল কত উন্নত। আর এসব করতে গিয়ে প্রকৃত প্রয়োজনের থেকে অতিরিক্ত কেনাকাটা করতেই হয়।

ই-কমার্স সাইটগুলোর কৌশল

অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইট গুলোর বা সব ব্র্যান্ডেরই একটা লক্ষ্য হচ্ছে তাদের ব্যবহারকারীদের মধ্যে কেনাকাটার নেশা তৈরি করা। তবেই তো তাদের রেভিনিউ ও লাভ বাড়বে। আর এই উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে ক্রেতা বা এসব প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীদের কেনাকাটার বা আইটেম খোঁজার প্যাটার্ন দেখে প্ল্যাটফর্মের মধ্যে এবং প্লাটফর্মের বাইরে ইমেইল, এসএমএস, নোটিফিকেশন ইত্যাদির মাধ্যমে এমন জিনিস, এমন সময়ে, এমন ডিসকাউন্টের সাথে বা মার্কেটিংয়ের অন্যান্য কৌশল প্রয়োগ করে এমন ভাবে প্রেজেন্ট করা হয় যাতে তারা কেনাকাটা না করে থাকতে পারেন না!

বিজ্ঞাপন

ব্র্যান্ডগুলো অনেক সময় তাদের প্রোডাক্টগুলো এমন ভাবে অতিরঞ্জিত করে বিজ্ঞাপিত করে বা টার্গেট ক্রেতার মনের কোনো দুর্বলতাকে এমনভাবে নাড়া দেয় যে অনেকেই তাদের এই কৌশলের কাছে নতি স্বীকার করে তাদের ফাঁদে পা দেয় এবং ব্র্যান্ডগুলোর উদ্দেশ্য সফল হয়।

এই নেশা ধরলে কী ক্ষতি হয়?

এই নেশায় আসক্তরা কেনাকাটা করার সময় তাৎক্ষণিকভাবে কিছুটা আনন্দ বা পজিটিভ ফিল করলেও অনেক সময়ই সেই আনন্দের সাথে অপরাধবোধ এবং উদ্বেগ মিশে থাকে। আর ওই নেগেটিভ অনুভূতিগুলোকে ভোলার জন্য তারা আরো আরো কেনাকাটা করতে উদ্যত হন এবং সমস্যা আরো ঘোরতর হয়।

অন্যান্য নেশার থেকে এই নেশা কম ক্ষতিকর মনে হলেও এতে নেশাগ্রস্তরা অনেক সময়ই তাদের ক্ষমতার বাইরে কেনাকাটা করেন। আর তার ফলে তাদের জীবনে আর্থিক অনিশ্চয়তা তৈরি হয়।

অনেক সময়ই তারা নিজেদের ক্রেডিট কার্ডের পুরো ব্যালেন্স শেষ করে ফেলেন, বা কখনো ক্রেডিট কার্ডের বিল পেমেন্ট করতে ব্যর্থ হন। ফলে ক্রেডিট স্কোরের উপর প্রভাব পড়ে বা কখনো আইনগত বিষয়েও জড়িয়ে পড়েন। এর ফলে প্রকৃত কারণে লোন নেওয়ার প্রয়োজন পড়লে সে ক্ষেত্রে সমস্যা হয় বা অনেক সময় খারাপ রেকর্ডের জন্য কাজ পেতেও সমস্যা হয়।

কখনোও তারা আপনজন বা আত্মীয়-স্বজনদের থেকে টাকা ধার করেন, কখনো সেই ধার মেটাতে ব্যর্থ হন বা আবার কখনোও চুরি করতেও উদ্যত হন। তাছাড়া তারা অনেক সময় তাদের কেনা জিনিসগুলোকে গোপন রাখার চেষ্টা করেন এবং সেজন্য মিথ্যের আশ্রয় নেন। এর ফলে কাছের মানুষদের সঙ্গে সম্পর্কে অনেক সময় চিড় ধরে।

কেনাকাটার নেশা থেকে বাঁচার উপায়

এই অভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করা একটা কঠিন কাজ হতে পারে কারণ আমাদের প্রতিদিনের জীবনে স্বাভাবিক কেনাকাটা করা কিন্তু একটা প্রয়োজনীয় কাজ। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান সম্পর্কিত এবং ব্যক্তিগত জিনিসের প্রয়োজন নিত্যদিনে কিছু না কিছু তো হয়ই। তাই পুরোপুরি কেনাকাটা বন্ধ করে এই নেশার সমাধান সম্ভব নয়।

