টাটাদের কথা কে না জানে! বিশ্বাস আর ভরসার আরেক নাম টাটা। জামশেদজি টাটার হাত ধরে ১৮৬৮ সালে নামমাত্র পুঁজিতে যাত্রা শুরু করে এই গ্রুপ এখন ভারত তথা বিশ্বের দরবারে এক সুপরিচিত ও সম্মানিত প্রতিষ্ঠানে উন্নীত হয়েছে। ভারতবর্ষে ইস্পাত শিল্পে বিপ্লব আনা থেকে শুরু করে তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবায় বিশ্বের প্রথম সারির কোম্পানিগুলোর সমকক্ষ জায়গায় পৌঁছানো পর্যন্ত সুদীর্ঘ দেড়শ বছর ধরে এই গ্রুপ ভারতের উন্নতি ও প্রগতির পথে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র রূপে বিরাজ করছে।
বিভিন্ন সেক্টরে নিজ ও অধিগৃহীত কোম্পানি মিলিয়ে আজ এই গ্রুপের সাথে সম্পর্কিত ছোটো বড় মিলিয়ে মোট কোম্পানির সংখ্যা অগন্তি। তবে প্রতিটা কোম্পানি তার নিজস্ব পরিচালনা পর্ষদ ও শেয়ারহোল্ডারদের পরিচালনায় ও তদারকিতে স্বাধীনভাবে কাজ করে।
টাটার যেকোনো প্রোডাক্ট বা সার্ভিস কেনার বা ব্যবহার করার সময় সাধারণত আমাদের মনে সেটার গুনমান নিয়ে কোনোরকম সন্দেহের অবকাশ থাকেনা। শেয়ার বাজারে এদের কোনো শেয়ারে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রেও এই একই রকম আস্থা থাকে।
এই গ্রুপের কোম্পানি অনেক হলেও শেয়ার বাজারে লিস্তেড শেয়ারের সংখ্যা ২৯ (যদিও এটাও কম মোটেও নয়)। আজকের প্রতিবেদনে ঐ সমস্ত শেয়ারগুলোর কথাই জেনে নেব।
টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস (NSE: TCS)
টাটাদের সবথেকে বড় কোম্পানি এই টিসিএস। এটা ভারতের সবথেকে পুরানো এবং সবথেকে বড় তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি। এখানে তিন লক্ষেরও বেশী কর্মচারী কাজ করে। এটা সারা পৃথিবীব্যাপী বড় বড় কোম্পানিতে আইটি সার্ভিস দিয়ে থাকে।
মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন-এর বিচারে এর স্থান ভারতে দ্বিতীয়, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের পরই। ২০০৪ সালে এর একটা শেয়ারের দাম ছিল ১২০ টাকা। ১৯ বছর পরে ২৬৬০% (২৬+ গুন) বেড়ে এখন সেই দাম গিয়ে পৌঁছেছে ৩৩২২ টাকায়।
টাটা মোটরস (NSE: TATAMOTORS)
টাটা গ্রুপের জনপ্রিয় কোম্পানির মধ্যে অন্যতম এই টাটা মোটরস। এটা গাড়ি উৎপাদনকারী এক ভারতীয় বহুজাতিক কোম্পানি। এখানে চার চাকার গাড়ি, ভ্যান, ট্রাক, কোচ, বাস ইত্যাদি ম্যানুফ্যাকচার হয়। ব্রিটেনের জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার মোটর কোম্পানিও এখন এরই মালিকাধীন। ভারতের চার চাকার বাজারে মার্কেট শেয়ারের দিক দিয়ে এই কোম্পানি সাধারণত দ্বিতীয় বা তৃতীয় স্থানে থাকে।
