অনলাইনে কেনাকাটার জন্য সেরা 5 ক্রেডিট কার্ড – যেগুলো ব্যবহারে সবথেকে বেশি ছাড় ও ক্যাশব্যাক পাওয়া যায়

5/5 - (2 জন রেটিং করেছেন)

‘আহা কি আনন্দ অনলাইনে কেনা-কাটায়!’ তবে শুধু অনলাইনে না, অফলাইনেও! আমরা আয় করি শেষপর্যন্ত তা ব্যয় করার জন্যই! আর ব্যয় করার কারন বা অজুহাত যখন শপিং তখন তো মজাটাই আলাদা! আবার কেনাকাটা করার পর যদি 50 দিন পর্যন্ত দাম টা না দিতে হয় তাহলে তো সোনায় সোহাগা! তার উপর যদি মেলে 20% পর্যন্ত এক্সট্রা ছাড় তাহলে তো আর কথাই নেই! আবার দামী কিছু প্রোডাক্ট হলে যদি বিনা বাড়তি খরচে কিস্তিতে (No Cost EMI) দাম মেটানোর সুযোগ পাওয়া যায় তাহলে তো পুরো মাখন!

কি, অবিশ্বাস্য লাগছে নাকি? কিন্তু ক্রেডিট কার্ড নিলে বা ক্রেডিট কার্ডে অনলাইনে শপিং করলে কিন্তু এই ধরনের সুবিধা গুলোই পাওয়া যায়। তাই তো আজকাল অনেকেই ডেবিট কার্ড বা ক্যাশে কেনার বদলে ক্রেডিট কার্ডে কেনাই পছন্দ করছে। আর হু হু করে বাড়ছে এর ব্যবহার।

বিশেষত অনলাইনে কেনাকাটায় ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে সুবিধা বা ছাড় পাওয়া যায় বেশি। তাছাড়া আজকাল ই-কমার্স শপিং ওয়েবসাইটগুলোতে সময়ে সময়ে যে 10% এক্সট্রা ছাড় গুলো দেয় সেগুলো অনেক সময়ই কেবলমাত্র ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করলে তবেই পাওয়া যায়। তাই আজকের দিনে অনলাইনে কেনাকাটায় এই কার্ড একদমই অপরিহার্য।

তাই, ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার কথা যদি মাথায় এসে থাকে বা তুমি যদি অলরেডি এক বা একাধিক ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করছ এরকম কেউ হও এই আর্টিকেল তোমার জন্য। এখানে আমি অনলাইনে কেনাকাটায় সবথেকে বেশি সুবিধাজনক ও সবথেকে বেশি ছাড় পাওয়া যায় এরকম পাঁচটা ক্রেডিট কার্ডের সন্ধান দেব এবং সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো।

তবে সবার আগে ক্রেডিট কার্ডের রকমফের সম্পর্কে একটু জেনে নেব…

সূচীপত্র দেখান

ক্রেডিট কার্ড কতরকম?

এমনিতে হরেক রকম ক্রেডিট কার্ডকে বহু রকম ভাবে বহু ক্যাটিগরিতে ভাগ করা যায়। তবে এই আর্টিকেলে আমাদের সুবিধার জন্য প্রোভাইডার অনুযায়ী আমি ক্রেডিট কার্ডকে দুই ভাগে ভাগ করব।

প্রথমতঃ স্ট্যান্ডার্ড ক্রেডিট কার্ড যেগুলো সরাসরি ব্যাংক বা ইস্যুয়াররা প্রোভাইড করে যেকোনো একটা কার্ড নেটওয়ার্কের (যেমন ভিসা, মাস্টার কার্ড বা রূপে) সাথে গাঁটছড়া বেঁধে।

