ক্রেডিট কার্ড থেকে ক্যাশ টাকা তুলবেন? এগুলো না জানলে কিন্তু বিশাল ক্ষতি

4.6/5 - (8 জন রেটিং করেছেন)

ক্রেডিট কার্ড একসময়ে লাক্সারির প্রতীক হলেও এখন এটা ভীষণ দরকারি একটা জিনিস। এটা ব্যবহার করে কেনাকাটা বা পেমেন্ট করার সময় সব থেকে সহজে ক্রেডিট যেমন পাওয়া যায় তেমনই 50 দিন পর্যন্ত ইন্টারেস্ট ফ্রী পিরিয়ড, ইএমআই ও নো কস্ট ইএমআই, ক্যাশব্যাক ও রিওয়ার্ড পয়েন্ট ইত্যাদির মতো আরো অনেক অতিরিক্ত সুবিধাও পাওয়া যায়

সাধারণত পেমেন্টের দরকারে ব্যবহার করার জন্য হলেও এর বাইরে একটি চমকপ্রদ সুবিধা এই কার্ডে পাওয়া যায়। সেটা হচ্ছে দরকার পড়লেই ডেবিট কার্ডের মত এই কার্ড ব্যবহার করে এটিএম থেকে ইনস্ট্যান্ট ক্যাশও তোলা যায়। মানে ব্যাপারটা খানিকটা এইরকম হল যে, ব্যাংকে যেতে হল না, সেখানে কারও সাথে কথা বলতে হল না, কোনও ফর্ম ফিলাপ করতে হল না, ব্যাংকের এ্যাপ্রুভালের জন্য অপেক্ষা করতে হলো না এবং সরাসরি এটিএম-এ গিয়ে কার্ড ঢুকিয়ে পিন দিতেই ইনস্ট্যান্ট লোনের কড়কড়ে টাকা হাতে চলে এলো।

কিন্তু ব্যাপারটা যতটা সহজ-সরল, স্মুথ এবং সিম্পল মনে হচ্ছে এটা ততটাও সিম্পল নয়। এভাবে টাকা তোলার ক্ষেত্রে বেশ কতকগুলো ‘কিন্তু’ আছে। আর সেই সমস্ত কিন্তুগুলোর রহস্যই আজ আমরা এই আর্টিকেলে উদ্ধার করার চেষ্টা করব।

সূচীপত্র দেখান

ক্রেডিট কার্ড ক্যাশ অ্যাডভান্স কী?

ব্যাংকগুলো ক্রেডিট কার্ড প্রোভাইড করে মূলত বিভিন্ন রকম ডিজিটাল পেমেন্ট ট্রানজাকশন করার সময় বা পয়েন্ট অফ সেল (পিওএস) টার্মিনালে ব্যবহার করার জন্য। কিন্তু ভারতবর্ষে এখনো পর্যন্ত সমস্ত ক্ষেত্রে ডিজিটাল ট্রানজাকশন বা কার্ড ট্রানজাকশন করা যায় না। দৈনন্দিন জীবনে কখনো কখনো ক্যাশের দরকার পড়েই। তাই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে ক্যাশ উইথড্র করার সুবিধাও বেশির ভাগ কার্ডেই দেওয়া হয়। এই সুবিধার টেকনিক্যাল টার্ম হচ্ছে ক্রেডিট কার্ড ক্যাশ অ্যাডভান্স। তবে এই সুবিধার কিছু নিয়ম বা লিমিটেশন আছে। যেমন,

  • এই সুবিধা ক্রেডিট কার্ডের বেসিক সুবিধাগুলোর মধ্যে পড়ে না তাই সব কার্ডে এই সুবিধা পাওয়া যায় না।
  • কার্ডে যত ক্রেডিট লিমিট থাকে তার পুরোটা ক্যাশ তোলার জন্য ব্যবহার করা যায় না। সাধারণত ব্যাংক ভেদে পুরো লিমিটের 20 থেকে 40% এক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়।
  • এই সুবিধা নিতে গেলে একাধিক চার্জ বহন করতে হয়।
আরও পড়ুনঃ  অ্যামাজনে জিনিসপত্রের দাম কখন এবং কত কম হতে পারে কিভাবে বুঝবেন?

এই কার্ড ব্যবহার করে কিভাবে এটিএম থেকে টাকা তোলা যায়?