এই কোম্পানির বর্তমান মার্কেট ক্যাপ ১.৮৯ লাখ কোটি। ১৯৯৯ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত এর শেয়ারের দাম ১৫ গুনের থেকেও বেশি (১৫৫৪%) বেড়েছে।
টাটা মোটরস ডি ভি আর শেয়ার (NSE: TATAMTRDVR)
এটাও টাটা মোটরস কোম্পানিরই শেয়ার কিন্তু একটু অন্য ধরণের। ডিভিআর-এর পুরো কথা ডিফারেন্সিয়াল ভোটিং রাইটস। এই ডিভিআর শেয়ারে সাধারণ শেয়ারের তুলনায় ১০% ভোটিং রাইটস পাওয়া যায় (অর্থাৎ একটা সাধারণ শেয়ার আর দশটা ডিভিআর শেয়ারের ভোটিং রাইটস সমান)। এই কারণে এই শেয়ারের দাম সাধারণ শেয়ারের থেকে কম হয়। তবে ডিভিডেন্ডের পরিমাণটা এক্ষেত্রে বেশী হয়।
অটোমোবাইল কর্পোরেশন অফ গোয়া (BSE: 505036)
এটা টাটা মোটরস-এর অধীনস্থ গোয়ায় অবস্থিত একটা কোম্পানি। এখানে বিভিন্নরকম অটোমোবাইল পার্টস তৈরি হয়।
১৯৯৯ থেকে আজ পর্যন্ত এই শেয়ার ৩৮ গুনের বেশী রিটার্ন দিয়েছে।
টাটা স্টিল (NSE: TATASTEEL)
যে কোম্পানির হাত ধরে এই গ্রুপের জয়যাত্রা শুরু হয়েছিল সেটা হচ্ছে টাটা স্টিল। ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরে অবস্থিত এই কোম্পানি বর্তমানে এক বিশাল বহুজাতিক সংস্থায় পরিণত হয়েছে। এখন এর উপস্থিতি সারা বিশ্বজুড়ে ২৬টা দেশে। ৮০০০০-এরও বেশী কর্মচারী এখানে কাজ করে। এই কোম্পানির সদর দপ্তর আছে কল্লোলিনী কোলকাতায়।
১৯৯৯ সালে ৬ টাকা ৯৫ পয়সা প্রতি শেয়ার থেকে ২৪ বছর পর আজ এই শেয়ারের দাম হয়েছে ১০৬ টাকা। মানে ওইসময় এই শেয়ারে ৭০০০ টাকা বিনিয়োগ করলে এখন সেটা বেড়ে ১০৬০০০ টাকা হয়ে যেত।
টাটা স্টিল লং প্রোডাক্টস (NSE: TATASTLLP)
টাটা স্পঞ্জ আয়রন লিমিটেডের নতুন নাম টাটা স্টিল লং প্রোডাক্টস লিমিটেড। এটা টাটা স্টিলের একটা সাবসিডিয়ারি। এই কোম্পানি প্রধানত অটো সেক্টর আর অয়ার রোপ ইন্ডাস্ট্রির জন্য হাই অ্যালয় স্টিল তৈরি করে।
১৯৯৯ তে ১৪ টাকা থেকে ৪৫ গুন বেড়ে এখন এর একটা শেয়ারের দাম চলছে ৬৪৪ টাকা।
টিনপ্লেট কোম্পানি অফ ইন্ডিয়া (NSE: TINPLATE)
টাকা স্টিলের আরেকটি সাবসিডিয়ারি হলো এই টিনপ্লেট কোম্পানি অফ ইন্ডিয়া। এটা ভারতের সবথেকে পুরানো এবং সবথেকে বড় টিনপ্লেট প্রস্তুতকারক (৭৫% মার্কেট শেয়ার)।
২০০৬ সালে ৬৩ টাকায় শেয়ার বাজারে এর পথচলা শুরু হওয়ার পর আজ সেই দাম পৌঁছেছে ৩১৭ টাকায়।
টাটা মেটালিকস (NSE: TATAMETALI)
এই কোম্পানিটিও মূল কোম্পানি টাটা স্টিলের অধীনস্থ একটা ছোটো কোম্পানি। খড়গপুরে এই কোম্পানির এক অত্যাধুনিক ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্টে উচ্চ মানের পিগ আয়রন আর ডাকটাইল আয়রন পাইপ তৈরি হয়।
১৯৯৯ সালে মাত্র ১০০০ টাকা দিয়ে এই কোম্পানির শেয়ার কিনে রাখলে এখন তার ভ্যালু হত ৭৬০০০ টাকা!