দ্বিতীয়তঃ কো-ব্র্যান্ডেড ক্রেডিট কার্ড, যেগুলো প্রোভাইড করার জন্য তৃতীয় কোনও পার্টি ইস্যুয়ার এবং কার্ড নেটওয়ার্কের সাথে গাঁটছড়া বাঁধে। এই তৃতীয় পার্টি হল কোনও বিশেষ মার্চেন্ট বা ব্যবসায়ী যেমন অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট, স্যামসাং ইত্যাদি।

এবারে ফিরি কোন কোন ক্রেডিট কার্ড অনলাইনে কেনাকাটার জন্য সেরা, সেই বিষয়ে। তো সবার প্রথমেই যে কার্ডটার কথা মাথায় আসে সেটা হচ্ছে… 

অ্যামাজন পে আই সি আই সি আই ক্রেডিট কার্ড

Amazon Pay ICICI ক্রেডিট কার্ড

এটা অ্যামাজনের কো-ব্র্যান্ডেড ক্রেডিট কার্ড। জাস্ট কয়েক বছর আগে লঞ্চ হয়েছে এবং খুব কম সময়ের মধ্যেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

আরও পড়ুনঃ  ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে টাকা বাঁচানোর 20 টি গোপন উপায়

যে যে কারনে এই কার্ড সেরাদের মধ্যে একটাঃ

  1. এটা সম্পূর্ণভাবে সারা জীবনের জন্য ফ্রী।
  2. আবেদন করার সময় কোনও জয়েনিং ফি তো দিতেই হয় না, বরং কিছু রিওয়ার্ড পাওয়া যায়। 
  3. আবেদন প্রক্রিয়া খুব সহজ, বাড়ি থেকেই করা যায়, পুরোপুরি পেপারলেস এবং আবেদন করার পর খুব তাড়াতাড়ি কার্ড পাওয়া যায়।
  4. প্রাইম মেম্বারদের জন্য অ্যামাজনে যেকোনো কিছু কেনাকাটায় সবসময় আনলিমিটেড 5% ক্যাশব্যাক পাওয়া যায়।
  5. অ্যামাজনে যেকোনো বিল পেমেন্টে 2% ক্যাশব্যাক পাওয়া যায়।
  6. অন্যান্য যেকোনো ট্রানজাকশন-এর জন্য 1% ক্যাশব্যাক পাওয়া যায়।
  7. বিশেষ সেল এর সময় এক্সট্রা 5% ইনস্ট্যান্ট ছাড় পাওয়া যায়।
  8. 2500-র বেশি রেস্টুরেন্টে 15% ছাড় পাওয়া যায়।
  9. 1% ফুয়েল সারচার্জ দিতে হয় না।
  10. ক্যাশকরো বা ‘আইসিআইসিআই ক্যাশব্যাক অ্যান্ড বাই‘ ভায়া ব্যাবহার করলে আরও এক্সট্রা ক্যাশব্যাক পাওয়া যায়।
  11. অন্য বহু থার্ড পার্টি অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে এক্সক্লুসিভ ছাড় পাওয়া যায়। 
  12. ক্যাশব্যাক অ্যামাজন পে ব্যালেন্স হিসেবে নিজে নিজেই একাউন্টে চলে আসে।
  13. অ্যামাজনে নো কস্ট ইএমআই এর সুবিধা পাওয়া যায়।
  14. অনলাইনে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা অ্যাপে বিভিন্ন ব্যাংকের তরফ থেকে তাদের কার্ড ব্যবহারে 10% এক্সট্রা ছাড়ের সুবিধা দেয়। আই সি আই সি আই তাদের মধ্যে অন্যতম।