ঠিক যেভাবে আমরা ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে এটিএম থেকে টাকা তুলতে পারি একইভাবে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেও যেকোনো এটিএম থেকে টাকা তোলা যায়। পয়েন্ট অফ সেল টার্মিনালে এই কার্ড দিয়ে পেমেন্ট করার সময় যে পিনটা ব্যবহার করতে হয় এটিএমে টাকা তোলার সময়ও সেই একই পিন ব্যবহার করতে হয়।

ক্রেডিট কার্ডে ক্যাশ তোলার চার্জ

পৃথিবীতে কোনোকিছুই ফ্রিতে পাওয়া যায়না। হ্যাঁ এই সুবিধা এমারজেন্সির সময় অতুলনীয় কিন্তু এই সুবিধা দেওয়ার বদলে ব্যাংকগুলো নানাভাবে নানারকম ফি চার্জ করে নিজেদের মুনাফার অংকটাও গড়ায়-গণ্ডায় বুঝে নেয়।

সুদ

সাধারণ কেনাকাটার জন্য এই কার্ড ব্যবহার করলে টাকা খরচের সাথে সাথেই সুদ দিতে হয় না। এক্ষেত্রে ট্রানজাকশনের পরে কার্ড স্টেটমেন্ট জেনারেশনের দিন পর্যন্ত সর্বোচ্চ 30 দিন এবং স্টেটমেন্ট ডেট থেকে ডিউ ডেট পর্যন্ত আরো 20 দিন মানে মোট 50 দিন পর্যন্ত ইন্টারেস্ট ফ্রি পিরিয়ড পাওয়া যায়।

কিন্তু ক্রেডিট কার্ডে টাকা তোলার ক্ষেত্রে টাকা তোলার সাথে সাথেই সুদ গোনা শুরু হয়ে যায়। এবং যতক্ষণ না টাকা শোধ করা হচ্ছে ততক্ষণ সুদ বাড়তে থাকে।

এছাড়া সাধারণ ট্রানজাকশনে যে হারে সুদ দিতে হয় টাকা তোলার ক্ষেত্রে সাধারণত তার থেকে বেশি হারে সুদ দিতে হয়।

কয়েকটা বড় বড় ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডে সুদের হারগুলো হল…

কার্ড প্রোভাইডকারীসুদের হার
আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কমাসে 2.5 – 3.67% মানে বছরে মোটামুটি 30-44% 
অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কমাসে 1.5 – 3.6% বছরে 19.5-43%
এইচডিএফসি ব্যাংকমাসে 2-3.6% বছরে 24-43%
এস বি আইমাসে 3.35% পর্যন্ত মানে বছরে 42% পর্যন্ত

এই সুদের হার বিভিন্ন কার্ড ব্যবহারকারীর জন্য আলাদা হতে পারে এবং তা কত হবে সেটা কয়েকটা বিষয়ের উপর নির্ভর করে। যেমন,

  • ব্যাংকের নিজস্ব অভ্যন্তরীণ হার।
  • কার্ড ব্যবহারের ধরণ।
  • ব্যবহারকারীর টাকা শোধ করার অভ্যাস।

ক্যাশ অ্যাডভান্স চার্জ

সুদ ছাড়াও ক্রেডিট কার্ডে ক্যাশ তোলার ক্ষেত্রে ক্যাশ অ্যাডভান্স ফি নামে আরও একটা চার্জ দিতে হয়। কার্ড ব্যবহার করে ক্যাশ তোলার সময় প্রতিবার এই চার্জ কাটে। ব্যাংক ভেদে এই চার্জ 2-3% হতে পারে এবং নূন্যতম হিসেবে সাধারণত 250-500 টাকা প্লাস জিএসটি কাটে।

কয়েকটা জনপ্রিয় কার্ডে এই চার্জের পরিমাণঃ

ক্রেডিট কার্ডক্যাশ অ্যাডভান্স ফি 
অ্যামাজন পে আইসিআইসিআই কার্ড2.5%, মিনিমাম 300 টাকা
ফ্লিপকার্ট অ্যাক্সিস ব্যাংক কার্ড2.5%, মিনিমাম 500 টাকা
এইচডিএফসি রেগালিয়া ক্রেডিট কার্ড
এসবিআই এলিট কার্ড

তাছাড়া ভুলে গেলে চলবে না, এই ক্যাশ অ্যাডভান্স ফি এর ওপরে কিন্তু আবার ইন্টারেস্ট-ও প্রযোজ্য। 

আরও পড়ুনঃ  অনলাইনে ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডে কেনাকাটার সময় ব্যাংকের তরফ থেকে সরাসরি 10% ছাড়ের উপরে আরও 10% পর্যন্ত এক্সট্রা ছাড় পেতে…