টায়ো রোলস (BSE: 504961)
টাটা স্টিলের আরো একটা সাবসিডিয়ারি টায়ো রোলস একটা ধাতব ফ্যাব্রিকেশন ও প্রসেসিং কোম্পানি। তবে শেয়ারবাজারে এককভাবে টাটার এই শেয়ারটার পারফরম্যান্স একদমই ভালো নয়।
টাইটান কোম্পানি (NSE: TITAN)
সাধারণ আম জনতার কাছে টাটার সবথেকে পরিচিত কোম্পানি এটাই। কারণ এটা প্রধানত ঘড়ি, গয়না ও চশমার মতো ফ্যাশন সামগ্রী তৈরি করে। এই কোম্পানির ভীষণ পরিচিত ও জনপ্রিয় কয়েকটা ব্র্যান্ড হল টাইটান, ফাস্ট্র্যাক, তানিস্ক, টাইটান আই প্লাস ইত্যাদি।
শেয়ার বাজারে সঠিক বিনিয়োগে কি বিশাল পরিমাণ সম্পদ তৈরি হতে পারে তার জ্বলন্ত উদাহরণ এই কোম্পানির শেয়ার। ১৯৯৯ থেকে আজ পর্যন্ত এই শেয়ারের দাম বেড়েছে ৬৬০০০% (৬৬০ গুন)। মানে, ঐ সময় যদি এই শেয়ারে মাত্র ১০০০০ টাকা বিনিয়োগ করা হত, সেটা আজকে ৬৬ লাখ টাকাকে ছাপিয়ে যেত! কিংবদন্তি বিনিয়োগকারী রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার সম্পদের বেশিরভাগটাই এই কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেই তৈরি হয়েছিল।
ভোল্টাস (NSE: VOLTAS)
ভোল্টাস এই গ্রুপের কুলিং অ্যাপ্লায়েন্স তৈরির কোম্পানি। মার্কেট শেয়ার অনুযায়ী ভারতের সব থেকে বড় এয়ার কন্ডিশনার উতপাদক এটাই। এর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কাজের মধ্যে পৃথিবীর উচ্চতম বিল্ডিং বুর্জ খালিফার এয়ারকন্ডিশনিং-এর প্রজেক্ট অন্যতম।
১৯৯৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এই কোম্পানির শেয়ারে রিটার্ন ৬০০০% (৬০ গুন)-এর বেশি।
টাটা কনজিউমার প্রোডাক্টস (NSE: TATACONSUM)
বিশ্বে চা উৎপাদনে দ্বিতীয় এই কোম্পানি ভারতের এফএমসিজি সেক্টরে সুপরিচিত। এর কয়েকটা চেনা ব্র্যান্ড হচ্ছে টাটা সল্ট, টাটা টি, টেটলি, টাটা সম্পন, টাটা স্টারবাক্স ইত্যাদি।
২০০২ সালে এই শেয়ার লিস্টেড হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৭ গুন বেড়েছে।
টাটা কফি (NSE: TATACOFFEE)
টাটা কনজিউমার প্রোডাক্টসের একটা সাবসিডিয়ারি এই টাটা কফি প্রধানত কফি উৎপাদনের সাথে যুক্ত। তবে এই কোম্পানিটাকে মূল কোম্পানিটার সাথে খুব শীঘ্রই মার্জ করে দেওয়া হবে।
শেয়ারের দাম দেখলে দেখা যাবে ১৯৯৯ থেকে এখন পর্যন্ত এর দাম বেড়েছে ১৩ গুণ।
ইন্ডিয়ান হোটেলস কোম্পানি (NSE: INDHOTEL)
ভারতের হসপিটালিটি সেক্টরের সুপরিচিত নাম ইন্ডিয়ান হোটেলস। সুপ্রসিদ্ধ ‘তাজ’ ব্র্যান্ডের হোটেলগুলো এই কোম্পানিরই অধীনস্থ। এছাড়া ভিভান্ত আর জিনজার হোটেলগুলোও এর নেটওয়ার্কের মধ্যেই পড়ে।