সুবিধা গুলোর পরে চলো এবারে জেনে নেওয়া যাক,

এই কার্ডের খামতি গুলোঃ

  1. নন-প্রাইম কাস্টমারদের জন্য ক্যাশব্যাক কম (3%)।
  2. অ্যামাজনের বাইরে 1% ক্যাশব্যাক অন্যান্য কিছু কার্ডের তুলনায় কম।
  3. অ্যামাজনে বিশেষ সেল গুলোর সময় যখন অন্য আইসিআইসিআই ক্রেডিট কার্ডে ইনস্ট্যান্ট ছাড় পাওয়া যায় 10% তখন এই কার্ডে পাওয়া যায় 5%।
  4. ফ্লিপকার্ট-এর সেলে যখন অন্য আইসিআইসিআই কার্ডে 10% ছাড় পাওয়া যায় তখন, এই কার্ডে কখনো কখনো সেই ছাড় টা পাওয়া যায় না।
  5. প্রডাক্ট স্পেসিফিক ছাড়ে আইসিআইসিআই ব্যাংকের কার্ডে যদি 10 পার্সেন্ট ছাড় থাকে কখনও কখনও এই কার্ড ব্যবহার করলে সেই ছাড় পাওয়া যায় না।
  6. ইএমআই-তে কেনাকাটা করলে 5% ক্যাশব্যাক পাওয়া যায় না।

আবেদন করার জন্য কি করতে হয়: 

অ্যামাজন ওয়েবসাইট বা অ্যাপে অ্যামাজন পে আই সি আই সি আই ক্রেডিট কার্ডের পেজ থেকে এপ্লাই করতে হয়।

ফ্লিপকার্ট অ্যাক্সিস ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডঃ

Flipkart Axis Bank Credit Card

অ্যামাজনের পরে ফ্লিপকার্ট ও তাদের নিজস্ব কো-ব্র্যান্ডেড ক্রেডিট কার্ড লঞ্চ করে তবে অ্যাক্সিস ব্যাংকের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে।

যে যে কারনে এই কার্ড সেরাদের মধ্যে একটাঃ

  1. জয়েনিং-এ 500 টাকার ফ্লিপকার্ট গিফট কার্ড এবং মিন্ত্রা ও সুইগি তে বিশেষ ছাড় পাওয়া যায়।
  2. ফ্লিপকার্ট, 2গুড এবং মিন্ত্রায় সবসময়ের জন্য আনলিমিটেড 5% ক্যাশব্যাক পাওয়া যায়। 
  3. ক্লিয়ারট্রিপ,  কিওর-ফিট, পিভিআর, সুইগি, টাটা প্লে, এবং উবের-এ সবসময় 4% ক্যাশব্যাক পাওয়া যায়।
  4. অন্যান্য যেকোনো ট্রানজাকশন-এর জন্য 1.5% ক্যাশব্যাক পাওয়া যায়।
  5. ক্যাশব্যাক প্রকৃত ক্যাশব্যাক হিসাবে ক্রেডিট কার্ড একাউন্টে চলে আসে।
  6. ‘অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক গ্র্যাব ডিলস’-এর মাধ্যমে আরও বেশি এক্সট্রা ক্যাশব্যাক (8-10% পর্যন্ত) পাওয়া যায়।
  7. প্রতি বছর 4 বার কম্প্লিমেন্টারি এয়ারপোর্ট লাউঞ্জ অ্যাক্সেস, পার্টনার রেস্টুরেন্টে 20% ও ফুয়েল সারচার্জ-এ 1% ছাড় পাওয়া যায়।
  8. ফ্লিপকার্টে নো কস্ট ইএমআই এর সুবিধা পাওয়া যায়।
  9. অনলাইনে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা অ্যাপে বিভিন্ন ব্যাংকের তরফ থেকে তাদের কার্ড ব্যবহারে 10% এক্সট্রা ছাড়ের সুবিধা দেয়। অ্যাক্সিস ব্যাংক তাদের মধ্যে অন্যতম।
আরও পড়ুনঃ  শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ আর জীবনবীমা একইসাথে। 2 ইন 1 ইউলিপ

এরপর জেনে নেওয়া যাক,

এই কার্ডের খামতি গুলো কি কি?