তাই এ ব্যাপারে নিয়ন্ত্রণ আনার জন্য কিছু কিছু নিয়ম অনুসরণ করা যেতে পারে। যেমন,

  • শপিং সাইটগুলোতে সেভ করা সমস্ত কার্ড ইনফরমেশন ডিলিট করে দিতে হবে।
  • ক্রেডিট কার্ডগুলোকে সারেন্ডার বা নষ্ট করে দিতে পারলে ভালো হয়।
  • পারলে শপিং অ্যাপ গুলো ডিলিট করে দিতে হবে এবং প্রকৃত কেনার প্রয়োজন পড়লে ওয়েবসাইট ব্যবহার করাটা বেটার হবে। কেনাকাটার জায়গা গুলো ওপেন করা যত কঠিন হবে তার ব্যবহার তত কমবে।
  • ওয়েবসাইটের সমস্ত নোটিফিকেশন ও ইমেইল সাবস্ক্রিপশন ক্যানসেল করে দিতে হবে।
  • যে গ্যাজেট ব্যবহার করে কেনাকাটা করা হয় সেই গ্যাজেটের ব্যবহারও কমাতে পারলে ভালো হয়।
  • কেনাকাটার জন্য ক্যাশ বা ক্যাশ অন ডেলিভারি ব্যবহার করা যেতে পারে। কার্ড বা ডিজিটাল লেনদেন করলে কত টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে সেই বোধটা মনের মধ্যে আসে না। ক্যাশে পেমেন্ট করলে চোখের সামনে কত টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে সেটা মনে স্ট্রাইক করে।
  • খরচের ব্যাপারে একটা লিমিট সেট করতে হবে।
  • প্রকৃত প্রয়োজনীয় জিনিসের একটা শপিং লিস্ট বানিয়ে কেনাকাটার সময় সেই লিস্টের বাইরে কেনাকাটা করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • কোন কিছু কেনার প্রয়োজন পড়লে সেটা কেনার আগে কয়েকদিন অপেক্ষা করতে পারলে ভালো হয়। একটু ভাবার সময় পেলে সেই জিনিসটা আসলে দরকার নাকি দরকার নয় সেটা বুঝতে সুবিধা হয়।
  • সমস্যার কথা কাছের কাউকে বলে তার থেকে সাহায্য নেওয়া যেতে পারে এবং ব্যাংক একাউন্ট, কার্ড ও ক্যাশের দায়িত্ব তাকে দিতে পারলে ভালো হয়।
  • এই নেশা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিজের কাছে নিজেকে প্রতিজ্ঞা করতে হবে এবং নিজের ইচ্ছাশক্তি দুর্বল হতে দিলে চলবে না। 
  • গঠনমূলক অন্য কিছু কাজ খুঁজে বের করতে হবে যেটা করতে ভালো লাগে। সেটা কোনো শখ হতে পারে বা ব্যায়াম করা, বই পড়া, লেখালেখি করা, গান শোনা, ছবি আঁকা ইত্যাদি যা কিছু হতে পারে। এ ধরনের কোনো কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখলে মনের মধ্যেও সহজে কেনাকাটার খেয়াল আসতে পারবে না।
  • এ ব্যাপারে সেলফ হেল্প বই পড়া যেতে পারে।
  • আর্থিক অচলাবস্থা তৈরি হয়ে থাকলে টাকা বাঁচাতে হবে, কেনাকাটার বিভিন্ন কৌশল জানতে হবে এবং বিনিয়োগ শুরু করতে হবে। এসব ব্যাপারে এই ব্লগ থেকে সাহায্য পেতে পারবেন।
  • সবকিছু চেষ্টা সত্ত্বেও যদি এই  নেশা থেকে বেরোনো না যায় তবে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াটাই উচিত হবে।
আরও পড়ুনঃ  নো কস্ট ইএমআই (No Cost EMI) কি সত্যিই নো কস্ট?

শেষ করার আগে…

শেষ করার আগে একটাই কথা বলতে চাইবো, এই সর্বনাশা নেশার কবলে না পড়তে চাইলে কিংবা এই নেশা থেকে বাঁচতে চাইলে জীবনটাকে আজকের চেনা ছকের বাইরে একটু অন্যভাবে দেখার চেষ্টা করতে হবে। জীবনের আসল আনন্দ তো এই মেটেরিয়ালিস্টিক পৃথিবীর বাইরে। পণ্যের বদলে পিউপিল বা মানুষকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া শুরু করতে হবে। কাছের মানুষের সাথে সময় কাটানো বা কাছের মানুষের একটু ছোঁয়ায় যে সুন্দর অনুভুতির উদ্রেক হয়, একটা দামি জিনিস কিনে অন্যজনকে দেখিয়ে তা কখনোই পাওয়া যায় না।

তাহলে আজকের প্রবন্ধ এখানেই শেষ করলাম। ভালো থাকবেন।

মন্তব্য করুন