ইদানিংকালে এর শেয়ারের দাম ক্রমাগত উর্ধ্বমুখী। ১৯৯৯ থেকে এই শেয়ারের বৃদ্ধি হয়েছে ১১ গুণ।
ওরিয়েন্টাল হোটেলস (NSE: ORIENTHOT) এবং বেনারস হোটেলস (BSE: 509438)
এই দুই কোম্পানি ইন্ডিয়ান হোটেলস তথা তাজ গ্রুপেরই অধীনস্ত আরও দুই লিস্টেড হোটেল কোম্পানি।
টাটা এলক্সি (NSE: TATAELXSI)
এটা এআই, রোবোটিক্স, ইন্টারনেট অফ থিংস, ভার্চুয়াল ও আর্গুমেন্টেড রিয়েলিটি ইত্যাদি নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার করে ডিজাইন ও অন্যান্য সার্ভিস প্রোভাইড করে।
১৯৯৯ থেকে ধরলে এই শেয়ারে এখন পর্যন্ত রিটার্ন ২১৭৫৭% (২১৭ গুন)। মানে ১০০০ টাকার বিনিয়োগে ২ লাখেরও বেশী ফেরত! এই তালিকায় টাইটানের পর এই শেয়ারের রিটার্নই সব থেকে বেশি। করোনার পর থেকে এই কোম্পানির শেয়ারের দামের বৃদ্ধি চোখে পড়ার মতো। এই সময়ে এটা ১০ গুনের থেকেও বেশি বেড়েছে।
ট্রেন্ট (NSE: TRENT)
ওয়েস্টসাইড, ল্যান্ডমার্ক, উতসা ইত্যাদি রিটেল চেন এই কোম্পানির অধীনস্ত।
বিগত বছরগুলোতে এই কোম্পানির দারুন পারফরম্যান্স এর শেয়ারের দামের ক্রমাগত বৃদ্ধিতে পরিলক্ষিত। ১৯৯৯ থেকে এই শেয়ারের দাম বেড়েছে ১৫০ গুনের থেকেও বেশি।
নেলকো (NSE: NELCO)
এই কোম্পানিটা প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও নজরদারির কাজে বিশেষজ্ঞ। এছাড়া এটা ভিস্যাট কানেক্টিভিটি, ম্যানেজড সার্ভিস, মেটেরোলজিক্যাল সল্যুশন ইত্যাদিও প্রভাইড করে। এর ক্লায়েন্টের মধ্যে আছে মিনিস্ট্রি অফ ডিফেন্স, স্টেট ইলেকট্রিসিটি বোর্ডস, পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান রেলওয়েজ, স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া, সাইমেন্স ইত্যাদি।
শেয়ারের দামঃ ১৯৯৯ – ১০ টাকা; ২০২৩ – ৬২২ টাকা। বৃদ্ধিঃ ৬০ গুন।
টাটা কেমিক্যালস (NSE: TATACHEM)
এটা ভারতের বৃহত্তম রাসায়নিক কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটা। এর ব্যবসা ভারতসহ ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা ও আফ্রিকায় বিস্তৃত। এই কোম্পানির প্রোডাক্ট পোর্টফোলিওর মধ্যে শস্য সুরক্ষা ও স্পেশালিটি কেমিক্যাল পড়ে।
শেয়ারের দামঃ ১৯৯৯ – ৪৫ টাকা; ২০২৩ – ৯৭৪ টাকা। বৃদ্ধিঃ ২০ গুন।
র্যালিস (NSE: RALLIS)
টাটা কেমিক্যালসের সাবসিডিয়ারী এই কোম্পানি কৃষিকাজ সংক্রান্ত কীটনাশক, ছত্রাকনাশক, সার, বীজ ইত্যাদি প্রস্তুত করে থাকে।
শেয়ারের দামঃ ১৯৯৯ – ৮ টাকা; ২০২৩ – ১৯০ টাকা। বৃদ্ধিঃ ২২ গুন।
টাটা পাওয়ার কোম্পানি (NSE: TATAPOWER)
এটা ভারতের এক বৈদ্যুতিক ইউটিলিটি কোম্পানি যার মূল কাজ হল বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রেরণ ও বিতরণ।