এটিএম চার্জ

কিছু কিছু ব্যাংক অন্য ব্যাংকের এটিএম ব্যবহার করার জন্য বা প্রতি মাসে ন্যূনতম লিমিটের থেকে বেশিবার ব্যবহার করার জন্য টাকা তোলার সময় একটা এটিএম উইথড্রয়াল ফি কাটতে পারে। এটা ট্রানজাকশন প্রতি 15-20 টাকার মতো হতে পারে।

ওভার লিমিট চার্জ

ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে টাকা তুলতে হলে কার্ডের ক্যাশ লিমিট টা আগে জেনে নেওয়া প্রয়োজন। লিমিটের বাইরেও অনেক সময় কার্ড প্রোভাইডার কোম্পানিগুলো ট্রানজাকশন করতে বা ক্যাশ তুলতে দেয়। আর যদি দেয় সেক্ষেত্রে কিন্তু একটা ওভার লিমিট চার্জ কেটে নেয়।

পরোক্ষভাবে অন্যান্য কেনাকাটার ক্ষেত্রে চার্জ 

এই কার্ড ব্যবহার করে একবার ক্যাশ তোলার পর সেই ধার শোধ করার আগে পর্যন্ত যা যা কেনাকাটা করা হয় সেই সমস্ত কেনাকাটায় কিন্তু আর ইন্টারেস্ট ফ্রি পিরিয়ড পাওয়া যায় না। মানে ক্যাশ তোলার পরে কার্ডে সমস্ত খরচের উপরে তৎক্ষণাৎ সুদ গোনা শুরু হয়ে যায়।

কোনও বিশেষ কার্ডে কি এই চার্জ গুলো থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যায়?

আইডিএফসি ব্যাংকের আইডিএফসি ফার্স্ট ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে টাকা তুললে টাকা তোলার সাথে সাথেই ইন্টারেস্ট চার্জ করা শুরু হয় না। এই কার্ডের ক্ষেত্রে এটিএম থেকে টাকা তোলাও অন্যান্য ট্রানজাকশনের মতোই গণ্য হয় এবং 48 দিন পর্যন্ত ইন্টারেস্ট ফ্রি পিরিয়ড পাওয়া যায়।

আর এই কার্ড টা লাইফ টাইম ফ্রি হয়, মানে অ্যানুয়াল মেন্টেনেন্স চার্জও দিতে হয় না।

তবে এক্ষেত্রেও ক্যাশ অ্যাডভান্স ফি টা ছাড়া হয় না। ক্যাশ অ্যাডভান্স ফি হিসাবে প্রতিবার টাকা তোলার সময় 199 টাকা চার্জ কাটে।

ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে টাকা তোলার অন্যান্য অসুবিধা

  • এত রকম চার্জ ছাড়াও আরো একটা অসুবিধা হচ্ছে এমনিতে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে যে রিওয়ার্ড পয়েন্ট পাওয়া যায়, ক্যাশ তোলার ক্ষেত্রে কিন্তু সেই রিওয়ার্ড পয়েন্ট গুলো পাওয়া যায় না।
  • এটিএম থেকে টাকা তোলার দৈনিক লিমিট এক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
  • প্রতিবছর ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে খরচের একটা মাইলস্টোন পার করলে পেইড ক্রেডিট কার্ডের অ্যানুয়াল ফি দিতে হয় না। এভাবে ক্যাশ তোলার মাধ্যমে যে খরচ হয় সেটা কিন্তু ওই মাইলস্টোনের হিসেবে ধরা হয় না।
  • সাধারণ ট্রানজাকশন-এর ক্ষেত্রে যে সমস্ত ডিসকাউন্ট অফার পাওয়া যায় সেগুলো এক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় না।
  • তাছাড়া এই সুবিধার অপব্যবহার করে নিজের আয়ত্তের বাইরে ক্যাশ তুলে ক্রেডিট কার্ড বিলের বোঝা যদি এমন জায়াগায় চলে যায় যে মেটানো সম্ভবপর হয়ে ওঠেনা, তখন কিন্তু চার্জের ভার ক্রমশ ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যায়।

এই কার্ড ব্যবহার করে টাকা তোলার সুবিধা

এভাবে টাকা তোলার ক্ষেত্রে সবকিছুই অসুবিধাজনক নয় এবং এর সুবিধা গুলো আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। হ্যাঁ ঝামেলা আছে, চার্জ আছে, কিন্তু এটাও মানতে হবে এমারজেন্সির সময় সপ্তাহের যেকোনো দিন যেকোনো সময়ে হাতে ক্যাশ পাওয়ার এর থেকে ভালো উপায় আর হতে পারে না।