  1. এই কার্ড ফ্রি নয়। জয়েনিং এবং অ্যানুয়াল ফি 500 টাকা ( তবে জয়েনিং ফি এর বদলে 500 টাকার ফ্লিপকার্ট গিফট কার্ড পাওয়া যায় এবং বছরে 2 লাখ টাকার কেনাকাটা করলে অ্যানুয়াল ফি দিতে হয় না )।
  2. ফ্লিপকার্টে কখনও বিশেষ সেল গুলোর সময় যখন অন্য আক্সিস ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডে ইনস্ট্যান্ট ছাড় পাওয়া যায় 10% তখন এই কার্ডে পাওয়া যায় 5%।
  3. প্রডাক্ট স্পেসিফিক ছাড়ে অ্যাক্সিস ব্যাংকের কার্ডে যদি 10 পার্সেন্ট ছাড় থাকে কখনও কখনও এই কার্ড ব্যবহার করলে সেই ছাড় পাওয়া যায় না।
  4. ইএমআই-তে কেনাকাটা করলে 5% ক্যাশব্যাক পাওয়া যায় না। 

আবেদন করার জন্য কি করতে হয়:

এই কার্ড নেওয়ার জন্য অ্যাপ্লাই করতে চাইলে ক্লিক করোঃ

ফ্লিপকার্ট অ্যাক্সিস ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড অ্যাপ্লাই ← [এখানে ট্যাপ করো] 

ক্যাশব্যাক এসবিআই কার্ডঃ

Cashback Sbicard Credit Card

এস বি আই এর তরফে এই কার্ডটা লঞ্চ হয়েছে খুব বেশিদিন হয়নি। অনলাইনে ক্রস-প্ল্যাটফর্ম কেনাকাটায় ক্যাশব্যাক পেতে এই কার্ডের জুড়ি মেলা ভার।

যে যে কারনে এই কার্ড সেরাদের মধ্যে একটাঃ

  1. আবেদন করার সময় কোন জয়েনিং ফি দিতে হয় না।
  2. অনলাইনে যে কোন ওয়েবসাইটে কেনাকাটায় কিংবা খরচ করার সময় 5% ক্যাশব্যাক পাওয়া যায়।
  3. অফলাইনে ব্যবহার এবং বিল পেমেন্টে 1% ক্যাশব্যাক পাওয়া যায়।
  4. ফ্লিপকার্ট অ্যাক্সিস ব্যাংক কার্ডের মত ক্যাশব্যাক প্রকৃত ক্যাশব্যাক হিসাবে ক্রেডিট কার্ড একাউন্টে চলে আসে।
  5. ‘এসবিআই yono শপ অ্যান্ড অর্ডার’ এর মাধ্যমে আরও এক্সট্রা ক্যাশব্যাক পাওয়া যায়।
  6. প্রতি বছর 4 বার কম্প্লিমেন্টারি এয়ারপোর্ট লাউঞ্জ অ্যাক্সেস ও ফুয়েল সারচার্জ-এ 1% ছাড় পাওয়া যায়।
  7. অনলাইনে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা অ্যাপে বিভিন্ন ব্যাংকের তরফ থেকে তাদের কার্ড ব্যবহারে 10% এক্সট্রা ছাড়ের সুবিধা দেয়। এস বি আই তাদের মধ্যে অন্যতম। 

আর এর খামতিগুলোঃ

  1. অ্যানুয়াল ফী 999 টাকা যেটা দ্বিতীয় বছর থেকে দিতে হয় ( তবে বছরে 2 লাখ টাকার কেনাকাটা করলে এই ফি দিতে হয় না )।
  2. ইএমআই তে কেনাকাটায় এছাড়া রেন্ট পেমেন্ট, ওয়ালেট লোড ইত্যাদি ক্ষেত্রে ক্যাশব্যাক পাওয়া যায় না। 

আবেদন করার জন্য কি করতে হয়:

এই কার্ড নেওয়ার জন্য অ্যাপ্লাই করতে চাইলে নীচের লিঙ্ক ট্যাপ বা ক্লিক করার পর ক্যাশব্যাক এসবিআই কার্ড বেছে নাও।

ক্যাশব্যাক এসবিআই কার্ড অ্যাপ্লাই  ← [এখানে ট্যাপ করো] 