শেয়ারের দামঃ ১৯৯৯ – ১০ টাকা; ২০২৩ – ২১৫ টাকা। বৃদ্ধিঃ ২০ গুন।
টাটা ইনভেসমেন্ট কর্পোরেশন (NSE: TATAINVEST)
এটা লং টার্ম বিনিয়োগের সাথে জড়িত একটা এনবিএফসি বা নন ব্যাংকিং ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানি।
শেয়ারের দামঃ ১৯৯৯ – ৭২ টাকা; ২০২৩ – ২২৩৯ টাকা। বৃদ্ধিঃ ২৯ গুন।
টাটা কমিউনিকেশনস (NSE: TATACOMM)
ভারত সরকারের বিদেশ সঞ্চার নিগম লিমিটেড বা ভিএসএনএল কোম্পানি টাটারা কিনে নিয়ে সেটার নাম রাখে টাটা কমিউনিকেশনস। এটা সারা পৃথিবীব্যাপী ইন্টারনেটের ব্যাকবোন তৈরির সাথে জড়িত।
অন্যান্য
উপরের কোম্পানিগুলো বাদে টাটাদের বাকি লিস্টেড কোম্পানিগুলো হল,
- টিআরএফ (NSE: TRF)
- অটোমোটিভ স্টাম্পিংস অ্যান্ড অ্যাসেম্বলিজ (NSE: ASAL)
- টাটা টেলিসার্ভিসেস (মহারাষ্ট্র) (NSE: TTML)
- তেজাস নেটওয়ার্ক (NSE: TEJASNET)
- আর্টসন ইঞ্জিনিয়ারিং (BSE: 522134)
শেষ কথা
টাটা গ্রুপের প্রাক্তন চেয়ারম্যান রতন টাটার কথায়, ‘এগিয়ে চলার জন্য জীবনের উত্থান-পতন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ইসিজি-র মতোই একটা সোজা লাইন না বেঁচে থাকারই সমান!’
জীবনের এই সরল নিয়মে এইসব কোম্পানিগুলোতেও কখনো ভালো সময় এসেছে কখনো খারাপ। তবে এই দেড়শ বছর ধরে সব ঝড়ঝাপটা সামলে টাটারা বারে বারে দেখিয়ে দিয়েছে তারা কোন ধাতুতে তৈরি!
আজ তাহলে এখানেই শেষ করি, আবার সাক্ষাৎ হবে অন্য কোনো আর্টিকেলে। ভালো থাকবেন।
দাবিত্যাগঃ এখানে দেওয়া নামগুলো কেবলমাত্র তথ্য হিসাবে দেওয়া হয়েছে। এগুলো কোনোভাবেই শেয়ার কেনার সুপারিশ নয়। বিনিয়োগের জন্য শেয়ার বাছাই করার ক্ষেত্রে ভালো কোম্পানি ছাড়াও আরো অনেক কিছু দেখার থাকে। তাই আমার ঐকান্তিক অনুরোধ, বিনিয়োগের আগে সবসময়ই নিজে সম্পূর্ণ রিসার্চ করে বা নিবন্ধিত পেশাদার আর্থিক উপদেষ্টার পরামর্শ নিয়ে তবেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQs)
টাটার যেকোনো শেয়ারে কিভাবে বিনিয়োগ করা যাবে?
এখানে দেওয়া টাটার প্রত্যকটা শেয়ারের নামের পাশে যে সিম্বল দেওয়া আছে সেটা ব্যবহার করে ডিম্যাট অ্যাকাউন্টে কোম্পানিটা খুঁজে নিয়ে শেয়ার কেনা যাবে।
টাটার শেয়ার কেনা মানে কি লাভ নিশ্চিত?
শেয়ার বাজারে ‘নিশ্চিত’ বলে কিছু হয়না। এক্ষেত্রেও সেটাই সত্যি। টাটা-কে ভরসা করা গেলেও একটা ব্যবসা কেমন চলবে সেটা আরও অনেক বিষয়ের উপর নির্ভর করে। তাই লাভ বা ক্ষতি কোনটাই নিশ্চিত নয়।
টাটা গ্রুপের সবথেকে বড় কোম্পানি কোনটা?
টি সি এস। এর মার্কেট ক্যাপ ১২ লক্ষ কোটিরও বেশী।