আরও পড়ুনঃ  অ্যামাজন থেকে অবিশ্বাস্য ছাড়ে, খুব সস্তা দামে দুর্দান্ত কোয়ালিটির ব্র্যান্ডেড প্রোডাক্ট বা জিনিস কিনে টাকা বাঁচাবার উপায়।

তাছাড়া এই সুবিধা ক্রেডিট কার্ডে এমনি এমনিই থাকে এবং যতক্ষণ না পর্যন্ত এই সুবিধার ব্যবহার করা হয় ততক্ষণ পর্যন্ত কিন্তু এই সুবিধা পাওয়ার জন্য আলাদা করে কোনো চার্জ দিতে হয় না বা কোনো খরচ বহন করতে হয় না।

আর ক্রেডিট কার্ডের লিমিট যত বাড়তে থাকে এই ক্যাশ অ্যাডভান্স লিমিটও তার সাথে সাথেই তত বাড়তে থাকে।

এভাবে কার্ড ব্যবহার করলে ক্রেডিট স্কোরে প্রভাব ফেলে?

এভাবে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে টাকা তুললে সরাসরি ক্রেডিট স্কোরের ওপর কোনো প্রভাব পড়ে না বটে, তবে ঋণের বোঝা বেড়ে গিয়ে যদি কখনো পেমেন্ট মিস হয়ে যায় তখন কিন্তু স্বাভাবিক ভাবেই ক্রেডিট স্কোরের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ে।

এভাবে টাকা তোলা কি উচিৎ?

আশা করি সিদ্ধান্তটা এতক্ষণে আপনার নেওয়া হয়েই গেছে। যদি প্রকৃত প্রয়োজন না পড়ে তবে কখনোই এভাবে টাকা তোলা উচিত নয়। প্রয়োজনের সময় যতক্ষণ টাকা জোগাড় করার অন্য উপায় আছে ততক্ষণ এভাবে টাকা তোলার কথা ভাবাই উচিত নয়। 

এভাবে যদি টাকা তুলতেই হয়…

যদি সেরকম কোনো এমার্জেন্সি তৈরি হয় এবং একান্তই অন্য কোনোভাবে টাকা জোগাড় করা সম্ভব না হয় এবং এই উপায় অবলম্বন করতেই হয় সেক্ষেত্রে,

  • উপরের উদাহরণ এর মত চার্জ দিতে হয় না সেরকম কোনো কার্ড ব্যবহার করতে হবে।
  • যে কার্ডে ক্যাশ অ্যাডভান্স ফি কম বা ইন্টারেস্ট রেট কম সে ধরনের কার্ড ব্যবহার করতে হবে।
  • বারে বারে ছোট ছোট অ্যামাউন্টে টাকা তুলে বারবার ক্যাশ অ্যাডভান্স ফি-এর জালে না পড়ে একবারে বড় অ্যামাউন্ট তুলে নিতে হবে।
  • ক্যাশ তোলার পর সেই কার্ড ব্যবহার করে কেনাকাটা এড়াতে হবে।
  • যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টাকা শোধ করে দিতে হবে।

এই উপায় গুলো ফলো করলে কিছুটা অন্তত চার্জের ঝামেলা থেকে বাঁচা যাবে।


প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQs)

সব রকম ক্রেডিট কার্ডে কি ক্যাশ অ্যাডভান্স এর সুবিধা পাওয়া যায়?

না, সব ক্রেডিট কার্ডে এই সুবিধা পাওয়া যায় না। কোন কার্ডে এই সুবিধা উপলব্ধ সেটা জানার জন্য সেই কার্ডের ডকুমেন্টেশন পড়ে নেওয়া যেতে পারে বা ব্যাংকের কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করা যেতে পারে।

কার্ডের ক্যাশ লিমিট কত কিভাবে জানা যাবে?

ক্রেডিট কার্ডের স্টেটমেন্টে এর উল্লেখ থাকে। এছাড়া কার্ড অ্যাকাউন্টের অ্যাপ বা ওয়েবসাইট থেকেও এটা জানা যায়।

ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে ক্যাশ তোলার ক্ষেত্রে কোনো অ্যাপ্রুভাল লাগে কি?

না। কার্ড নিয়ে সরাসরি এটিএম-এ গিয়েই টাকা তোলা যায়।

ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে টাকা তোলার পর সেই টাকা কি ক্যাশেই শোধ করতে হয়?

না সেরকম কোনো ব্যাপার নেই। ক্রেডিট কার্ডে সাধারনভাবে যেভাবে বিল পেমেন্ট করা হয় সেভাবেই পেমেন্ট করতে হয়।


মন্তব্য করুন