এইচ ডি এফ সি ব্যাংক মিলেনিয়া ক্রেডিট কার্ডঃ

HDFC Bank Millennia Credit Card

ভারতের সবথেকে বড় প্রাইভেট ব্যাংক এইচডিএফসি। এইচডিএফসি-র বিবিধ কার্ডের মধ্যে এই কার্ডটা অনলাইনে কেনাকাটার সময় ক্যাশব্যাক পাওয়ার ক্ষেত্রে খুবই উপযোগী।

যে যে কারনে এই কার্ড সেরাদের মধ্যে একটাঃ

  1. জয়েনিং এর সময় 1000 ক্যাশ পয়েন্ট পাওয়া যায়।
  2. অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট, মিন্ত্রা, সুইগী, জোমাটো, টাটা ক্লিক, বুকমাইশো, কাল্ট ফিট, সনি লিভ এবং উবের-এ 5% ক্যাশব্যাক পাওয়া যায়।
  3. ইএমআই ও ওয়ালেট লোড সহ বাকি সব ট্রানজাকশনে 1% ক্যাশব্যাক পাওয়া যায়।
  4. বছরে 1 লাখ টাকার ওপরে খরচ করলে হাজার টাকার গিফট ভাউচার পাওয়া যায়।
  5. এইচডিএফসি স্মার্ট-বাই‘ এর মাধ্যমে আরও এক্সট্রা ক্যাশব্যাক পাওয়া যায়।
  6. প্রতি বছর 8 বার কম্প্লিমেন্টারি এয়ারপোর্ট লাউঞ্জ অ্যাক্সেস, পার্টনার রেস্টুরেন্টে 20% ও ফুয়েল সারচার্জ-এ 1% ছাড় পাওয়া যায়।
  7. অনলাইনে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা অ্যাপে বিভিন্ন ব্যাংকের তরফ থেকে তাদের কার্ড ব্যবহারে 10% এক্সট্রা ছাড়ের সুবিধা দেয়। এইচডিএফসি তাদের মধ্যে অন্যতম।
  8. অনেক সময় লাইফটাইম ফ্রি কার্ড পাওয়ার অফার পাওয়া যায়। অনেক সময় কাস্টমার কেয়ারে রিকোয়েস্ট করে অ্যানুয়াল ফী ফেরত পাওয়া যায়।
আরও পড়ুনঃ  ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ডের মধ্যে পার্থক্য কী? কোনটা বেশি ভালো?

খামতিঃ

  1. জয়েনিং এবং অ্যানুয়াল ফি 1000 টাকা ( তবে বছরে 1 লাখ টাকা খরচ করলে এই ফি দিতে হয় না )।
  2. ফ্লিপকার্ট বা এসবিআই কার্ডের মত ক্যাশব্যাক নিজে নিজেই ডাইরেক্ট ক্রেডিট কার্ড একাউন্টে আসেনা। ক্যাশব্যাক ক্যাশ পয়েন্ট হিসেবে দেওয়া হয়। সেই ক্যাশপয়েন্ট রিডিম রিকোয়েস্ট করে স্টেটমেন্টে ছাড় নিতে হয়।

আবেদন করার জন্য:

এইচডিএফসি ওয়েবসাইট থেকেই এপ্লাই করা যায়।

অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক এস (Ace) ক্রেডিট কার্ড:

Axis Bank Ace Credit Card

এই লিস্টের লাস্ট অপশন-এ আমি অ্যাক্সিস ব্যাংকের অন্য আরো একটা ক্রেডিট কার্ড, Ace কে রাখবো।

সেরা 5-এ থাকার কারণ:

  1. গুগল পে থেকে বিল পেমেন্টে এই কার্ড ব্যবহার করলে 5% ক্যাশব্যাক পাওয়া যায়।
  2. সুইগী, জোমাটো ও ওলায় 4% ক্যাশব্যাক পাওয়া যায়।
  3. বাকি সব ট্রানজাকশনে 2% ক্যাশব্যাক পাওয়া যায়।
  4. ফ্লিপকার্টের কার্ড টার মতোই গ্র্যাব ডিলস এর ক্যাশব্যাক পাওয়া যায়।
  5. এয়ারপোর্ট লাউঞ্জ, রেস্টুরেন্ট ও ফুয়েল সারচার্জ-এর সুবিধা ফ্লিপকার্ট কার্ডের মতই।

খামতিঃ

  1. জয়েনিং ও অ্যানুয়াল ফি 499 টাকা।

এই তো গেল আমার মতে অনলাইনে কেনাকাটায় সেরা 5টা ক্যাশব্যাক ক্রেডিট কার্ডের পরিচয়। এগুলো ছাড়াও ফ্রী ও চার্জেবল বহু ক্রেডিট কার্ড আছে যেগুলোয় আরও বিভিন্নরকম সুবিধা বা ছাড় পাওয়া যায়। 

সব কার্ডের ক্ষেত্রেই এক্সট্রা ক্যাশব্যাক!

উপরে ক্যাশকরো, গ্র্যাবডিলস, স্মার্টবাই ইত্যাদির মাধ্যমে যে এক্সট্রা ক্যাশব্যাক এর কথা বলেছি, তার লজিক একই এবং সেই ব্যাপারে বিশদে জানতে চাইলে নীচের দুটো আর্টিকেল পড়ে নিলে পরিষ্কার হয়ে যাবে —

ক্যাশকরোর মাধ্যমে এক্সট্রা ক্যাশব্যাক পাওয়ার পন্থা

ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডের ইস্যুয়ার ব্যাংকের ওয়েবসাইট / অ্যাপ -এর মাধ্যমে এক্সট্রা ক্যাশব্যাক পাওয়ার পন্থা

ফাইনাল থটস…

উপরে যে কটা কার্ড এর কথা বলেছি প্রত্যেকটা কোনও বিষয়ে একই আবার কোনও বিষয়ে আলাদা। কোন কার্ড তোমার জন্য সেরা হবে সেটা কিছুটা নির্ভর করছে তোমার ব্যবহারের প্যাটার্নের উপর। আবার চাইলে একাধিক ক্রেডিট কার্ড নিয়ে ক্ষেত্র বিশেষে আলাদা আলাদা কার্ড ব্যবহার করলে সবথেকে বেশি ছাড় বা সুবিধা উপভোগ করা যেতে পারে।

শেষ করার আগে…

সবার শেষে বলব ক্রেডিট কার্ড যাই হোক, ব্যবহার করার আগে বিষদে নিয়ম, চার্জ এবং ইন্টারেস্ট রেট টা জেনে রাখা ভালো। আর অনলাইনে ব্যবহারের সময় সাবধানতার দিক গুলোও জানা জরুরী সাইবার প্রতারণা এবং আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে বাঁচার জন্য। তার সাথে দরকার দায়িত্বশীল ভাবে এর ব্যবহার। কারণ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার মানে আসলে ঋণ নেওয়া। আর ঋণের বোঝা, ঋণ শোধ করার ক্ষমতার থেকে বাড়িয়ে ফেললেই কিন্তু মুশকিল! ক্রেডিট কার্ড যেমন ভালো তেমনই অসাবধানী হলে এটা দুঃস্বপ্ন হতেও বেশি সময় লাগেনা! 

তাহলে আজকের মত এখানেই শেষ করছি। ভালো থেকো। টা টা। 🙂

বিঃ দ্রঃ উপরে দেওয়া কিছু লিঙ্ক আমার এফিলিয়েট লিঙ্ক। যেগুলো বব্যবহার করলে তোমার কোথাও কোনও এক্সট্রা চার্জ দিতে হবে না কিন্তু আমি আমার এই ছোট্ট প্রয়াসের জন্য একটু সাপোর্ট পেতে পারব।

মন্তব্য করুন